পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$పెe প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড শুনিনি অনেক দিন—সেই, “আমি চঞ্চল হে’— গাও তো ? মেঘলা দিনের দুপুর। বাহিরের দিকে একটা সাহেব বাড়ীর কম্পাউণ্ডে গাছের ডালে অনেকগুলি পার্থী কলরব করিতেছে । অপু গান জারভ করিল, লীলা জানালার ধারেই বসিয়া বাহিরের দিকে মুখ রাখিয়া গানটা শুনিতে লাগিল। লীলার মনে আনন্দ দিবার জন্য অপু গানটা দু তিন বার ফিরাইয় अंशंझिब्न ! গান শেষ হইয়া গেল, তবু লীলা জানালার বাহিরেই চাহিয়া আছে, অল্পমনস্কভাবে যেন কি জিনিষ লক্ষ্য করিতেছে। অপুর মনে হইল লীলা কাদিতেছে । খানিকক্ষণ কাটিয়া গেল । দুজনেই চুপ করিয়া রহিল। পরে হঠাৎ লীলা বলিল-আচ্ছা, একটা কথার উত্তর দেবে ? লীলার গলার স্বরে অপু বিস্মিত হইল । বলিল— কি কথা ?-- —আচ্ছা, বেঁচে লাভ কি ? অপু এ প্রশ্নের জন্ত প্রস্তুত ছিল না—বলিল—এ কথার কি—এ কথা কেন ? —বল না 7••• —না, লীলা । এ ধরণের কথাবাৰ্ত্তা কেন ? এর দরকার নেই। —আচ্ছা, একটা সত্য কথা বলবে ?-- —কি বল ?--- —আচ্ছা, আমাকে লোকে কি ভাবে ? · সেই লীলা । তার মুখে এ রকম দুৰ্ব্বল ধরণের কথাবাৰ্ত্তা সে কি কখনও স্বপ্নেও ভাবিয়ছিল ! অপু এক মুহূৰ্ত্তে সব বুঝিল—অভিমানিনী, তেজস্বিনী লীলা আর সব সহ করিতে পারে, লোকের ঘুণ তাহার অসহ । গত কয়েক বৎসরে ঠিক তাছাই জুটিয়াছে তাহার কপালে । এতদিন সেটা বোঝে নাই—সম্প্রতি বুঝিয়াছে—বুঝিয়া জীবনের উপর টান হারাইতে বলিয়াছে । জপুর গলায় যেন একটা ডেলা জাটকাইয়া গেল । সে যতদূর সম্ভব সহজ স্বরে বলিল –এ ধরণের কথা সে এ পর্য্যন্ত কোনো দিন লীলার কাছে বলে নাই, কোনো দিন না ।–“দেখো লীলা, অন্ত হোকের কথা জানি নে, তবে আমার কথা শুনবে ?...আমি তোমাকে জামার মায়ের পেটের বোন ভাবি—তোমাকে কেউ চেনে নি, চিনলে না । এই কথা ভাবি-জাজ ময় লীলা, এতটুকু বেলা থেকে তোমায় আমি জানি, অঙ্ক’ লোকে ভুল করতে পারে, কিন্তু আমি— লীলা অবাক হইয়া গেল, কখনও সে এ রকম দেখে নাই অপুকে । সে জিজ্ঞাসা করিতে যাইতেছিল—সত্যি বলচ r—কিন্তু অপুর মুখ দেখিয়া বুঝিল প্রশ্নট। অনাবশ্যক। পরক্ষণেই সে তাড়াতাড়ি জানালার বাহিরের निटक भूर्श किब्राहेब्रा जहेण । অপুও বাহিরে চলিয়া আসিল—সে অনুভব করিড়েছিল, লীলার মত সে কাহাকেও ভালবাসে না-সেই গভীর অনুকম্পামিশ্রিত ভালবাসা, যা মানুষকে সব ভুলাষ্টয়া দেয়, আত্মবিবর্জনে প্রণোদিত করে । তিনদিন পরে বিমলেন্দু মা ও বোনকে লইয়া ধরমপুব রওনা হইল । চাকরি অনেক খুজিয়াও পাইল না । বেকার-সমস্যা শহরে অতি ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে, তবে আজকাল লিখিয়া সামান্ত কিছু আয় হয়। কোনোরকমে দুজনের চলে। অপু প্রাণপণ চেষ্টা করে মাতৃহারা পুত্রের মায়ের অভাব দূর করিতে, অনেকটা অপটু, আনাড়ি ধরণে । তাহাতে অনেক সময়ে হয়ত কার্য্যের অপেক্ষ। কার্য্যের ইচ্ছাটাই বেশী প্রকাশ পায় । এ বিস্কুটগুলা বেশ দেখাইতেছে, থোক ভালবাসে, লণ্ডয়া যাক । রাঙ: রবারের বেলুনটার কত দাম ? রাত্রে শুইয়াই কাঞ্জল অমনি বলে—গল্প হল বাবা । আচ্ছ। বাবা ওই যে রাস্তায় ষ্টfঞ্জন চালায় ধারা, ওর। কি যখন হয় থামাতে পারে, যেদিকে ইচ্ছে চাঙ্গাতে পারে ? সে মাঝে মাঝে গলির মূখে দাড়াইয়। বড় রাস্তায় ষ্টাম রোলার চালাইতে দেখিয়াছে । যে লোকটা চালায় তার উপর কাজলের মনে মনে হিংসা হয় । কি মঞ্জী ওষ্ঠ কাজ করা -“যখন খুলি চালানে, যতদূর হয়, যখন খুশী থামানো । মাঝে মাঝে সিটি দেয়, একটা চাকা বসিয়া বসিয়া ঘোরায় সব চুপ করিয়া আছে । সামনের একটা ডাগু যাই টেপে আমনি ঘটাং ঘটাং বিকট শব্দ । - সকালে একদিন অপু মেঝেতে মাদুর পাতিয়া বসিয়া বসিয়া কাজলকে পড়াইতেছে, একজন কুড়ি বাইশ বছরের চোখে-চশমা ছেলে দোরের কাছে জাসিয়া দাড়াইয়৷ বলিল—আজ্ঞে আসতে পারি ?...আপনারই নাম অপূৰ্ব্ববাৰু? নমস্কার – —আস্বন, বস্থন, বস্থন । কোথেকে আসচেন ! —জাঙ্কে, আমি ইউনিভাসিটিতে পড়ি । আপনার বই পড়ে আপনার সঙ্গে দেখা করতে এলুম। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব সবাই এত মুগ্ধ হয়েচে, তাই আপনার foश्ानां निट्झ অপু খুব খুশী হইল—বই পড়িয়া এত ভাল লাগিয়াছে