পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী দেবী ও পুরী বিধবাশ্রম ঐলাবণ্যলেখা দেবী বাংলা দেশের নগরে ও গ্রামে গ্রামে বহুস্থান ঘুরিয়া যাহা দেখিয়াছি তাহাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছে যে, ভদ্রঘরের বিধবারাই নিম্নশ্রেণী অপেক্ষ পরের অধিক গলগ্রহ, নিরুপায় ও নিঃসহায় । ঢাকায় একটি বিধবাশ্রম থাকায় পূৰ্ব্ববঙ্গের কয়েকটি বিধবা কিছু কিছু শিক্ষা করিয়া এখন শিল্পকার্ধ্যের দ্বারা আত্মসম্মান রক্ষা করিতেছেন, এমন কি দুঃস্থ আত্মীয়দেরও কিছু কিছু সাহাধাদান করিয়া থাকেন। কলিকাতা ‘বাণী ভবনে’ এই ভাবে কতকগুলি বিধবার আশ্রয় ও শিক্ষার স্বষোগ ঘটিয়াছে, হিরন্ময়ী শিল্পাপ্রমে এবং সরোজনলিনী নারীমঙ্গল সমিতির বিদ্যালয়ে ৪ অনেক বিধবার উপকার হইয়াছে। তথাপি বাংলা দেশের অভাবের তুলনায় এ সকল প্রতিষ্ঠানও যথেষ্ট হইতে পারে না, বরং অত্যয় বলা চলে । এক বৎসর পূৰ্ব্বের কথা। একদিন শুনিলাম পরলোকগড স্যর প্রতুলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পত্নী বসন্তকুমারী দেবী একটি বিধবাশ্রম খুলিবার জন্তু পরামর্শ ও সহায়ত চাহেন । বৈকাল পাচটার সময় তাহাদের কর্ণওয়ালিস ষ্ট্রটস্থ বাসভবনে ষ্টাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলাম। মুখে সৌম্য শ্ৰীমাথা স্থবিরা-গোছের একটি গৌরবর্ণ মহিল; বসিয়া ছিলেন। তিনিই লেডি চ্যাটার্জি। প্রায় দেড়ঘণ্টাকাল তাহার সহিত আশ্রম সম্বন্ধে কথাবার্তা হয়। পূৰ্ব্বে তিনি একটি বিধবাশ্রম পুরীতে খুলিয়াছিলেন, অর্থব্যয় অকাতরে করিয়াছিলেন, কিন্তু যে-সকল নিয়ম শৃঙ্খল এবং শিক্ষা ও কাৰ্য্যপ্রণালীর বিধিবদ্ধড দ্বারা ছাত্রীনিবাস গড়িয়া উঠিতে পারে, তাহার সুযোগ সম্ভবতঃ হয় নাই । তাহার প্রাণ ভর আগ্রহ ও বহু অর্থব্যয়ের পরিবর্তে সার্থকতা না আসতে তিনি দুঃখিত হষ্টলেও আশাহীন হইতে পারেন নাই । বস্তুতঃ বিধবা আশ্রম যখন আতুর আশ্রম হইয়া উঠিল—মলস, অক্ষম ফাকিদার স্ববিধাবাদীদের দ্বারা, তখন তিনি নিঃসন্দেহই মৰ্ম্মাহত হইয়াছিলেন । আমাকে বলিলেন—প্রথমে কলিকাতাতেই আশ্রম করেন, কিন্তু জাতির বড়াই, ছোঙয়া-চুই, ঝগড়া এ সকলে তিনি বিব্রত হইয়া পুরীতে স্থানান্তরিত করেন । কিছু শাস্তি হইল বটে, কিন্তু কুড়ের আডড ভাঙিল না। অল্পবস্ত্রের চিন্তাহীনাদের তীর্থদর্শনে, ভ্ৰমণেই সময় কাটিয়া যাইতে লাগিল । দাতার দানের স্বযোগ লওয়াটাই তাহাদের কাম্য হইয়া উঠিল, ফলে আশ্রম গড়িল না, ভাঙিয়া গেল। তিনি সরোজনলিনী নারীমঙ্গল সমিতির হাতে এই ভার দিতে ইচ্ছুক, যদি তাহার এটি গড়িয়া তুলিতে ও স্বপরিচালিত করিতে পারেন, তবে বরাবর ইহা তাহাজের হাতেই রাখা হইবে । তিনি পুরীর বাট ও মাসিক একশত টাকা এই কল্যাণ কাৰ্য্যের আয়ুকূল্যে দান করিতে পারেন। তিনি আমাকে এই সম্বন্ধে কতকগুলি কাগজপত্ৰ দিয়াছিলেন । আমি তাহাকে আমাদের সরোঞ্জনলিনী নারীমঙ্গল সমিতির শিক্ষালয় দেখিবার জন্য অতুরোধ করিয়া আসি । তাহার পক্ষে অধিক নড়াচড়া পিড়ি-ভাঙা কষ্টকর, তৎসত্বেওঁ তিনি সন্মত হইলেন । অবিলম্বে একদিন তাহার পুত্র মেজর অনিল চ্যাটাজ্জর সহিত তিনি আসিয়া বিদ্যালয় বিশেষ মনোযোগ করিয়া দেখিয়া গেলেন । প্রথম আলাপেই তাহার সৌজন্তে মুগ্ধ হইয়াছিলাম, পরে তাহার সহিত কিছুকাল একত্র বাসে তাহার মহৎ ভাবের পরিচয় পাই । তাহাতে কি গভীর শ্রদ্ধা তিনি আমার অন্তর হইতে আকৰ্ষণ করিয়াছেন আমি তাহা সম্যক প্রকাশ করিতে অসমর্থ। র্তাহীদের লিখিত সৰ্বগুলি কমিটিতে উপস্থিত করা হয়, সরোজনলিনী নারীমঙ্গল সমিতির গুরুভারের উপর, विtनवउः श्रृंग्रेौ कणिकांडा श्रङ थप्नकोहे मूब, uहे দূরের দায়িত্ব লওয়া সম্ভব হয়ত হুইবে না, এইরূপ কথাও উঠে । এই সময়ে ঐযুক্ত হেমলতা দেবী বিশেষ