পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆఫ్రిS প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড মেয়ে, শৈশব দিনের এক স্বনর আনন্দ মুহুর্তের সঙ্গে লীলা-দির নাম জড়ানো- বার বার কথা কহিয়াও যেন তাহার তৃপ্ত হইতেছিল না । আসিবার সময় অপু মুগ্ধ হইল লীলা-দির আস্তরিকতা দেখিয়া । তাহাকে জাগাইয় দিতে আসিয়া সে নীচে নামিয়া আসিল, আবার চিবুক ছু ইয়া আদর করিল, চোখের জল ফেলিল, যেন মা, কি মায়ের পেটের বড় বোন। কতকগুগা কাঠের খেলনা হাতে দিয়া বলিল— থোকাকে দিস্—তার জন্তে কাল কিলে এনেছি। অপু ভাবিল—কি চমৎকার মাচুৰ্য লীলা-fদ !--"আহ! পরের সংসারে কি কষ্টটাই না পাচ্চে ! মুখে কিছু বললুম না—তোমায় আমি বাপের ভিটে দেখাব লীলা-দি, এই বছরের মধ্যেই । ট্রেণে উঠিয়া সারাপথ কত কি কথা তাহার মনে যাওয়া আসা করিতে লাগিল । রাজঘাটের ষ্টেশনে ট্রেণে উঠিল আজ কতকাল পরে । বাল্যকালে এই ষ্টেশনেই সে প্রথম জলের কল দেখে, কাশী নামিয়াই ছুটিয়া গিয়াছিল আগে জলের কলটার কাছে। চেচাইঃ বলিয়াছিল--দেখো, দেখো মা, জলের কল সে সব কি আজ ?-- জাজ কতকদিন হইতে সে আর একটি অস্তুত জিনিষ নিজের মনের মধ্যে অতুভব করিতেছে, কি তীব্রভাবেই জতুভব করিতেছে । আগে তো এ ছিল না ? অস্ততঃ এ ভাবে তে। কই কখনও এর আগে—সেটা হইতেছে ছেলের জষ্ঠ মন কেমন করা । কত কথাই মনে হইতেছে এই কয়দিনে-পাশের বাড়ির বাড়ধ্যে গৃহিণী কাজলকে বড় ভালবাসেন—সেখানেই তাহাকে রাখিয়! আসিয়াছে । এর আগেও একবার দুতিন দিনের জন্ত কলিকাভ হইতে কার্ধ্যোপলক্ষে বাহিরে যাইবার সময় ওখানেই কাজলকে রাখিয়াছিল । সেবার কিন্তু তত মন উতল হয় নাই, এবার কখনও মনে হইতেছে, কাজল ষে দুষ্ট, ছেলে হয়ত গলির মোড়ে গিয়া দাড়াইয়াছিল, কোনো বদমাইস লোকে ভুলাইয়া কোথায় লইয়া গিয়াছে । किरदा इबड हूनिहूनि बाक्लो हद्देण्ड बाश्मि इहेश्च ब्राथ পার হইভে যাইতেছিল, মোটর চাপ পড়িয়াছে কিন্তু তাহা হইলে কি বাড়ধ্যেরা একটা তার করিত না ? হয়ত তার করিয়াছিল, ভুল ঠিকানায় গিয়া পোছিয়াছে । উহাদের আলিসাবিহীন নেড় ছাদে ঘুড়ি উড়াইতে फेठिंग्र! *क्लिब्रुः श्वाञ्च नाझें ड ? कि कृ कॉयल उठ कशनe ঘুড়ি ওড়ায় না ? একটু আনাড়ি, ঘুড়ি ওড়ানো কাজ একেবারে পারে না। ন!