পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসন ঐদীনেশচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য প্রায় ছয় বৎসর পূৰ্ব্বে ত্রিপুরা জিলার গুণাইঘর গ্রামনিবাসী জনৈক ব্যক্তি পুষ্করিণী হইতে মাটি তুলিতে গিয়া এই তাম্রশাসনখানি প্রাপ্ত হয়। কুমিল্লার বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিৎ ক্রযুক্ত বৈকুণ্ঠনাথ দত্ত মহাশয় লোকপরম্পরা ইহা অবগত হইয়া গুণাষ্টধর অঞ্চলের কতিপয় ভদ্রলোকের সাহায্যে তাম্রশাসনখানি পাঠোদ্ধার জন্য ১৩৩৫ সালের বৈশাখ মাসে সংগ্রহ করেন। সময়াভাববশতঃ তিনি স্বয়ং ইহার পাঠোদ্ধার না করিয়া আমার ইস্তে সমর্পণ করিয়াছিলেন । গুণাইধর কুমিল্লা হইতে প্রায় আঠার মাইল উত্তরপশ্চিমে এবং দেবীদ্বার থানার দেড় মাইল পশ্চিমে বরদাখাত পরগণায় অবস্থিত । ইতিপূৰ্ব্বে এই গ্রামেই একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূৰ্বি বহু বৎসর পূৰ্ব্বে আবিষ্কৃত হয় । প্রায় ছয় বৎসর পুৰ্ব্বে একটি দ্বাদশ হস্ত অবলোকিতেশ্বর মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে, তাহার পাদপীঠে প্রসিদ্ধ বৌদ্ধ মন্ত্র “যে ধৰ্ম্ম।” ইত্যাদি উৎকীর্ণ রহিয়াছে । সম্প্রতি আর একটি বিষ্ণুমূৰ্ত্তি ও পাওয়া গিয়াছে বলিয়া শুনা যায়। ওদ্ভিন্ন গ্রামমধ্যে একটি প্রাচীন বিষ্ণুমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ বত্তমান রহিয়াছে। মুতরাং প্রত্নসম্পদে এই গ্রাম ত্রিপুরা জিলার শীর্ষস্থান অধিকার করিবে । তাম্রশাসনখানির আয়তন প্রায় ১০ × ৬ ইঞ্চ এবং ওজন প্রায় দুই সের। লম্বালম্বি ভাবে উভয়পুষ্ঠে সংস্কৃত লেখা উৎকীর্ণ রহিয়াছে। সম্মুখ ভাগে তেইশ পংক্তি এবং পশ্চাদ্ভাগে মাত্র আট পংক্তি। মধ্যে ধৰ্ম্মান্থশংসি প্রসিদ্ধ তিনটি শ্লোক ভিন্ন সমগ্র শাসন সংস্কৃত গদ্যে লিখিত । সম্ভবতঃ কোন কঠিন বস্তুর আঘাতে স্থানে স্থানে কাটিয়া যাওয়ায় কতিপয় অক্ষর বিলুপ্ত হইয়াছে এবং সন্মুখভাগের শেষ অংশে অনেক অক্ষর প্রায় মুছিয়া গিয়াছে। বাম ভাগে একটি গোলাকার রাজ و يخ حس:6 ميج মুদ্র সংযুক্ত রহিয়াছে। মধ্যে দুইটি সমরেখা দ্বারা মুত্রাটি ছুই অংশে বিভক্ত। উদ্ধাংশে শৈবধৰ্ম্মাবলম্বী রাজার কুলচিহ্নস্বরূপ মহাদেবের বাহন বৃষ নিজ দক্ষিণে মুখ উচু করিয়া উপবিষ্ট অবস্থায় অঙ্কিত রহিয়াছে। নিম্ন ভাগে রাজার নাম উৎকীর্ণ ছিল, কিন্তু প্রায় মুছিয়া शिशtछ्-अशद्राघवै (ब) नाe { थः) । ब्राथभूजाब এই কুলচিহ্ন বলভার মৈত্রক-বংশীয় রাজগণের সম্পূর্ণ wo" ( Gupta Inscriptions, p. 164) of মহারাজাধিরাজ হর্ষবৰ্দ্ধনও এই কুলচিহ্নই নিজমুদ্রায় (Ibid, p. 23া উৎকীর্ণ করিয়াছেন। ইহারা সকলেই শৈব ছিলেন এবং হর্ষবৰ্দ্ধনও নিজকে তাম্রশাসনে "পরমমহেশ্বর" বলিয়াই ঘোষিত করিয়াছেন। জাম্রফপুরের তাম্রশাসনে খড়গবংশীয় বৌদ্ধরাজা দেবখড়েগর মুদ্রাতেও একটি বৃষ অঙ্কিত রহিয়াছে, কিন্তু তাহার বিস্কাস আমুরূপ নহে । এই তাম্রশাসন দ্বারা ১.৮ সম্বৎ ২৪ পৌষ তারিখ জয়স্কন্ধাবার “স্ক্রীপুর’ হইতে মহাদেবাঙ্গুরক্ত “মহারাজ শ্রীবেন্তগুপ্ত" ( ১ পংক্তি ) অধীনস্থ “মহারাজ রুদ্রদত্তের” বিজ্ঞাপনাক্রমে ( ৩ পংক্তি ) মহাযান মতাবলম্বী বৌদ্ধাচায্য শাস্তি দেবের উদ্দেশ্যে উক্ত রুদ্রদত্ত কত্ত্বক নিৰ্ম্মিত বিহারের জন্তু ( ৪ পংক্তি) "উত্তর মণ্ডলে" অবস্থিত “কান্তেড়দক’ নামক গ্রামে ( ৭ পংক্তি ) পাচ খণ্ডে বিভক্ত "একাদশ পাটক’ পরিমিত ভূমি অগ্রহাররূপে প্রদান করেন ( ৮ পংক্তি ) ৷ শেষ দিকে ( ১৮-৩১ পংক্তি) এই পাচ খণ্ড ভূমির পরিমাণ ও চতুদ্ধিকের সীমানির্দেশ ব্যতীত বিহারের "তলভূমির” ( ২৭ পংক্তি ) এবং “হজিক খ্রিস্তু ভূমির"ও (৩• পংক্তি ) সীমা নির্দিষ্ট রহিয়াছে। দূতকের নাম “মহারাজ শ্ৰীমহাসামন্ত বিজয়সেন” (১৬ পংক্তি ) এবং লেখকের নাম “করণকায়স্থ নয়দত্ত” । "