পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

49 খেজুর পাতার অথবা তালপাতার কাটার মত সরু ডগা এই কাজে লাগে । ফিতার কতকগুলি লাইন বসাইয়া, গরম করিয়া কাটা দিয়া টানিলে, লাইনগুলি বাকিয়া বাকিয় ঘাইবে-কতকটা করাতের মুখের মত । কোনো ধাতুর ক্ষাটা ব্যবহার করা বিধেয় নহুে—কারণ খত্ব শীঘ্ৰ গরম হুইয়া উঠে । ফোটার কাজ নান। রঙের ফোট দিয়া ডিজাইন হইতে পারে । রঙীন গালা গরম করিয়া ভাত দিয়া টিপিয়া তুলির মত করিতে হুইবে । ইহার সরু ডগা দিয়া ফোটা দিতে হয় । ফোটাগুলি উচু হইয়া পড়ে ; কাঠের বাক্সের উপর ফোটার ডিজাইন বেশ মানায় ! প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড টেবিল, চেয়ার, ড্রেসিং টেবিল, চারপাই, আয়না, অথবা ছবির ফ্রেম প্রভৃতিতে গালার কাজ হইয়া থাকে। ছোট বাক্সের উপর গালার ডিজাইন খুবই মনোরম বস্তু । গহনার বাক্সরূপে অথবা সিগারেট কেস হিসাবে ইহার ব্যবহার চলে। কাঠের কৌটা—য়্যাশ-ট্রে হিসাবে চলে, ফুলদানী, সিন্দুরের কৌটা খালি গালার তৈরি । গালার কাজের জিনিষ বিবাহাদিতে উপহার হিসাবে খুবই নয়নাভিরাম হইতে পারে। আসবাবপক্সের উপর সাধারণ রং দিয়া জাকি তাহার উপর গালার বাণিশ লাগান যাইতে পারে ; এই উপায়েণ্ড কোথাও কোথাও আসবাবপত্র সুশোভিত হয় । ইহাকে গালার কাজ বা ল্যাকার ওয়ার্ক বলা চলে না । একেবারে রঙীন গালা দিয়া করার নামই গালার কাজ । গালার কাজের তুলনায় অন্ত কাজ পেলে দেখায় । গালার কাজ বস্তুতঃ খুব সৌধীন সামগ্ৰী । মোটবাহী শ্ৰীমতী শান্তি সেন প্রভাত হইতে-না-ইষ্টতেই श्श्व । শাখা-পরা দুইখানি শীর্ণ হাত সারাদিন অবাধে চলিতে থাকে। বিশ্রাম বা আরাম বলিয়া যেন কিছুই নাই । ফাই-ফরমাস হইতে আরম্ভ করিয়া ভারী কাজ পখন্ত সবষ্ট ঐ দুইখানি হাতের উপর দিয়া অশ্রাস্ত বেগে চলে । তবু কাহারও মন উঠে না । সামান্ত কথার উত্তর দিতে গিয়া একেবারে নাকাল झझे८उ ट्छ । cब्रशझे नाझे ! বলে,—“কথা বলতে লজ্জা হয় না ? জোরে এত ? তবু যদি সোয়ামীর জোর থাকৃত ।” স্বামীর জোর সত্যই তার নাই। থাকিলে কেনই-বা এ দুৰ্গতি হইবে ? কিন্তু মা-বোনের মুখে একথা শুনিতে যেন বুক ভাঙিয়া যায় ! গৃহস্থালীর কাজ স্বরু কিসের 会 ভাঙিয়া গেলেও ভাঙাবুক লইয়াই চলিতে হুইবে । সংসারেব উপর অভিমান করিয়া বসিয়া থাকা তার সাজে না । দুঃখ যা আছে—থাক্‌ ! কাহারও উপর রাগ হয় না,—কিছু বলে ও না । কাদে । অদৃষ্টকে ধিক্কার দেয় । স্বামী যার থাকিয়াও থাকে না, তার বিড়ম্বনার কি অবধি আছে ? স্বামীর কথা ভাবিতে মনটা বিরক্তিতে সঙ্কচিত হইয়া আসে। লজ্জায় মুখ দেখাইতে ইচ্ছা হয় না, মৃত্যুর চিরঅন্ধকারে ঢাকিয় ফেলিতে চায় । তারও উপায় নাই ! অন্তত: ছেলে ও মেয়েটার জন্যই তাহাকে বঁচিতে হইবে । দায়িত্বের দায় তাচ্ছিল্য করা ত যায় ন;! তারপর পেটের সম্ভান, বাচিয়৷ থাকিলেই সার্থক !