পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] AAA AA S SA SAS A SAS SSMMAAA AAAA AAAA TA AMAeSAAAAAA AA S SA SAS SSAS পোর্ট আর্থারের ক্ষুধা ぐうる" ബ്. -l.-ബ পারবেন এবং স্বৰ্য্যোদয়ের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধপতাকা শত্রুর দুর্গপ্রাচীরে স্থাপিত হবে । আমার বিদায়-নমস্কার গ্রহণ করুন - তারপর বামদিকে বহুদূরে শুনিতে পাইলাম তুীতে কিমিগায়ো’র গভীর স্থর বাজিয়া উঠিল । আমাদের উপত্যকার আকাশে চাদ ভাসিডেছে, জাতীয় সঙ্গীতের বিলম্বিত ক্ষীণ প্রতিধ্বনি যেন অস্তরে গিয়া প্রবেশ করিল । স্বরটি শুনিয়া মনে হইল যেন স্বয়ং সম্রাট অগ্রসর হওয়ার আদেশ দিতেছেন । নায়ক ও সৈনিকের সিধা • হইয়া দাড়াইল, তারপর অসীম সাহসে হুঙ্কার দিয়া হাতে পায়ে পাথর ও চড়ির উপর দিয়া গিয়া শক্রর বক্ষঃপ্রমাণ প্রাকারের উপর ঝাপাইয়া পড়িল । একেবারে সামনের দলে মেজর মাৎসুমুর দীপ্তচোখে বজ্র কণ্ঠে ছকুম করছেন-ছুটে চল, সামনে! আবার তুরীতে কিমিগায়ে’ বাজিয়া উঠিল, দলের পর দল ‘বান্‌জাই’ ষ্টাৰুিতে লাগিল, ভৈরব নাদে পাহাড় কম্পমান । পাহাড়ের মাথায় কিরীচে কিরীচে সংঘর্ষ আগুনের ফুলকি ছড়াইতেছে । দলের পর দল ছুটিয়া আসিতেছে অতিকায় ঢেউয়ের মত । রুশের টলিতেছে — মুখোমুখি হাতাহাতি লড়াই আর কতক্ষণ চলে ? অবশেষে, বেলা আটটায়, পূবের আকাশ যখন লালে লাল, তখন তাইপোশান আমাদের সম্পূর্ণ দখলে আসিয়া গেল । so আমাদের নূতন শিবিরের অনেক উচুতে জাপানী পতাকা উড়িতেছে। দিকে দিকে ‘বান্‌জাই ধ্বনি শুনিতে পাইতেছি । ১৬ যুদ্ধশেষে তাইপোশান সম্পূর্ণ দখল হওয়ার আগে আমরা একটানা আটান্ন ঘণ্টা লড়াই করিয়াছিলাম । সে সময়ের মধ্যে অবশ্য পানাহার ও নিদ্রা হয় নাই। শত্রু সহজে পরাজয় স্বীকার করে নাই, অসীম বিক্রমে লড়িয়াছিল। আমাদের এই জয়ে যুদ্ধের পরবত্তী ধারা নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সাহায্য হইল । AMMAAA AAAAS AAAA AMMMAMMMS *% নানশানের যুদ্ধে আমাদের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা হয় চার হাজার । এ পর্য্যস্ত উহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা মারাত্মক যুদ্ধ বলিয়া গণ্য হইতেছিল, কিন্তু তাইপোশানের তুলনায় নানশান সস্তাদরে পাওয়া গিয়াছিল, সন্দেহ নাই । নানশানে শক্রর সমুখে ছিল বিস্তীর্ণ ঢালু জমি ; আমাদের সৈন্যদল সেখানে থাকায় নিরাপদ স্থান থেকে শত্রু তাদের উড়াইয়া দিয়াছিল । তাইপোশানের আশপাশের প্রকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা—কেবল খাড়া পাহাড় আর গভীর উপত্যক । সেখানে সহজেই আত্মরক্ষা করা বা লুকাইয়া থাকা সম্ভব । তবুও সেখানে আমাদের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা নানশানের সমান হইয়াছিল। তাইপোশান যুদ্ধের ভীষণত ইহা হইতে অহমান করা যায় । একটুখানি জায়গার জন্য তিন দিন ধরিয়া লড়াই চলে । পিছন থেকে কোনো খাদ্যই আনানো যায় নাই— কেবল শুকনো বিস্কুট চিবাইয়াছি। এক ফোট জল পাই নাই, এক মুহূৰ্ত্ত ঘুমাই নাই। উদ্বেগ ও উত্তেজনার , আতিশয্যে আহার নিদ্রার কথা মনেই ছিল না । এক খাওয়ার কষ্ট ছাড়া রুশেদের অবস্থাও তেমনি । তাদের পরিত্যক্ত কালো রুটি আর জমাট চিনি পাইয়া আমাদের লোকের আহলাদে আটখানা । যুদ্ধশেষে আমাদের প্রথম অঙ্গভূতি-নিদ্রাবেশ। তখন মনে হয় আর কিছুরই দরকার নাই, কেবল ঘুমাইতে চাই । মুত সঙ্গীদের কথা বলিতে বলিতে, যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আলোচনা করিতে করিতে জনে জনে ঢুলিতে স্বরু করিল, তারপর শত্রুর খাতের ছাউনির তলায় শুইয়া নিরীহ শিশুর মত ঘুমাইয়া পড়িল । রক্তে মাখামাথি হইয়া নিহত রুশ সৈনিকেরা চারিদিকে পড়িয়া আছে, তাহাতে তাদের গভীর ঘুমের ব্যাঘাত নাই । পানাহারের চিন্তাও লোপ পাইয়াছে—তাদের নাক ডাকিতেছে স্বদুর বজ্রধ্বনির মত। মাঝে মাঝে শত্রুর গুলি ছুটিতেছে—মশ ভন ভন করিলে যেটুকু ঘুমের অন্ধবিধা, তাহাতে সেটুকুও হইতেছে না। যুদ্ধের মহিমা প্রকাশ পায় কেবল গোলাগুলি বর্ষণের মাঝে, কিন্তু তার বীভৎসত সব চেয়ে ভাল দেখা