পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] খ্ৰীষ্টা )। পারস্তের কবি ওমর খায়ামের মৃত্যুকাল জানা গিয়াছে ১১২৩ খৃষ্টাব্দ, স্বতরাং উহার রচিত রূবাইগুলির প্রাচীনত্ব আট শত বৎসর। এই সুদীর্ঘকালের মধ্যে মুদ্রাষঙ্গ প্রচলনের পূর্ব পধ্যস্ত কত গুণগ্রাহী রসজ্ঞ স্থলভান বাদশাহ ইহার কত পুথি যত্বের সহিত প্রস্তুত করাইয়াছেন তাহার ইয়ত্ত নাই । সে-সরুলের মধ্যে কত লোপ পাইয়াছে আর এখনও কত আছে তাহাও কিছু স্থির নাই । কিছু দিন পূৰ্ব্বে কলিকাতার একটি ক্ষুদ্র গলির মধ্যে একটি সামান্ত বইয়ের দোকানে ওমর খায়ামের একথানি অতি সুন্দর সচিত্ৰ পুথি পাওয়া গিয়াছিল । “দি ভলাপট্রেটেড ল গুন নিউজ" পত্রিকায় প্রকাশিত তাহার সংক্ষিপ বিবরণ হইতে এখানে দুষ্ট এক কথা বলিব । এই পুথি দ1মকলি অজ্ঞাত ভাবে উল্লিখিত দোকানে পডিয়াছিল, অকস্মাং উহ। অদ পঙ্ক নাজির আসরফের দৃষ্টিতে পতিত হ ওয়ায় তিনি তাহার পারিবারিক পুস্তকাগারের জগু তাহ এয় করেন । পরিশেষে তিনি উই পাটনা জেলায় তাহার স্বগ্রামের লাইব্রেরীতে প্রদান করেন । এই পুথিতে লিখিত প্রতিলিপিকারের マミ"にす ওমর খায়ামের একখানি প্রাচীন পুথি õõጫ مین ہمی. سي--ي. মেরামত করিয়াছিল। একটু হিন্দুস্থানী লেখা হইতে আরও জানা যায়, যে, পূৰ্ব্বে এই পাণ্ডুলিপিখানির হাসিয়া আরও প্রশস্ত ছিল, উহা খারাপ হইয়া যাওয়ায় ১৮৯১ সালে বাধাইবার সময় ছোট করা হইয়াছে। ইহার নাম ও লিখনের সময় যাহা লেখা আছে তাহা হইতে জানা যায় যে,১৫০৫ খ্ৰীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে উহার লিখন সমাপ্ত হইয়াছে ৷ পাণ্ডুলিপির ভূমিকার পৃষ্ঠাথানি না থাকায় ইহার সম্বন্ধে এই পাচ শতাব্দীর কোন ইতিহাসই জানিবার বা পারস্ত হইতে ভারতবর্ষের এই মহানগরীতে ইহা কিরূপে আসিল তাহ বুঝিবারও উপায় নাই । একটু লেখা হইতে এই মাত্র জানা যায়, যে, পঞ্জাবের শিয়ালকোট জেলায় পাসরার গ্রামের দেবীদাস নামক একজন হিন্দু বিদ্যার্থী ইহার স্বত্বাধিকারী ছিলেন । আর জানা যায় বেনারসের শামিন আহম্মদ নামক কোন দপ্তরি ১৮৯১ অব্দে পুথিখানি পুথির একথাণি চিত্র প্রথমকার প্রায় কুড়িপানি পুষ্ঠা এরূপ ভঙ্গ প্রবণ ও বিবর্ণ হঃ য়া গিয়াছে যে, তাই দেখিলেই বুঝা যায় দেবীদাসের ংশধরদের অধত্বেই উহার এই দশ। প্রাপ্তি হইয়াছে। এই ক্ষুদ্র পুথিপানির আকার ৬ × ৪ ; ৪ × ৩, চতুঢ়স্বারিংশং পৃষ্ঠ । ইহাতে মোট ২০৬-টি চতুষ্পদী C={f+ NTCE; } ইহার চিত্রসম্পদ, সাজসজ্জার মনোহরিহ, অত্যুৎকৃষ্ট লিপিচাতুৰ্য্য অতুলনীয়। ইতিপূৰ্ব্বে ওমর খায়ামের এত স্বন্দর পুথি কোথাও আবিষ্কৃত হয় নাই। ইহা উজ্জল কৃষ্ণবর্ণের কালির