পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سولاوSوV প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড । এইরূপে মন্দিরগুলি প্রদক্ষিণ করা হইত। প্রদক্ষিণপথের মাঝে মাঝে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত আসন আছে । পুজার্থীদিগের বিশ্রামার্থই এগুলি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল সন্দেহ নাই। বলা বাহুল্য, বাংলা দেশ প্রস্তব প্রধান না প্রাচীর গাত্রে খোদিত ভারতমাতার প্রস্তর-মুষ্টি ( প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের সৌজন্তে ) হওয়ায় এখানকার প্রায় সব প্রাচীম মন্দির ষ্টষ্টক রচিত। পাহাড়পুরের মন্দির ও বিহার সে নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। তবে বেদী, প্রবেশ-দ্বার, স্তম্ভ প্রভৃতি কতকগুলি বিশেষ বিশেষ অঙ্গ প্রস্তরে গঠিত । ইহার দ্বারা গৃহের প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করাই উদেশ্ব ছিল । হিন্দুশাস্ত্রাঙ্গলারে উত্তরমুখী প্রবেশ-দ্বার সৰ্ব্বাপেক্ষ শুভ ও প্রশস্ত। আমরা পাহাড়পুরেও দেখিতে পাই যে, প্রধান প্রবেশ-দ্বার উত্তরমুখী । সমতল ভূমি হইতে কয়েকটি ধাপ উত্তীর্ণ হইয়ু আমরা তোরণপথে উপস্থিত হই । তোরণ-দ্বার প্রশস্ত বটে, কিন্তু AMA MA AMAAA AAAA AAASS তাহার পশ্চাতে এমন বন্দোবস্ত করা হইয়াছে যে, সহসা বহু লোক একসঙ্গে প্রবেশ করিতে পারে না । কোন শক্রর হস্ত হইতে মন্দির রক্ষা করিবার জন্ত বোধ হয় এই সাবধানতা অবলম্বন করা হইয়াছে । যাহা হউক, এই তোরণের অধিকাংশ অংশ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ও সুরক্ষিত। প্রহরীদিগের অবস্থানের জন্ত প্রবেশ-পথের নিকটে স্বরক্ষিত কক্ষের ধ্বংসাবশেষ আজও বিদ্যমান আছে । তোরণ-পথ পার হইয়। আমরা একটি প্রশস্ত অলিন্দে উপস্থিত হই । এই অলিন্দ হইতে প্রদক্ষিণ-পথ পর্য্যস্ত একটি ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত প্রশস্ত পথ যে বর্তমান ছিল, তাহ ধ্বংসাবশেষ দেখিয়া অনুমান করা যায়। খুব সম্ভব এই পথের উপরিভাগ আবৃত ছিল। এই পথ হইতে কয়েক ধাপ উঠিলেই প্রদক্ষিণ-পথে যাওয়া যায়। প্রদক্ষিণ-পথের উভয় পাশ্বে প্রাচীর গাত্র খোদিত করিয়া নানারূপ দগ্ধ মৃত্তিকা ( terracotta ) নিৰ্ম্মিত মূৰ্ত্তি সন্নিবেশিত । এষ্ট প্রকারের জীবজন্তু বৃক্ষলতা, পক্ষী ও সরীস্বপ, মৎস ও শঙ্খ, নানা প্রকারের ফুল, বিশেষতঃ পদ্ম, সারিবদ্ধভাবে প্রাচীরের শোভা বৰ্দ্ধন করিতেছে। তের শত বৎসরের কালপ্রবাহ তাহাদের উপর দিয়া চলিয়া গিয়াছে । কিন্তু তাহার। আজিও অক্ষুণ্ণ রহিয়াছে ও অতীতের সেই গৌরব ঘোষণা করিতেছে । এই সব মৃত্তিকা চিত্র শুধু খেয়ালবশতঃ রচিত হয় নাই। তদানীন্তন ধৰ্ম্মবিশ্বাসাচুমোদিত দেবতা, সাধু ও সন্ন্যাসী, ভিক্ষু ও তীর্থঙ্করের মুৰ্বি ইহুদিগের মধ্যে লক্ষিত হয় । পঞ্চতন্ত্র ও হিতোপদেশর বহু উপাখ্যান এই চিত্রসমূহের মধ্য দিয়। আমরা চিনিতে পারি । রামায়ণ ও মহাভারতের প্রধান প্রধান ঘটনা, যথা—বালীবধ ও স্বভদ্রাহরণ ইহাদের মধ্যে জীবস্ত হইয়া রহিয়াছে। শুধু তাহাই নহে। গৃহস্থ জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা, আজ সহস্ৰ বৎসর পরেও মানবজীবনের অন্তনিহিত যে ঐক্য তাহার স্মৃতি বহন করিয়া ওমানিয়াছে। এতদ্ব্যতীত বাংল। দেশের বহু চিরপরিচিত বস্তু ও প্রাণী তাহাজের মধ্যে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে । বঙ্গভূমি সাগরের অতি অাদরের কন্যা। তাই বাঙালী সমুদ্রজ মৎস্ত শুশুক কুম্ভীর প্রভূতি বহু জন্তু, শঙ্খ ঝিল্লুক প্রভৃতি