পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড مظ مسیه - با صمم-سه -- محیه-، مس - م ماه مه معصه سیاه - ص-م ক্ৰমে বন্ধের সিংহাসনে বলিলেন বিগ্রহপাল ও নারায়ণপাল। গুর্জর-রাজ তাহার আভ্যন্তরীণ কলহে ব্যাপৃত হইয়া পড়িলেন। - উত্তর-ভারতের কলহু হইতে বাধ্য হইয়া দূরে থাকিতে হইল। এই স্বযোগে ভোজদেব সমস্ত উত্তর ভারত করায়ত্ত করিলেন । র্তাহার পুত্ৰ মহেন্দ্রপালদেব (৮৯০-৯১• ) পিতা কর্তৃক অধিকৃত কান্তকুঞ্জের সিংহাসনে উত্তর-ভারতের সম্রাটরূপে অধিষ্ঠিত হইয়া একচ্ছত্ৰ নৃপতি হইবার বাসনায় বঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন ও অনায়াসে বঙ্গের অনেক প্রসিদ্ধ স্থান অধিকার করিয়া ফেলিলেন । খুব সম্ভব, এই সময় তিনি উত্তর-বঙ্গের পুও বৰ্দ্ধন ভূক্তির কোটীবৰ্ষবিষয়ান্তর্গত সোমপুর বিহার অধিকার করেন। এই সময়েই বোধ হয় স্থবির জয়গর্ত স্তম্ভটি উৎসর্গ করেন। গুপ্ত-নুপতিদিগের রাজাকালে বিহারের কারুকার্ষ্যে ও প্রতিষ গঠনে হিন্দু, বিশেষতঃ বৈষ্ণব ধর্মের প্রগাঢ় প্রভাব দেখিতে পাওয়া যায়। যত হিন্দু দেবদেবী এই সময়ে বিহার মধ্যে স্থানলাভ করিয়াছে বলিয়া অনেকের বিশ্বাস। কিন্তু যখন পাল-বংশ বঙ্গে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করিলেন, সেই সময় হইতে বিহারটি প্রকৃতপক্ষে বিহার ও বৌদ্ধদিগের পীঠস্থান হইয়া উঠিল। এই সময় হইতে বহু বৌদ্ধ এখানে পূজার্থ, শিক্ষার্থ ও ধৰ্ম্মলাভার্থ আসিতে লাগিল। আমরা স্থবির জয়গভের উংসর্গ-পত্ৰ ইষ্টতে বিহারের বৌদ্ধ সংস্পর্শ বেশ উপলব্ধি করিতে পারি। বৌদ্ধচিত্র, বৌদ্ধমূর্দুি, সদ্ধম্মপুণ্ডরীক ও ধৰ্ম্মচক্র প্রভৃতি বহু বস্থ নিদর্শন হইতে বুঝিতে পারি যে, সোমপুর বিহার এককালে বৌদ্ধ বিহাররূপে ব্যবহৃত হুইয়াছিল। কিন্তু এইখানেই শেষ নহে। খ্ৰীষ্টীয় একাদশ দ্বাদশ শতাব্দীতে, প্রচলিত আদিম বাংলা অক্ষরে স্তম্ভগাত্রে উৎকীর্ণ একটি উৎসর্গ-পত্ৰ উদ্ধার হইয়াছে। ইহা হইতে জানা যায় যে, ত্রিরত্বের (ধৰ্ম্ম, বুদ্ধ ও সংঘ ) প্রীতিলাভার্থ ঐদশবলগৰ্ড, এই স্তম্ভটি প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। স্বতরাং শুধু যে ইহা বৌদ্ধ বিহারে পরিণত গুইয়াছিল তাহাই নহে, খ্ৰীষ্টীয় নবম শতাব্দী অৰ্থাৎ পাল রাজত্ব হইতে আরম্ভ করিয়া দ্বাদশ শতাব্দী অর্থাৎ সেন-বংশের শেষ পর্য্যন্ত টহা বৌদ্ধ বিহারই ছিল। গৌড়ে মুসলমান রাজধানী প্রতিষ্ঠিত হইবার পর যখন গ্রামবাসীরা ধীরে ধীরে ইসলাম ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে লাগিল ও উত্তর-বঙ্গ মুসলমানপ্রধান হইয়া উঠিল, তখন বোধ হয় বৌদ্ধবিহারগুলি তাহাদের প্রভাব হারাইল । একে ত এই সময় বৌদ্ধধৰ্ম্ম অতিশয় নিক্লষ্ট হইয়া গিয়াছিল, তাছাতে মুসলমানগণ বৌদ্ধদিগকে অধিকতর প্রতিমাসক্ত বোধে তাহীদের উপর নৃশংস ব্যবহার করিতে লাগিল। মুসলমানদিগের প্রবল আঘাতে বৌদ্ধগণ দেশ ছাড়িয়া পলাইয়া ধাহতে লাগিল। রাজ কৃপালোভে ও ইসলামের বিশ্বাসের তেজ ও সাম্যবাদে মুগ্ধ হইয়া বহু বৌদ্ধ ইসলাম গ্রহণ করিতে লাগিল । প্রচলিত হিন্দুধর্মের সঙ্কীর্ণতা ও অন্ধত আবার ইন্ধন জোগাইল । এইরূপে বঙ্গদেশ তথা ভারত হইতে বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম নিৰ্বাসিত হইল। সঙ্গে সঙ্গে বৌদ্ধবিহারগুলিও পরিত্যক্ত হইল। সাত শত বৎসর পরে আবার তাহাদের থেজে পড়িয়াছে ! X92