পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ৷ মনে হয় দুই বৎসরের ভিতর শিল্পটিকে আয়ত্ত করা যায় । বিশ্বভারতীর ঐনিকেতনের কারুবিভাগে গালার কাজ শিক্ষা দিবার বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ইলামবাজারের গালার শিল্প এখানে অনেক উন্নত হইয়াছে। বাক্স, আসবাবপত্র প্রভৃতি এখন স্বন্দর স্বন্দর ডিজাইনে গালার কাজে স্থশোভিত হইতেছে । শান্তিনিকেতনের শিল্পীরা তাঙ্গাদের পরীক্ষণ এবং অধ্যবসায়ের ফলে স্থানীয় কারিগরদের সাহায্যে এই শিল্পটিকে কৃতকার্য্য করিয়াছেন । সস্তোযজন ফল পাইতে প্রায় তিন বৎসর লাগিয়াছিল । কাঠের উপর গালা লাগাইতে গিয়া অনেক বেগ পাইতে হইয়াছে । বিভিন্ন কাঠের উপর গাল লাগাইয়া উপযোগী কাঠ মনোনয়ন করিতে হইয়াছে । কাঠের উপর গালা লাগাইতে এই কয়টি বাধা উপস্থিত হইয়াছে— ( ১ ) গাল! কাঠের উপর লাগিতে চায় না ; ( ২ ) গাল লাগিলেও কিছু পরে ফাটিয়া যায়, অথবা ফোটা ফোট দাগ পড়িয়া যায়। পরীক্ষা দ্বারা, "গাম্ভার’ কাঠকেই গালার কাজের পক্ষে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া মনোনয়ন করা হইয়াছে । ইহাতে গাল! সমানভাবে লাগিয়া ধায়, এবং পরে ফাটিয়া যায় না। সেগুনকাঠ ভাল নয়, এক বছর পরে দাগ পড়িতে থাকে । শালকাঠ চলনসই, কিন্তু তাহাতে ছুতার মিস্ত্রীর কাজ চলিতে পারে না । 瞳 কাঠের উপর গালা লাগাইবার বিধি কাঠ এবং রঙীন গাল একসঙ্গে গরম করিয়া লাগাইতে হইবে । উত্তাপ পরিমিত না হইলে এই বিপদ উপস্থিত হইবে— ( ১ ) কাঠের সঙ্গে গালা লাগিতে চাহিবে না। . (২) কাঠ হইতে গালা চুলের আকারে সরু সরু নালে উঠিয়া আসিবে । (৩) যতটা প্রয়োজন তদপেক্ষা বেশী গাল এক জায়গায় পড়িয়া যাইবে । গালা লাগান হইলে এক টুকরা সরকাঠি ঘষিয়া সমান করিয়া ༽་མ་ཧཱ་ স্বারা পালিশ করিতে হইবে। পরে তালপা দিয়া পালিশ করিলে চকুচকে গালার কাজ 經 হইবে । ঘষার সময়ে মাঝে মাঝে কাঠ এক আধ সেকেণ্ডের জন্য গরম করিয়া লওয়া দরকার । পেপারওয়েট প্রস্তুতবিধি টেবিলের উপর কাগজপত্র চাপা দিবার জন্য স্বদুখ পেপারওয়েটু হইয়া থাকে। প্রথমতঃ নির্দিষ্ট আকারে মাটিতে পেপারওয়েট গড়িতে হইবে, ইহার উপর মাটিগালার প্রলেপ "...o. | রঙীন গালার কাজ ইহার উপর চলিবে করিবার বিধি পূৰ্ব্ববং । ফাঁপা ফল প্রস্তুত বিধি বড় আকারের ফল, যেমন -আমি পেপে ইত্যাদি— ঠাসা প্রস্তুত হয় না, কারণ অনর্থক অনেক গালা নষ্ট হয়, সেজন্য ভিতরটা শিপা রাখে । হয়।—একটা কাঠির ডগায় দড়ি জড়াইয়া, ফলের আকারে মাটিগাল ষ্টতার উপর লাগাষ্টতে হয় । এর উপর রঙীন গালার কাজ । কোনো কোনো ফলে—যেমন পাক আম দেপা যায়, একটা রঙের সঙ্গে অন্য রং মিশিয়া গিয়াছে—চলদের সঙ্গে সিন্দূরের মিশ্রণ। ইলদে গালা প্রথম লাগাষ্টতে হইবে, পরে একট। বলের ভিতর সিন্দুর পুরিয়া গরম করিয়া হলদের উপর লাগাঙ্গলে লাগিয়া যাক্টবে । তালপাত দিয়া ঘমিলে আমের মত দেখাইবে । ফfপ এষ্টরূপে করিতে পাক৷ ফিতার কাজ বিভিন্ন প্রকারের ডিজাইন শিল্পীর রুচি এবং মৌলিকতার উপর নির্ভর করে । সব রকমের নমুনা বলা সম্ভব নয়। কয়েকটি নিয়ে দেওয়া গেল । যে-সকল ডিজাইনে লাইন ব্যবহার করা হয়, ভার্গকে ফিতার কাজ বলে। রঞ্জন গালা গরম করিয়া হাত নিৰ্মা টানিয়া সরু ফিতার মত করা যায় ; গরম করিয়া এগুলি লাগাইলেই লাইক্সে কাজ দিবে।