—লে উড়াইতে যায় নাই, তবে হয়ত বড় ষো বাড়ীর ছেলেদের দলে মিশিয়া উঠিয়া ছিল, আশ্চৰ্য্য কি ! আর্টিষ্ট বন্ধুর কথার উত্তরে সে খানিকট। আগে বলিয়াছিল, সে জাভা, বালি, স্বমাত্রা দেখিবে, প্রশান্ত সাগরের দ্বীপপুঞ্জ দেখিবে, আফ্রিকা দেখিবে—-ওদের বিষয় উপস্থাস লিখিবে । সাহেবের দেখিয়াছে তাদের চোথে—সে নিজের চোখে দেখিতে চায়, তার মনের রঙে কোন রঙ ধরে ইউগাণ্ডার দিকদিশাহীন তৃণভূমি। কেনিয়ার অরণ্য । বুড়ে বেবুন স্নালে কর্কশ চীৎকার করিবে, হাধুেনা পচ। জীবজন্তুর গন্ধে উন্মাদের মত আনন্দে হি-fহ করিয়া হাসিবে । দুপুরে অগ্নিবৰ্ষী, খররেীত্রে কম্পমান উত্তাপতরঙ্গ মাঠে প্রাস্তরে ' জনহীন বনের ধারে কতকগুলি উচুনীচু সদাচঞ্চল, বাকী রেখার স্বস্থি করে—সিংহের দল পাকাইয়। ছোট কণ্টকবৃক্ষের এতটুকু ক্ষুদ্র ছায়ায় গোলাকারে দাড়াইয়া অগ্নিবৃষ্টি হইতে আত্মরক্ষা করে— কিন্তু খোকা যে টানিতেছে আজকাল, কোনে। জায়গায় যাইতে মন চায় না থোকাকে ফেলিয়া । কাঞ্জল, খোকা, কাজল, থোকা, খোকন, ও ঘুড়ি ওড়াইতে পারে না, কিছু বুঝিতে পারে না, কিছু নিৰ্ব্বোধ । কিন্তু ও ওর খোকন, জানাড়ি মুঠোতে বুকের তার স্ট্রাকৃড়াইয়। ধরিয়াছে টানিতেছে, প্রাণপণে টানিতেছে—ছোট্ট দুৰ্ব্বল হাত দুটি নিৰ্দ্দয়ভাবে মুচড়াইয়া সরাইয়া লণ্ডয়া ? সৰ্ব্বনাশ ! ধাম। চাপা থাকুক বিদেশধাজ্ঞা । কি জানি কেন অাজ কত কথাই মনে পড়িতেছে, বিশেষ করিয়া নিশ্চিন্দিপুরের কথা । হয়ত এতকাল পরে লীলাদিদির সঙ্গে দেখা হওয়ার জন্যই । ঠিক তাই । বহু দূরে আর একটি সম্পূর্ণ অষ্ট ধরণের জীবন-ধারা বাশবনের আমবনের ছায়ায় পাখীর কলকাকলীর মধ্য দিয়া, জানাঅজান বনপুষ্পের স্ববাসের মধ্য দিয়া মুখে দুঃখে বহুকাল আগে বস্থিত—এককালে ধার সঙ্গে অতি ধনিষ্ঠ যোগ ছিল ভার—আজ তা স্বপ্ন-স্বপ্ন, কতকাল আগে দেখা স্বপ্ন! গোট নিশ্চিন্দিপুর, তার ছেলেবেলাকার দিদি, মা, ও রাণুদি, মাঠ বন, ইছামতী সব অস্পষ্ট হইয়। গিয়াছে, ধোয়ী, ধোয়া মনে হয়, স্বপ্নের মতই অবাস্তব । সেখানকার কথা কতকগুলি অস্পষ্ট স্মৃতিতে আসিয়া দাড়াইয়া যায় । অপুর একটা কথা মনে হইয়া হাসি পাইল । গ্রাম ছাড়িম্ব আসিবার বছরখানেক আগে অপু একরাশ কড়ি পাইয়াছিল । তাহার বাবা শিয্যবাড়ি হইতে এগুলি জানে। এত কড়ি কখনও অপু ছেলেবেলায় একসঙ্গে দেখে নাই । তাহার মনে হইল সে হঠাৎ অত্যন্ত बफ़रणाक छ्हेब्री शिघ्राuझ-दफ़ि cथनाञ्च cन घउद्दे शब्रिग्रl যাক্ তাহার অফুরন্ত ঐশ্বয্যের শেষ হইবে না। একটা গোল বিস্কুটের ঠোঙায় কড়ির রাশি রাখিয়া দিয়াছিল।