পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ぐり সব আশা করা বৃথা ।” তরুর দাদা নীহার বলিল, “খুব ত বিয়ে দিতে চলেছ, তরুর মত নিয়েছ ?” মা চোপ কপালে তুলিয়। বলিলেন, “ঐ এক ফোট৷ মেয়েরও মত নিতে হবে ? সে আমাদের চেয়ে বেশী বোঝে ন-কি ?” অল্প এব তরুর বিবাহ হইয় গেল। সে নিজে থানিকট নিরাশ হইল বটে, তবে মৰ্ম্মান্তিক বেদন কিছু পাঠল ন: ধেমনষ্ট হউক, টঙ্গাকে লইয়াই তাহার চিরদিন ঘর করিতে হুইবে, অতএব স্বামীকে ভালবাসিতে সে যথাসম্ভব চেষ্টাক্ট করিতে লাগিল । "rথম প্রথম দিনগুলি মন কাটিল না । শাশুড়ীও মেজাজের বিশেষ পরিচয় দিলেন না, স্বামী৪ আদরধত্ব খুবষ্ট করিলেন, সুতরাং তরু নিজেকে স্বর্ণী বলিয়াই ধরিয়া লইল । রমাপতির মনে মনে একটু ভয় ছিল যে, তরু হয়ত তাহাকে নিজের উপযুক্ত স্বামী মনে করে না, সেইজন্ত অতিরিক্ত আদরেই সে সকল ক্রটি সংশোধন করিতে চেষ্টা করিভ । কিন্তু সময়ে সব জিনিষের মোহুই কাটিয়া যায়। রাসমণি ক্রমে নিজমূৰ্ত্তি প্রকাশ করিতে লাগিলেন । চিরজন্ম বটকে পটের বিবির মত সাজাষ্টয়া বসাইয়া রাগিলেক্ট ত চলিবে না । তাহাকে ঘরকন্ত্রার কাজ শিখিতে হইবে, সংসার বুঝিয়া লক্টতে হইবে। অতএব । জিনি মহোৎসাহে বধূকে শিক্ষা দিতে লাগিয়া গেলেন। তরুর ৪ প্রাণ অস্থির হইয়া উঠিল । সারাদিন কাজ আর শাশুড়ীর খোটা। না পায় একটু বই পডিতে, না পায় একফোড় শেলাই করিতে । গানবাজনার কথ। ত এ বাড়িতে তুলিবারই জো নাই। শাশুড়ী হুকুম জারি করিয়া রাখিয়াছেন, “এ বাড়িতে ও সব হবে-টবে না বাপু, ভদ্ধর ঘরের বউ-ঝি সারাক্ষণ বাঈজীর মত গান গাইবে কি ? ও সব যা হবার তা হয়ে গেছে, এখন সাম্লে চলতে হবে ” স্বামী যদি আগের মতই থাকিতেন তাহা হইলে তরু কোনোমতে সহিয়া যাইত, তাহার জালা জুড়াইবার একটা স্থান থাকিত । কিন্তু রমাপতিরও পরিবর্তন আরম্ভ হইয়াছিল। ক্রমে ক্রমে সে নিজে ঝাইয়া লইয়াছিল প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খ S TT SAAAA SAAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAASS যে,তরু সম্বন্ধে তাহার সঙ্কোচটা মিথ্যা। রমাপতি কোনোঅংশেই তাহার অনুপযুক্ত নয়। হিন্দুর মেয়ে স্বামীকে দেবতাঞ্জানে পূজা করিবে, সে যেমন স্বামীই হোক । যে-রকম স্বামী সব আশেপাশে দেখা যায়, তাহার তুলনায় রমাপতি ত আকাশের চাদ। স্ত্রীকে মারেও না, ধরেও না। কোনোরকম কু-অভ্যাসও জাহার নাই। ভাই বলিয়া চিরকাল স্ত্রীকে মাথায় করিয়া নাচ ষায় না । এরই মধ্যে আপিসের সকলে ন্ত্রৈণ বলিয়া তাহাকে ক্ষেপায়। প্রথম প্রথম সকলেই একটু আমন করে, কিন্তু কালে প্রকৃতিস্থ হইয়া যায়। তরুকে আর বেশী প্রশ্রয় দিলে, টঙ্গর পর আর তাহাকে বাগ মানান যাইবে না । আজকালকার মেয়ে, স্বভাবতই উদ্ধত এবং স্বাধীন প্রকৃতির, তাহাকে একটু শক্ত হাতে চালাইতে হুইবে । সুতরাং রমাপতিও তরুর স্বভাব সংশোধনের চেষ্টায় লাগিয়া গেল । হিন্দু স্ত্রীর কষ্ট্রব্য সে দুষ্ট কান ভরিয়া শুনিতে লাগিল, কিন্তু আশানুরূপ ফল ফলিল না। রমাপতির কেবলষ্ট মনে হইতে লাগিল তরু যেন সমস্ত জিনিষটাকে ঠাট্ট বলিয়া মনে করিতেছে । ইহাতে তাহার রাগে সারা শরীর জালা করিত বটে, কিন্তু একেবারে বাড়াবাড়ি করিতে সে ভরসা করিত না । মনে মনে তরুকে একটু ভয় সে করিতই, হয়ত তরু তাহাকে সারাক্ষণ বিচার করিতেছে, এবং অতি নিকৃষ্ট শ্রেণীর জীব মনে করিতেছে । তরুর প্রতি টানও খানিকট তাহার ছিল, সুতরাং ইণকডাক করা ভিন্ন আর কিছু করা তাহার দ্বারা ঘটিয়াও উঠিত না । মোটের উপর সকলের দিনই অতি অশান্তিতে কাটিতেছিল, রাধু এবং কালুর ছাড়া । শামী আসিবার আগে তাহাদের বড় অস্ববিধা ছিল । মামাবাবু ত সারাদিন বাহিরেই কাটাইয়া দিতেন, আর দিদিমা বুউীকে তাহার কোনো কথা বুঝাইতেই পারিত না । কালুত বায়োস্কোপ যাইবার জন্ত পয়সা চাহিয়া চাহিয়া হয়রান হইয়া যাইত, একদিনও পাইত না । বায়োস্কোপ যে কি জিনিষ তাহা বুড়ী বুঝিলে ত ? একটু পড়া বলিয়া দিবারও কেহ ছিল না, মামাবাবুকে জিজ্ঞাসা করিবার জো নাই,