পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆఫిః3 eAMAMMAAASS SAA AA ASASASA AAA MAMMS SSSSSSS SAMSAMMAAA AAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS গ্রামের মেয়ে, তাহাকে ছোট্ট দেখিয়াছে, সে ছাড়া এত আপনার মনের মত আস্তরঙ্গত কে দেখাইতে পারে । লীলাদি ছিল তাহাঙ্গের ধনী প্রতিবেশী ভুবন মুখুয্যের মেয়ে, বয়সে তাহার অপেক্ষ অনেক বড়, অল্প বয়সে বিবাহ হইয়াছিল, তারপরেই শ্বশুরবাড়ী চলিয়া গিয়াছিল ও সেখানেই থাকিত । শৈশবে অল্পদিন মাত্র উভয়ের সাক্ষাৎ কিন্তু আজ জপুর মনে হুইল লীলাদির মত আপনার জন সারা কাশীতে আর কেহ নাই । শৈশব-স্বপ্নের সেই নিশ্চিন্দিপুর, তারই জলে, বাতালে দুজনের দেহ পুষ্ট ও বৰ্দ্ধিত হইয়াছে একদিন । তারপর লীলা অপুর জগু আসন আনিয়া পাতিয়া দিল, দালানেই পাতিল, ঘরদোর বেশী নাই, বিশেষ করিয়া পরের সংসার, নিজের নহে । সে নিজে কাছে বসিল, কত কথা, কত ইতিহাস, কত খোজ-খবর লইল । আপনার কথাও অনেক বলিল, অপুর বারণ সত্ত্বেও ছেলেকে দিয়া জলখাবার আনাইল, চা করিয়া निल ! লীলা অনেক কথা বলিল । বড় ছেলেটি চৌদ্ধ বছরের হইয়া মারা গিয়াছে, তাহার উপর সংসারের এই দুর্দশ । উনি পক্ষাঘাতে পজু, ভাস্করের সংসারে চোর হইয়া থাকা, ভাস্কর লোক মন্দ নন, কিন্তু বড় ভাজ-- পায়ে কোটি কোটি জগুবৎ । দুর্দশার একশেষ । সংসারের ষড উঞ্চ কাজ, সব তাহার ঘাড়ে, আপন জন কেহ কোথাও নাই, বাপের বাড়িতে এমন কেক নাই যাহার কাছে দুইদিন আশ্রয় লইতে পারে । সতু মাহুষ নয়, লেখাপড়া শেখে নাই, গ্রামে মুীর দোকান করে, পৈতৃক সম্পত্তি একে একে বেচিয়া থাইতেছে— তাহার উপর দুইটি বিবাহ করিয়াছে,একরাশ ছেলেপিলে । তাহার নিয়েরই চলে না, লীলা সেখানে আর কি করিয়া গিয়া থাকে ? অপু বলি-দুটো বিয়ে কেন ? —পেটে বিদো না থাকৃলে ষ হয়। প্রথম পক্ষের বেীএর বাপের সঙ্গে কি ঝগড়া হ’ল, তাকে জবদ করার জন্তে আবার বিয়ে করলে ৷ এখন নিজেক্ট জবা झटकन, छ्हें ८बो घाटफ़-उाग्न ७भद्र छूट्ठे ८बो £ब्रहे ছেলেপিলে । তার ওপর রাকুও ওখানেষ্ট কিনা ! —রাণু দি । ওখানে কেন ? —তারও কপাল ভাল নয় । আজ বছর সাত আট বিধবা হয়েচে, তার আর কোনো উপায় নাই, সত্যুর সংসারেই আছে । শ্বশুরবাড়িতে এক দেওর আছে, মাঝে মাঝে নিয়ে যায়, বেশীর ভাগ নিশ্চিন্দিপুরেই 喀忆夺长 - অপু অনেকক্ষণ ধরিয়। রাণুদির কথা জিজ্ঞাসা