পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 е е चां८ग्नांछtनम्न भtथा अछ मकtजब्र यां★t-यांकद्धिक ভিন্নতর, সেখানে বিধবা তাহার পথ পায় না, আশা উদ্দেশু কোন দিক্ দিয়া তাহাও খুজিয়া পায় না, জীবন নিষ্ফল অর্থহীন, বাচিয় থাকাই বিড়ম্বন এই হয় তাদের ধারণা। এখন শিক্ষার মধ্য দিয়া এই সব মেয়েরাই এখানে একটু একটু করিয়া জগতের ইতিহাসের সহিত পরিচিত হইতেছে । ইউরোপে অনেক মেয়ে স্বেচ্ছায় সমাজসেবায় লোকহিতের আদর্শের মধ্যে জীবনের আনন্দকে লাভ করিয়াছে। কেহ কেহ স্কুল কনভেণ্ট পরিচালনা করিতেছে, এই ভাবে কেহ-ব। বালক-বালিকার শিক্ষার ভার গ্রহণ করিয়া যথার্থ মাতৃভাবের পরিচয় দিতেছে । এই সকল স্বেচ্ছাকৃত সাধনার আনন্দ ব্রহ্মচারিণী ‘নানদের দৃষ্টাস্তে আমরা বুঝি। ভারতের লক্ষ লক্ষ অপুত্রা বিধবার শক্তির যে কত দূর অপচয় হইতেছে তাহ এখন আমাদের বুঝিবার সময় আসিয়াছে । নিয়ম-পালনের আনন্দ একবার মেয়ের বুঝিতে পারলে সহজে তাহা ভঙ্গ করিতে চাহে না । মেয়েরা নিয়মিতভাবে প্রতু যেই গৃহুমার্জন ও স্বানাদি সমাপন করিয়া সমবেতভাবে স্তববন্দনাদি পাঠাস্তুে দিনের তালিকাকুযায়ী নিজ নিজ কৰ্ম্মে প্রবিষ্ট হয় । পালা করিয়া মেয়েরা বাৰ্টুন বাট, কুটুনা বুট ও রন্ধন পরিবেশনাদির ব্যবস্থা ঘেমন করে, তেমনি প্রভাতের দিকে বাগানের কার্য্য ও তাতশালার কাৰ্য্যও করিয়া থাকে। সাড়ে দশটায় আহারাদি একত্রে সারিয়া লয়, ঠিক এগারটার সময় স্কুল আরম্ভ হয় । একখানি মোটর-বাসে দুই থেপে শিক্ষার্থী বালক-বালিকা ও মহিলাগণকে ( যাহারা বাড়ি হইতে স্কুলে আসে ) আনা হয়। ইংরেজী বাংলা সাহিত্য ব্যাকরণ ইতিহাস ভূগোল অঙ্ক চতুর্থশ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার ব্যবস্থার সহিত তাতের কাজ, সতরঞ্চি, আসন, তোয়ালে, থান প্রভৃতি স্ব চী-শিল্প ছাটকাট দক্ষীর কাজ, এম্ব্ৰয়ডারি জরির কাজ, পশমের বুননের কাজ শিক্ষা দেওয়া হয়। গীতবাদ্য শিক্ষারও ব্যবস্থা আছে । সকল মেয়েই অত্যন্ত উৎসাহের সহিত শিখিতে চাহে। তবে সকলের রুচি ও পারদর্শিতা একই বিষয়ে সম্ভব নহে, কেহ কেহ অধিক আগ্রহ প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ AAAAAASA SAAAAS AAAAAMMAMA MMAAA SAAAASAASAASAASAASAA AAAAMAMS SSAS SSAS SSSSSS MMAMS MAAS AAASASASS [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড করিয়া লেখাপড়া শিখিতেছে, কেহ-বা লেখাপড়া অপেক্ষা শিল্পকার্ষ্যে বা সঙ্গীতে অধিক জহুরাগ ও নৈপুণ্য দেখাইতেছে । সকলের মধ্যেই নিজের অবস্থাকে কিরূপে উন্নততর করিবে এই লক্ষ্য আছে, ইহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা আশার কথা । ড্রিল ও লাঠিখেলার ব্যবস্থা আছে । মাষ্ঠীর হাতেই পূর্বে ছিল বাগানের ভার, এখন এ কার্য্যে মেয়েরাই তাহাকে ছুটি দিয়াছে ; সে এখন কেবল হাটবাজার ও বাহিরের ভূত্যের কাজ করিয়া থাকে । মেয়েরা ক্ষেত্র-পরিষ্কার, বীজ বপন ও সলিলসেচনে গাছ ফসলের পরিচধ্য স্কুইবেল করিয়া থাকে । আহারের শাকসজী মেয়ের উৎপন্ন কিছু কিছু করিয়াছে, তাহা ছাড়া কিছু ফল-ফুলও করিয়াছে। টিফিনের ছুটিতে বালক-বালিকার এই দিদিদের কাছেই জলখাবার চাহে । আশ্রমের দু-একটি মেয়ের উপর ভার আছে তাহারা স্কুলে আসিবার পুৰ্ব্বে এই জলখাবার গৃহে প্রস্তুত করিয়া রাখে ও জমা খরচ ঠিক রাখে । ইহাতে বালক-বালিকাদের বাহিরের অর্থাদ্য কুখাদ্য খাষ্টতে হয় না। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় অৰ্দ্ধেক ছুটি ও রবিবার পূর্ণ ছুটি থাকে । বসন্তকুমারী দেবী জীবিত থাকিতে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ু ধৰ্ম্মসঙ্গীত ও গাতপাঠ প্রভৃতি হইত। বহুভৗথবাসিনী বিধবা র্তাহার নিকট সমবেত হইতেন । এখনও ছাত্রী ও শিক্ষয়িষ্ট্রীদের মধ্যে ঐরূপ ধৰ্ম্মসঙ্গীত ও গীতাপাঠ হয়, বাহিরের মেয়েরাও যোগ দিয়া থাকেন। কি মুন্দর আনন্দে উৎসাহে ইহাদের দিন কাটিতেছে । নানাস্থানে বিধবা মেয়েদের কেবল কষ্টের অবস্থা দেখিয়াছি। তাহীদের দুরবস্থা বিষাদ বিরসতা এত স্থম্পষ্ট ও এমন স্বগোচর যে কেবলই দুঃখ অকুভব করিয়াছি । তিনটি ব্রাহ্মণ বিধবার করুণ কাহিনী শুনিলাম আজ র্তাহাদেরই মুখে । এখন তাহারা খৃষ্টান মহিলা। আজও র্তাহাদের হিন্দুধর্মের প্রতি, সমাজের প্রতি, একান্ত টান । ইহাদের দুইজন ছিলেন সস্তানবতী, সন্তানদের জল্পের জন্ত, শিক্ষার জন্য নিতান্ত নিরুপায় হইয়া পড়িয়াছিলেন। অন্তটি নিঃসস্তান । চৌদ্দ বৎসর বয়সে বড়জায়ের দ্বারা