পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१०३ براساس سرهی حسی سیستمعام-------------- “হয় বইকি ধন, উত্তর দিতে চোখে জল আসে । আকাশে তারা ঝিকমিক করে, নিতাই তাকিয়ে থাকে জানলা দিয়ে বাইরে। আবার কি ভাবে, বলে, “আচ্ছা ঠাকুম, আমার ওই রকম খুড়ীমাদের মতন গয়ন কাপড় পর মা নেই কেন ? তোমার মতন মা কেন ? আমার ঐ রকম মা বেশ লাগে।” ঠাকুমা কাতর হয়ে বলেন, "আছে বইকি বাবা, সেই রকম মা ; শোনো সেই কড়িগাছের গল্প শোনো।” গল্প আরম্ভ হয়—সেই কড়িগাছ,–হালুম করে বাঘের আগমন, সেই বামুনদের মেয়ে, তার ভাই, মা ! বাঘের মুখে গরম ফেন ঢেলে দেওয়া--- নিতাইয়ের গভীর মুখে হালি ফোটে ; ওর মন রচনা করে,—লালপেড়ে কাপড় পর, ঘোমটা দেওয়া রান্নাঘরে থাকা একজন মা, দিদিদের মত স্বন্দর একটি বামুনদের মেয়ে,-তারপর অন্যমনে ঘুমিয়ে পড়ে। ૨ বাবা কাকার বলে, “ম, নিতের লেখাপড়া হচ্ছে ন, আর আদর দেওয়া নয়—ওর পরকাল নষ্ট করুছ ड्रभि !” পিতামহী নিৰ্ব্বাক হয়ে থাকেন, বেশ বুঝতে পারেন নিজের দুৰ্ব্বলতা, কিন্তু মন কথা শুনতে একেবারে বিমুখ। নিতাই উন্মন, আপন মনে ঘোরে ফেরে। সকল ছেলে পড়তে বসে, না পড়লে বাপের কাছে ধমক খায়, মার কাছে শাসিত হয়। নিতাই নিরঙ্কুশ । তবু ভাবে, “আচ্ছ, তবে কি ঐ রকম ঘোমটা দেওয়া, শাড়ী-পরা মা’র মারে, আর এই রকম ঠাকুমা বলে ডাকা মা’র মারে না ? মারলেই বা মা’রা ! মা, লালুর মা কত অাদরও করে...” পড়াশোনা হয় না । দুরন্তপনাও করে না, খেলাও করে না ; খেলনা ভার অনেক সাজানোই থাকে। - سی۔ ------۔--۔ ঠাকুমা কাজের বাড়িতে গোলমাল, সব ব্যস্ত । বাড়ির গিরি, তার নিঃশ্বাস ফেলবার সময় নেই। প্রবাসী—ভাদে, ১৩৩৮ ওরা ত ভালই। ওই ত কানাইয়ের । [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড কতরাত্রে সকলের খাওয়া শোওয়া হ’লে ঠাকুম। বিছানায় ঢুকে বিছানা খালি দেখলেন, ডাকূলেন, “হ্যাগ। বৌমা, নিতাই কোথায় ?” অনেক খোজের পর দেখা গেল বৈঠকখানার ঘরে একটা ভাকিয়ার পালে সে ঘুমুচ্ছে। জ্যেঠামা পিলিমা খুড়ীর সব এসে দাড়িম্বেছিলেন, cछाठीभां बशप्लन, **eभा, डोहे ठ, चांश ! यl ७ च्यांछ আসূতে সময় পাওনি, তাইতে ও আর ওপরে ওঠেই নি ।” নবাগত ছোট পিসিমা ছিলেন দাড়িয়ে, বললেন, “আহা, মা নেই কি-না—আপনিই কেমন হয়ে থাকে।” ঘুমটা ভেঙে গিয়েছিল, সদ্ধোয় পরা মখমলের জামাট ছাড়তে ছাড়তে সে চকিত হয়ে পিসিমার দিকে চাইলে, তারপর ঠাকুমার দিকে । ঠাকুমা কস্তাকে ইঙ্গিতে থামিয়ে দিলেন । চুপ ক'রে ওয়ে পড়ল। তবে সত্যি মা ঠাকুমাই ? সারারাত্রি একটি বধু-মায়ের স্বপ্ন নিতাইকে ঘিবৃতে লাগল। ভোরের আলোয় ঠাকুমার পাশে শুয়ে সে জাগল । সেদিনও জিজ্ঞাসা কবুলে, “হঁ্য ঠাকুমা, আমার বুঝি একজন মা ছিল ? ঐ রকম গহনা কাপড় পরা ? কোথায় তিনি ?” আকস্মিক অতর্কিত প্রশ্নে পিতামহী বিব্রত হয়ে বললেন, “কে বললে তোমায় ?” “ঐযে পিসিম, তাকে আনাও না একদিন ঠাকুম ?” ঠাকুমা তেমনি বিচলিত ভাবেই বললেন, “হ্যা, আসবে বইকি । এই বলব’খন আসতে। এখন এস, খাবার খাও, আমার সঙ্গে যাবে ? গঙ্গায় একটা ডুব দিয়ে আসিগে, কেমন ? নিভাই , ঘাটেও কত ছেলে, সবারই ত মা ? কেউ ত ঠাকুমা বলে মাকে ডাকে না । অনেক মাটির পুতুল সিড়িতে একটি বুড়ী বিক্রি করছে ; ছেলেকোলে-ম একটি পুতুল সে এক পয়সা দিয়ে কিনলে । নিতাই জলে অর্ধনিমজ্জিত পূজারতা পিতামহীকে প্রশ্ন করলে, “আমি এইটে নিই ঠাকুম, এই মা-টি ?”