পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Abr. تمامی مهمیخچه প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড বল, তোমার মত পানসে চোখ আমি কারু দেখিনি । এ-রকম করলে আর সংসার করা চলে না।” তরু উত্তর না দিয়া আবার নীচে নামিয়া গেল । কেটে তভক্ষণ বাজার হইতে ফিরিয়া আসিয়াছে। তরু বঁটি লষ্টয়া তরকারী কুটিতে বসিয়া গেল । সাড়ে ন’টার ভিতর ভাত না পাইলে আবার গালাগালির পাল৷ স্বরু হইবে । এমন সময় দরজার কাছে হঠাৎ তাহার ছোটভাই বিল্প আসিয়া দাডাইল । তরু জিজ্ঞাসা করিল, “কি রে, তুষ্ট যে বড় এমন সময় ?” বিহু জিজ্ঞাসা করিল, “দিদি থদরের শাড়ী কিন্‌বি ? বেশ ভাল ভাল শাড়ী আছে ।” তরু বলিল, “আমার হাতে এখন টাকা নেই ।” বিহু বলিল,“তোমার স্বামীজীর পকেটেও কি নেষ্ট ?” তরু মুগ কিষ্টিয়া বলিল, “সে খোজ স্বামীজীর । কাছে কর গিয়ে উপরেই বসে আছে। তা তুই স্কুল ছেড়ে দিলি ন-কি ?” বিহু বলিল, “ষ্ট্যা, শুধু আমি না, অনেক ছেলেই দিয়েছে ।” তরু বলিল, “তা বেশ । এখন না-হয় বাপের পয়সায় থেয়ে দেশোদ্ধার করছ, এর পর কি খাবে, ঘাস ?” বিহু বলিল, “অত ভাবতে গেলে আর কোনো কাজ করা চলে না। ভারি ত পাস করেই লাভ হ’ত, ত্রিশ টাকার মাষ্টারী। সে আমি মোট বয়েও আনতে পারি।” তরু বলিল, “সেই ভাল, আচ্ছা যা এখন, আমার কথা বলবার সময় নেই ।” বিহু উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “না, তুই একেবারে বাজে । কত মেয়ে আজকাল মার খাচ্ছে, জেলে যাচ্ছে, আর তুই খালি ঘরে বসে লাউ কুটেই দিন কাটিয়ে मिलि ।” * তরু কথা বলিল না, বিহু কাপড়ের পুটুলি লইয়৷ উপরে উঠিয়া গেল। রমাপতির কাছে অবশ্ন বিশেষ আমল পাইল না। সে শ্যালককে দেখিয়া একটু ভয়ে ভয়েই জিজ্ঞাসা করিল, “কি হে, Fি খবর r বিহু জিজ্ঞাসা করিল, “জামাইবাবু, খদ্ধর কিনবেন ? বেশ ভাল কাপড় ।” রমাপতি একটু অপ্রস্তুতভাবে বলিল, “বেশ লোকের কাছে এসেছ ভায় । ও সব কি আর আমাদের জো আছে, তাহ’লে চাকরিটির মায়া ত্যাগ করতে হয় ।” বিস্তু বলিল, “না হয়, করলেনই ত্যাগ।” রমাপতি বলিল, “তা তোমরা বলতে পার, ঝাড়া হাত পা নিয়ে আছ কি-না ?” বিন্স কাপড়ের পুটুলি লইয়া চলিয়া গেল। রমাপতিও স্নান করিয়া খাইয়া আপিস যাত্রা করিল - সারাটা দিন তরুর মনটা ভার হইয়া রহিল । সত্যই ত, কত উচ্চ আশা, কত আকাঙ্ক্ষা লইয়া সে জীবন আরম্ভ করিয়াছিল, সব-কিছুর অবসান হইল এখন রাল্লাঘরেক্ট । তাহার আর কোনো কৰ্ম্মক্ষেত্রে নাই । স্ত্রীলোকের যে আবার ঘবের বাহিরে কোনো কাজ থাকিতে পারে, ইহার" ত তাহা স্বপ্নে ৪ ভাবে না । বিকালবেলা রমাপতি আপিস হইতে ফিরিয়া আসিল । হাতে তাহার কাগজে মোড়া কি একটা জিনিষ। তরু তথন ঘরেই বসিয়া ষ্টো ভ জালিয়া থাবার করিভেছিল, তাহার সামনে পুলিনাট নামাইয় দিয়া রমাপতি বলিল, “এই নাও।” তরু বলিল, “ওর ভিতর কি আছে ?” রমাপতি বলিল, “খুলেই দেখ না, তাতে পাপ হৰে না।” তরু কাগজের মোড়ক খুলিয়া দেখিল তাহার ভিতর গজ দুই রঙীন রেশম, এবং শেলাইয়ের জন্ত নানা রঙের কয়েক গুচ্ছ রেশমের স্বতা । মুখ গম্ভীর করিয়া বলিল, “তোমাকে না বলেছিলাম আমি, যে বিলিতি জিনিষ আমার জন্যে এনে না ?” po রমাপতি বলিল, “সাহেবের টাকায় ত থাচ্ছে বসে, তাদের জিনিষ কিনলেই যত দোষ হ’ল ?” তরু বলিল, “হ্যা, সাহেবের টাকায় খাচ্চি না ত আরও কিছু। তারাই বরং দেশস্কন্ধ আমাদের টাকায় খাচ্ছে । খবর রাখ কোনো কিছুর ?” রমাপতি চটিয়া বলিল,“ন, আমি আর খবর রাখৰ কোথা থেকে n যত খবর তুমি বিদূষীই রাখ। এগুলো