পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆSR శిFth-తాతా, లిరిy [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড মৃত্যুর পদধ্বনি সে কি শুনিতে পাইয়াছিল ? বেলা পাচটা । আমাদের সমস্ত গোলন্দাজবাহিনী একযোগে অগ্নি বর্ষণ স্বরু করিল এবং সমস্ত পদাতিক তার সঙ্গে যোগ দিল । ধোয়ায় ধোয়ায় স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য অন্ধকার হইয়া উঠিল, গোল ফাটিতে লাগিল, গুলি ছুটিতে লাগিল, মনে হইল গিরিদরি ছিন্ন হইল বা । পদাতিকের গুলি চালায় আর ছুটিয়া যায়, আবার থামিয়া গুলি চালায়, তারপর সামনে লাফাইয়৷ পড়ে। শত্রুর গোলার মুখে তারা সিধা যাইতে পারিতেছে না। কখনো মরণাহত সৈনিক ক্ষীণকণ্ঠে কেবল “লেফটেন্ধান্ট” বলিয়া কৃতজ্ঞতা জানাষ্টতে চাহিতেছে, কখনো বা কেবল 'আ' বলিয়া মরিতেছে । অবশেষে আমাদের প্রথম ব্যাটালিয়ন শক্রর থেকে কুড়ি গজ্ঞ আন্দাজ তফাতে আসিয়া পৌছিল, কিন্তু সামনে দেওয়ালের মত খাড়া পাহাড়, তাহাজে পা রাখিবার ঠাই পৰ্য্যস্ত নাই। পাহাড়ে ওঠার জন্য অধীর অথচ উঠিতে একেবারে অক্ষম, এমন অবস্থায় পাশ থেকে শত্রুর গুলি অবিরাম ঝরিতে লাগিল। শত্রুর মুখোমুখি দাড়াইয়া আমাদের দ্বিতীয় দল রুশেদের ‘মেশিন্‌-গানের’ মুখে দেখিতে দেখিতে শেষ হইয়া গেল । একটা গুলি কাপ্তেন মাংস্থমারুর অসিফলক ভেদ করিয়া তার বা গাল ছুইয়া ছুটিয়া গেল। মামাদের কামানের গোল শূন্তে রোসনাই স্থষ্টি করিল বটে, কিন্তু শক্রর কেল্লার প্রায় কোনো ক্ষতিই করিতে পারিল না। শ্রাপনেলের’ ( গুলিভরা চোঙের মত ধাতুময় আধার ) কৰ্ম্ম নয়, শত্রুর খাতের ( trench ) ছাউনি চূর্ণ করার জন্ত গোলাকার ‘শেল ফাটানো দরকার। গোলন্দাজের কাছে দূতের পর দূত যাইতে লাগিল আদেশ লইয়া—আমাদের পদাতিকদের প্রাণ বিপন্ন হয় হোক, তবুও গোলাকার “শেল’ যত ঘন ঘন সম্ভব ছাড়িতে থাক! কিন্তু দূতেরা যথাস্থানে আদেশ বিলি করার অাগেই প্রত্যেকে মারা পড়িল— একজনও প্রাণ লইয়া ফিরিল না । সাতটা বাজিল, আটটা বাজিল, শেষে ন’টা বাজিল, তবুও আমাদের অবস্থার কোনো উন্নতি নাই । প্রথম ব্যাটালিয়ন কিছুক্ষণের জন্ত দাড়াইতে বাধ্য হুইল । দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের নায়ক মেজর তামাই সাংঘাতিকভাবে আহত ; তার সহকারী লেফটেষ্ঠাণ্ট কান আক্রমণের পথের খোজ করিতেছিল, এমন সময় তার মাথার মধ্যে গুলি লাগিল—ফিরিয়া সংবাদবাহককে ডাকার সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু ৷ তৃতীয় ব্যাটালিয়ন শত্রুর কাছে পৌছিল বটে, কিন্তু ঐ পর্য্যস্ত, আর কিছু করিতে পারিল না । প্রতিমুহূৰ্ত্তে সে-দলের হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়া চলিল। আমাদের অবস্থা ক্ষুদে মাছের মত— অতিকায় তিমি যাহাকে অচিরে গিলিয়। ফেলিবে । কিন্তু আমাদের সৈন্যশ্রেণীর প্রতিজ্ঞ যেমন দুৰ্জ্জয় সাহসও তেমনি অদম্য-শক্রকে আয়ত্ত করা যতই কঠিন হইতে লাগিল ভূতই তাদের রোথ বাডিয়া চলিল, ততই নৃভন নূতন উপায় তার আবিষ্কার করিতে লাগিল । সকল ব্যাটালিয়ন, বিশেষ করিয়া প্রথমটি, কুড়ুল দিয়া পাথর ভাঙ্গিয়া, সেগুলি উপর উপর থাক দিয়া পা রাধিবার ব্যবস্থা করিতে লাগিল । কিন্তু কাঞ্জ সোঞ্জা নয়, শক্রর এত কাছে যে দুই পক্ষই যেন দুষ্ট বাঘ, দাত বার করিয়া পরস্পরকে ছিড়িয়া ফেলার ভয় দেপাইতেছে । রুশের আমাদের কাজে বাধা দিবার খুব চেষ্টা করিতে লাগিল-কুডুলের একটু আওয়াঙ্গ হয় আর আগুনের জিভ বার হুইয়া আমাদের আশপাশের জায়গাট। বুভুক্ষর মত চাটিয়া লয়। তবুও তারই মধ্যে একরকম দাড়াইবার ঠাই তৈরি হইয়া গেল, আমরা এবার একযোগে আক্রমণের জগু প্রস্তুত । রাত বাড়িয়া চলিয়াছে, যুদ্ধক্ষেত্রের উপর অস্তগামী চাদের বিষঃ স্নান আলো । আমাদের শিবিরের আধখান। সেই আলোয় একখানি black white ছবির একাংশের মত দেখাইতেছে । দ্বিতীয় ব্যাট্যালিয়নের নায়ক মেজর উচিনো আমাদের কনেলের কাছে এই লিপি পাঠাইলেন—

  • আমাদের ব্যাট্যালিয়ন আক্রমণ করতে চলেছে— আশা করছি আমরা নিঃশেষে ধ্বংস হব । আপনারাও আক্রমণ করুন। আমার বিশ্বাস , আমাদের প্রিয় ও পরম শ্রদ্ধেয় কনেল এ আক্রমণের বিজয়ী নায়ক হতে

and