পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] SAAAAAAAS AA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA --- পরিচয় পাওয়া যায়, ষে কল্পনা-সংস্থানের নিদর্শন মিলে, এক কথায় বলিতে গেলে তাহ অপূৰ্ব্ব, অথচ অপূৰ্ব্ব বলিলে তাহার কিছুই বলা হইল না। আধুনিক যুগেও তাহা বিগত শ্ৰী হয় নাই, কালের অত্যাচারে তাহা অপরিমান হুইয়া রহিয়াছে । মনেরকে কেন্দ্র করিয়া এক প্রশস্ত ভূখণ্ড মুসলমান সাধকের সাধনার পবিত্র চিহ্ন ধারণ করিতেছে । বড়ী দরগায় যে শেখ ষ্টয়াহিয়া মনের-ই বিশ্রামলাভ করিয়াছেন তাহার পুত্র মখদুম শরিফুদ্দীনের স্মৃতিতে বিষ্ঠার মহকুমা শরিফ অর্থাৎ পূত হইয়া আছে । যাহারা রাজগিরে গিয়াছেন তাহারা মখদুম কুণ্ডের কথা স্মরণ করিবেন ; মখদুম শাহ শেখ শরিফুদ্দীন সেথানে এক গুহ্যমধ্যে চল্লিশ দিন উপবাসে ও আরাধনায় কাটান । আবার অতি নিকটে গয়াতে ইহার অতি নিকট আত্মীয়৷ বিবি কামালোর সমাধি । বিবি কামালো সম্বন্ধে অনেক অদ্ভুত কাহিনী সমাজে প্রচারিত আছে । সেকেনার লোদী ওঁ বাবর এখানে আসিয়াছিলেন । বাবরের আত্মচরিত ধায়ু প্রায় চারি শত বৎসর পূৰ্ব্বে খ্ৰীষ্টাব্দের ২৭এ এপ্রিল তারিখে ) বাবর শোণ-নদের অপর পারে আসিয়া পৌছান ; সেখানে মনেরের কথা শুনিতে পাইয়। শোণ পার হইয়। চিস্তি সম্প্রদায়ের শীষস্থানীয় শেখ ইয়াহিয়ার কবর দেখিতে আসিলেন । • তিনি সমাধিস্থানের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করিয়া নিকটে ষে-সব ফলের বাগান ছিল তাহা বেড়াইয়া দেখিলেন এবং নমাজ সারিয়া শিবিরে ফিরিলেন। তখনকার দিনে মনের হইতে গঙ্গ। আরও বেশী দূরে ছিল । বড় দর্গার উত্তর-পূর্বে এক অদ্ধভগ্ন গজারূঢ় শাল মূৰ্ত্তি চোখে পড়িল। শুধু সিংহ বা ব্যাঘ্ৰ দেখিলে তাহার শক্তির দিকটা দর্শকের কাছে তেমন স্পষ্ট হয় না বলিয়া গজদলনকারী মূৰ্ত্তি শিল্পীর অধিক প্রিয়। উড়িষ্যায় এই ধরণের বহু মূৰ্ত্তি আছে,—বিপুল বিক্রমে সিংহ হস্তীকে পায়ে চাপিয়া রাখিয়াছে,—“ছিাড়া-উড়াগজ-সিংহ । এই গঞ্জ-বিমৰ্দ্দনকারী জন্তুটি কিন্তু সিংহ নয়, “শার্দ ল”। এইরূপ শক্তিধর মূৰ্ত্তি হিন্দু রাজাদের, るさびで 5[al ( >6 2ir দেশ জয় উপলক্ষে মনের ভ্রমণ ৬৩৫ ASAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA ASAS A SAS SSAS S S S S S S S হিন্দু শিল্পীদের অতি প্রিয় বস্তু ছিল ; তাই এখানে অতীত হিন্দুগৌরবের এক মাত্র নিদর্শন হইয়া আজিও লুপ্তপ্রায় হিন্দুপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী হইয়া উহা দাড়াষ্টয়া अi८छ् । শুনিতে পাষ্ট, মনের এক সময়ে বেহারের কেন্দ্রস্থল বড় দর্গার নিকটে ছিল। মনের ও তাঙ্গার চারি পাশের বহু পরগণার রাজা ছিলেন মণিরাম—তাহার নাম হইতেই নাকি ‘মনের’ এই নামকরণ হইয়াছে । বহুদিন হইতেই তাহার রাজ্যের উপর মুসলমানদের লোভ ছিল ; কিন্তু কিছুতেই তাহাকে আঁটিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। তখন তাহারা আরব দেশ হইতে ইমাম তেগ ফতে সাহেবকে আনাইল । ইমাম সাহেবের ধৰ্ম্মামুরাগে ও অলৌকিক ক্ষমতায় রাজা খুশী হইয়া অনেক জায়গীর দিলেন ; ক্রমে নানাস্থান হইতে মুসলমানের আসিয়া সেই সব স্থানে বসবাস করিতে আরম্ভ করিল।