পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বসন্তকুমারী দেবী ও পুরী বিধবাশ্রম ఆనవి জোরের সঙ্গেই এই দায়িত্ব গ্রহণ করিতে সন্মত হন। বিশেষভাবে জানি আজ প্রায় বার বৎসর পূৰ্ব্বে তিনি তাহার এই শুভ সঙ্কল্প আমাকে জানাইয়াছিলেন। এমন কি এই উদ্দেশ্যে তাহার শাস্তিনিকেতনের বাড়িতেই একখানি মাটির মূতন গৃহ প্রস্তুত করান। সেই গৃহে তিনি মাঝে মাঝে অসহায় বিধবাদিগকে স্থানদান করিতেন । আমাকে বলিয়াছিলেন—“সৰ্ব্বদাই অঙ্গভব করিতেছি দেশের বিধবা মেয়ের বড় বিপন্ন, ইহাদের শিক্ষার জন্ত কিছু ব্যবস্থা করিতে প্রাণ ব্যাকুল হইতেছে, স্বামীর অনুমতি পাইয়াছি, কিন্তু বাবা মহাশয় ( vদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বৃদ্ধ শশুর ) বর্তমানে কোন কর্তৃত্বের ভাবে কিছু করা শোভা পায় না । তিনি সেকেলে লোক, আমি ঘরের বউ, বাহিরের কাজ লইয়। ব্যস্ত থাকিলে যদি পছন্দ না করেন ।* স্বর্গগত। ক্লষ্ণভামিনী দাস ছিলেন শ্ৰীযুক্ত হেমলতা দেবীর অন্তরঙ্গ বন্ধু । তিনি পরলোকগতা হইলে এই ভাবে তাহারই মত বাহিরের কায করার ৪ ষে কতখানি প্রয়োজন তাহ ঐ সময়ে হেমলতা দেবী বিশেষ ভাবেই অন্তরে অস্তরে অতুভব করিতেছিলেন । এই পুরী বিধবাশ্রম গড়িতে তিনি যেরূপ অক্লাস্তভাবে পরিশ্রম করিয়াছেন, তাহ নিজের অস্তরে একটি ঐকাস্তিক তাগিদ ছাড়া কোন মানুষ পারে না। গত বৎসর মার্চ মাসের প্রথম দিন শ্ৰীযুক্ত হেমলতা দেবী, আমি ও ধীরেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ, এম-এ ( সরোজনলিনী সমিতির সর্বপুরাতন কৰ্ম্মী ) পুরী রওনা হইলাম, একটি শিল্প-শিক্ষয়িত্রী সঙ্গে লওয়া হইল । মে ষ্ট্রর চ্যাটাজ্জিই আমাদের কলিকাতা হইতে লইয়া পুরী গেলেন । বসন্তকুমারী দেবী তখন র্তাহার এক ভগ্নী ও দাস-দাসী লইয়া আশ্রম-বাড়িতে ছিলেন, তথায় একটি ছাত্রীও ছিল না, তাহাদের স্ববিবেচনা দেখিয়া খুশী হইলাম। বুঝিলাম, সম্পূর্ণ নূতন করিয়াই গড়িবার ভার দিতেছেন । মেজর চ্যাটাজির ছুটি ছিল না বলিয়া খুব তাড়াতাড়িতে একটি সভার উদ্যোগ করা হয়। সেই সভায় কতকগুলি প্রস্তাব তুলিয়া একটি কমিটি গঠিত হয়। সভাভঙ্গের পর বসম্ভকুমারী দেবী অত্যম্ভ আবেগপূর্ণ কণ্ঠে হেমলতা দেবীকে বলিলেন, “বুঝিলাম এতদিনে বিধাতা আমার অভিলাষ পূর্ণ করিলেন, उषांभां८भग्न यचकभडांग्न झाझ्] अश्कल छ्ध्न नहेि ७थन ७ॉछ् হইবে বলিয়া আমার মনে দৃঢ় প্রতীতি জন্মিতেছে।” দুই তিন দিন পর ঐযুক্ত হেমলতা দেবী ও ধীরেনবাবু কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন । আমি সতের দিন লেডি চ্যাটার্জির সহিত আশ্রমে বাস করিয়াছিলাম । আমাদের অন্তঃপুরে যে কত মহিয়স্ট মহিলা বাস করিতেছেন বাহিরের লোক তাহ অল্পই জানিতে পারে । দেবী বসন্তকুমারী আজ ইহুলোকে নাই, কিন্তু তাহার চরিত্রের মহত্ত্ব স্মরণ করিয়া আমার অস্তুর শ্রদ্ধায় অবনত হইয়া পড়িতেছে । পুণ্যবতী বসন্তকুমারী দেবীর মহৎ উদ্দেশু কি ভাবে এত শীঘ্র এমন সফল হইতে পরিবে আমাদেরও সে ধারণা ছিল না । কয়েক মাস পর—এবার ফেব্রুয়ারিতে গিয়া যাহা দেখিলাম তাহ বাস্তবিকই আমাদের আশাতীত আনন্দের সংবাদ । এই বিধবাশ্রম ও তাহাদের শিক্ষালয়টিকে কেন্দ্র করিয়া গড়িয়া উঠিয়াছে আরও একটি নূতনতর জিনিষ-শিশু-বিদ্যালয়, স্থানীয় ভঞ্জলোকেরা বালকবালিকাদের শিক্ষার জন্য এখানে পাঠাইতেছেন, শিশুদের কলহাস্যে আনন্দকীড়ায় বিধবাদের নিরানন্দ জীবনে তাহাদের নিজেদের শিক্ষার উদ্যমের সঙ্গে সঙ্গে বেশ একটি সজীবতা আনিয়া দিয়াছে । আশ্রমটি বিধবা মেয়েদের দ্বারা পরিপূর্ণ হুইয়াছে। চারিজন শিক্ষয়িত্রী আশ্রমেই বাস করেন, তাহারাও বিধবা । প্রধান শিক্ষয়িত্রীর জীবনও বড় দুঃখময়, দুশ্চরিত্র স্বামীর দ্বারা বালিকা বয়সে পরিত্যক্ত হন, মাতা ও ভ্রাতারা দুঃখিনীকে শিক্ষাদানের দ্বারা জীবনের ভিন্ন পথের আনন্দ দিতে সচেষ্ট হন, তারই ফলে ইনি বি-এ পাস করিয়া নিজের পায়ে দাড়াইয়াছেন। পরে বিধবাও হন। আর দুটি শিক্ষয়িত্রীও অল্প বয়সে বিধবা একজন ট্রেনিং পাস করিয়াছেন, অন্যটি ছাটকাট সূচী-শিল্প ও তাতের কাজে সরোজনলিনী বিদ্যালয় হইতে উত্তীর্ণ । এখানে সকলেরই জীবনের ধারায় একটা মিল মাছে বলিয়া যে শাস্তি বিরাজ করিতেছে সংসারের মধ্যে তাহা প্রায় থাকে না । সংসারে ভোগের