করিবে প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ DAMMAAA SAAAAAS SAAA M S SMMMMS MeeS gMAAM MMS MAMMMS MASAMA AMAeAeMMAMAMAAASAAAA [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভাবিতেছিল, কিন্তু কেন প্রশ্নটা করিতে পারে নাই সেই জানে। লীলার কথার পরে অপু অল্পমনস্ক হষ্টয়া গেল। হঠাৎ লীলা বলিল—দেখ ভাই অপু, নিশ্চিন্দিপুরের সেই বাশবনের ভিটে এত মিষ্টি লাগে, কি মধু যে মাথানে ছিল তাতে । ভেবে দেখ, মা নেই, বাবা নেই, কিছুই তো নেই- তবুও তার কথা ভাবি—সেই বাপের ভিটে আজ্ঞ দেখিনি এগার বছর-সেবার সতুকে চিঠি লিখলাম, উত্তর দিলে এখানে কোথায় থাকৃবে— থাকুবার ঘরদোর নেই-পূবের বড় দালান ভেঙে পড়ে গিয়েচে, পশ্চিমের কুঠুরীদুটোও নেই, ছেলেপিলে কোথায় থাকবে—এই সব একরাশ ওজর । বলি, থাকৃ তবে, ভগবান যদি মুখ তুলে চান কোনোদিন, দেখব— নয় তে। বাবা বিশ্বনাথ তো চরণে রেখেইছেন— লীলা ঝর ঝর করিয়া কাদিয়া ফেলিল । সে বলিল ঠিক বলেচ লীলাদি, আমারও গায়ের কথা এত মনে পড়ে ! সত্যিই কি মধুমাখানে ছিল, তাই এখন ভাবি । লীলা বলিল, পদ্মপাতায় থাবার খাস্নি কতদিন বল দিকি ? এ-সব দেশে শাল পাতায় খাবার ধেতে খেতে পদ্ম পাতার কথা ভুলেই গিইচি, না ? আবার কাগজে এক একদিন এক একটা দোকানে থাবার দেয় । সেদিন আমার মেজ ছেলে এনেচে, আমি বলি, দূর দুর, ফেলে দিয়ে আয়, কাগজে আবার মিষ্টি খাবার কেউ দেয় আমাদের দেশে ? অপুর সারা দেহ স্থতির পুলকে যেন অবশ হইয় গেল। লীলাদি মেয়েমানুষ, এ সব খুটিনাটি জিনিষ ভারী মনে রাখে, ঠিকই বটে, সেও পদ্মের পাতায় কতকাল খাবার খায় নাই, ভুলিয়াই গিয়াছিল কথাটা । তাহাদের দেশে বড় বড় বিল থাকায় পদ্ম পাতা সস্তা, সব দোকানে তাই ব্যবহার করিত, শাল পাতার রেওয়াজ ছিল না। নিমন্ত্রণ বাড়িতেও পদ্মপাতাতে ব্রাহ্মণভোজন ইষ্টত, লীলাদির কথায় আজ আবার সব মনে পড়িয়া গেল । লীলা চোখ মুছিয়া জিজ্ঞাসা করিল—তুষ্ট কতদিন যসিনি সেখানে অপু ? তেইশ বছর ? কেন, কেন ? আমি না হয় মেয়েমানুষ—তুই তো ইচ্ছে করলেই حمام ع عCRI – তা নয় লীলাদি । প্রথমে ভাব তুম বড় হ'য়ে যখন রোজগার করব, মাকে নিয়ে আবার নিশ্চিন্দিপুরের ভিটেতে গিয়ে বাস করব, মার বড় সাধ ছিল। মা মারা যাওয়ার পরেও ভেবেছিলুম কিন্তু তার পরে—ইয়ে— স্ত্রীবিয়োগের কথাটা অপু আর বয়োজ্যেষ্ঠ লীলাদির