পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nుe बारणाश् चानृङ मलडूछा झर्शी, कांजी, गब्रचउँौ ब জগদ্ধাত্রীর নহে। এই সব দেবতার পরিকল্পনা তখন ষে প্রচলিত ছিল তাহাও সম্ভবপর মনে হয় না । কেন-না তাহা হইলে এই মন্দিরে,—যেখানে বিভিন্ন উত্তর-পশ্চিমে প্রাচীর গাত্রে খোদিত প্রস্তর-মূৰ্ত্তি ( প্রত্নতত্ত্ব-বিভাগের সৌজন্তে ) ধর্শ্বের সহস্ৰ সহস্ৰ দেবমূৰ্ত্তি বৰ্ত্তমান, তাহাদিগকে দেখিতে পাইতাম । পুর্কেই বলা হইয়াছে, মন্দিরের প্রাঙ্গণটি সমচতুষ্কোণ ও চতুর্ভূজ। উত্তর তোরণের দুই পাশ্ব হইতে প্রাঙ্গণের বাহির সীমানা ধরিয়া সোজা ভাবে একান্নটি কক্ষ এক একদিকে অবস্থিত। এইরূপে চারিদিকে প্রায় দুই শত কক্ষ ছিল । কক্ষ হইতে কক্ষাস্তরে যাইবার জন্ত একটি প্রশস্ত বারাল-পাথরের বেড়া দিয়া ঘেরা। এখনও তাহার ভগ্নাবশেষ বর্তমান । এই সমস্ত কক্ষের বয়স নির্ণয় কর প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড বড় কঠিন । প্রাচীরের যে অংশ. এখন দেখিতে পাওয়া ষায় তাহা সৰ্ব্বাপেক্ষ পুরাতন কি সৰ্ব্বাপেক্ষা নূতন তাহা বোঝা কঠিন । তবে কক্ষগুলি যে বারে বারে সংস্কার বা পুনর্গঠন করা হইয়াছে তাহা বোঝা যায়, বিভিন্ন প্রকারের ইষ্টক দেখিয়া ও মেঝে খনন করিয়া । প্রত্যেক মেঝের অস্ততপক্ষে তিনটি স্তর আছে। সৰ্ব্বনিয়ে যে স্তর তাহাই সৰ্ব্বপ্রাচীন মেঝে। এখনকার যে মেঝে তাহা তুলনায় নিতান্ত আধুনিক। এই সব কক্ষের অনেকগুলিতে এক একটি প্রশস্ত বেদী দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু কোন মূৰ্ত্তির চিহ্ন নাই—পরে হয়ত পাওয়া যাইতে পারে। এ শৰ্য্যন্ত শুধু একটি ক্ষুদ্রকায় বৌদ্ধমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে। আবার ইহাও মনে হয়, হয়ত বাংলা দেশের প্রচলিত প্রথানুসারে এষ্ট-সব বেদীতে মৃত্তিক-নিৰ্ম্মিত প্রতিমার পূজা হইত। যাহা হউক, এগুলি সবই এককালে যে সংঘারামের অধিবাসীদিগের বাসস্থলী ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । পরে যখন মহাযানের উৰ্ব্বর কল্পনা-প্রভাবে মূৰ্ত্তিপূজায় জাকজমক ও দিন-দিন মূৰ্ত্তির সংখ্যা বাড়িয়া চলিল, তখন সম্ভবতঃ আসল মন্দিরে তাহাদের আর স্থান বুলাইয়া উঠিল না । কাজেই তখন নুতন নুতন মন্দিরের প্রয়োজন বোধ হইল। ভূপের দক্ষিণ-পূৰ্ব্ব কোণে তিনটি মন্দিরের পীঠ পাওয়া গিয়াছে । ইহারাও নিশ্চয়ই পরবর্তীকালে প্রয়োজনবোধে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই সব কক্ষে বিহারের ভিক্ষুরা যে বাস করিতেন, তাহার অপরাপর চিহ্নও আছে । তাহাদের তৈজসপত্রের শেষ চিহ্নও কিছু পাওয়া গিয়াছে। এই সব কক্ষের নিকটে নিকটে কুপাদি জলাধারের মুবন্দোবস্ত আছে । আর কক্ষ হইতে কক্ষাস্তুর পর্য্যম্ভ সুন্দর পয়োপ্রণালী আছে। প্রণালীর শেষ সীমায় এক একটি করিয়া শিলা-রচিত হাঙ্গর মুখ যোজিত হইয়াছে। ইহা ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম সীমানায় একটি খাতের উপরে সারি সারি পায়খানা এখনও বৰ্ত্তমান আছে । বিহার ৫াঙ্গণের বাহিরে নদীতটে একটি গৃহের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার সহিত বিহারের কি সম্বন্ধ এখন বুঝিয়া উঠা কঠিন। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, এই বিহারের উপর