পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●〉や MAMAMMAMSMMS S AAAAA AAAAS AAAAAMAeeMA SSASAS SSAS বাড়িতে থাকে, তখন ডাক্তার ও তার সহকারীদের ক্ষমতায় কুলায় না। একজনের ব্যবস্থা করিতে করিতে হয়ত দেখিতে পায় অপর একজন হাপাইতে স্বরু করিয়াছে, গায়ের রংও ফ্যাকাশে হইয়া উঠিড়েছে । এই দ্বিতীয় ব্যক্তির মুখে যখন কয়েক ফোটা ব্রাণ্ডি দিডেছে তখন হয় ত তৃতীয় ব্যক্তি বিনা চিকিৎসায় মারা যাইবার উপক্রম । একজনে ; ক্ষতে যথারীতি ঔষধ দিয়া ব্যাণ্ডেজ করার আগেই দশ পনেরো জন নূতন আহত আসিয়া হাজির । ডাক্তারদের চারিদিকে মারাত্মক-রকম আহত সৈনিক । তার শাটের আস্তীন গুটাইয়া সারা পোষাকে রক্ত মাখিয়া প্রাণপণে খাটিতেছে । কারও ব্যাণ্ডেজ বাধা হইতেছে, যাদের হাড় ভাঙিয়াছে তাদের splint বাধার ব্যবস্থা । অবশ্য তাড়াহুড়ার ব্যাপার--সাময়িক সাহায্য মাত্র ; তবুও ডাক্তারদের নিশ্বাস ফেলার সময় নাই। করিবার এত আছে অথচ কতটুকুই বা করা সম্ভব ভাবিতে ভাবিতে আর চারিদিকের সেই যন্ত্রণার দৃশ্ব দেখিতে দেখিতে মাথা খারাপ হইবার যোগাড় झुम्न । কিন্তু এই বাড়িতে বা ওই উঠানে যারা শায়িত তারা সকলেই সাহসী সৈনিক । শুশ্ৰুষার বিলম্ব হইলে বা তা যথেষ্ট না হইলেও তাদের নালিশ নাই । বিশেষ কোনো অভিলাষ বা অসন্তোষ তারা প্রকাশ করে না । যুদ্ধের উন্মায় ও উত্তেজনায় এখনও তারা আচ্ছন্ন, তাই সৈনিকের হুঙ্কার বা কামানের আওয়াজ শুনিতে পাইলেই তার ছুটিয়া যুদ্ধে যাইতে চায়। তাদের শাস্ত করিয়া স্থির করিয়া রাখিতে ডাক্তাল্পদের রীতিমত বেগ পাইতে হয় । মাথায় চোট লাগার ফলে যার পাগল হইয়াছে, তারা মৃদ্ধ কণ্ঠে ‘তেন্নো হেইকী বান্‌জাই’ ( সম্রাট দীর্ঘজীবন লাভ করুন ) বা ‘রুশকি" ( রুশ ) বলিয়া টলিয়া টলিয়া বেড়ায়, ডাক্তার চাপিয়া ধরিয়া থাকিলে তারা রাগে জলিয় ওঠে, বলে—তুই "রুশকি ! এমনি ধ্বস্তাধবস্তির ফলে অতিমাত্রায় রক্তস্রাব হইয়া শীঘ্রই তারা মারা পড়ে। সাতাশ তারিখে আহতের সংখ্যা খুব বেশি ছিল । SA A AS AeeA AA AMAMMAAA AAAA SAAAAAeMS SSMSSAAAAAS AAASASAAAMMA AeeAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAeeMMA AAAAS AAAAAA [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড ASA SSASAS SS SAAAAAS C SASAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAS AAAAAA শুশ্ৰুষা-শিবিরের সম্মুখের গোলাবাড়ির উঠান একেবারে ভৰ্ত্তি হইয়া গেল। ডাক্তার যখন একজনকে দেখিঙেছে তখন পিছন থেকে তার ইজেরে টান পড়িল । ফিরিয়া দেখে এক ব্যক্তি তার পায়ে ঠেস দিয়া নিরীহ শিংগুর মত চিরনিদ্রায় ঢলিয়া পড়িতেছে । আমার প্রাণ রক্ষঙ্গ হবার নয়, আমাকে এখনি মেরে ফেলুন—ডাক্তারকে দুই হাতে চাপিয়া একজন যন্ত্রণায়ু চেচাইতেছে । একজন সার্জেণ্ট হাতের উপর ভর দিয়া পা দুখান৷ টানিতে টানিতে ডাক্তারের কাছে আসিয়া উপস্থিত । সজলচোথে সে মিনতি করিতেছে—দেখুন, ওই যে লোকটি, ও আমারই দলের ; ও যে-ভাবে ইাপাচ্ছে হয় ত কোনো ফল হবে ন}, তবুও দয়া করে আর একবার ওকে দেখবেন কি ? সেই সার্জেণ্ট নিজেই খুব আহত, তবুও তাবেদারের কষ্ট সহিতে পারিতেছে ন ! সেদিন সকাল বেলায় শুশ্ৰুষা-শিবিরে বিবর্ণ পাংশুমুখে এক সৈনিক আসিয়া উপস্থিত। ডাক্তার তাহাকে দেখিতে পাইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “কি হয়েছে তোমার ? আহত ?” কোনো জবাব নাই, বৃথাই তার ঠোট নড়িতে লাগিল । আবার ডাক্তার প্রশ্ন করিল, “ব্যাপার কি ? না বললে আমি বুঝব কি করে’ ?” তবুও সে নিরুভর। ডাক্তারের ভারি অদ্ভুত ঠেকিল লোকটির মুখের পানে লক্ষ্য করিতে সে তার উপর একটু রক্ত দেখিতে পাইল । ভাল করিয়া পরীক্ষার পর দেখা গেল ডান দিক থেকে বা দিকের রগ এফোড় ওফোড় করিয়৷ গুলি চলিয়া গেছে । তার ফলে তার দর্শন ও শ্রবণ শক্তি দু-ই লোপ পাইয়াছে। বুঝিতে পারিয়া ডাক্তার তখনি শুশষ স্বরু করিয়া দিল । বেচারার হাতখান সযত্বে তুলিয়৷ লইতেই সে দাত কিড়মিড় করিয়া বলিল— প্রতিহিংসা ! দেখিতে দেখিতে ভার দেহ কঠিন হইয়া - গেল, তার যন্ত্রণারও অবসান হইল— লড়াইয়ের সাধ আর মিটিল না । একদিন এক আহত সৈনিক দুই হাত ফুলাইতে জুলাইতে ছুটিয়া আসিল, যেন বিশেষ তাড়া । “জোর লড়াই চলেছে ! ভারি মঞ্জী : জায়গাট দখল হ’ল বলে !”