পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A8e f প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভাগ, ১ম খণ্ড یک بر سر مسجد میبایست بیمات -هجایحه - عصحصیحته প্রভূতি বাহির করিতে ব্যস্ত আছেন। তাহ বাহির করিতে পারিলে সম্ভবতঃ সরকারের কাছে কোন-নাকোন প্রকার পুরস্কার পাওয়া যায় । নারীদের উপর অত্যাচার নিবারণের জন্ত হয়ত সেরূপ কোন পুরস্কার নাই । আমাদের বিবেচনায় জেলা ও মহকুমার মোট জনসংখ্যা, হিন্দু ও মুসলমানরা যথাক্রমে মোট জনসংখ্যার শতকরা কত জন এবং এইরূপ মোকদ্দমায় হিন্দু ও মুসলমান অভিযুক্তদের অনুপাত কত, এই প্রকারের সাম্প্রদায়িক অঙ্ক না চাহিলেও চলিত । ইহাতে ফললাভের ব্যাঘাত জন্মিবার সম্ভাবনা । আসল কাজ হইতেছে, বদমায়েসদিগকে দমন করা এবং নারীদিগকে রক্ষা করা। হিন্দু দুবৃত্ত সংখ্যায় বেশী, কি মুসলমান দুর ত্ত বেশী, তাহ জানিতে না পারিলেও ক্ষতি নাট । এই সাকুলার অনুসারে কি কাজ হইয়াছে, তাহ ব্যবস্থাপক সভার সভ্যেরা এবং ভারতসভা, হিন্দুসভ} প্রভৃতি গবষ্মেণ্টকে জিজ্ঞাসা করুন। ভারতের নূতন জাতীয় পতাকা ভারতবর্ষের যে নূতন জাতীয় পতাকা সমগ্রভারতীয় কংগ্রেস দ্বার। অনুমোদিত হইয়াছে, তাহার ভিন্ন ভিন্ন ংগুলির সাম্প্রদায়িক ব্যাখ্যা যে করা হয় নাই, তাহা সস্তোষের বিষয় । এই পতাকায় সৰ্ব্বোপরি যে গৈরিক রং থাকিবে, তাহ। ভারতবর্ষের সকল সম্প্রদায়ের উচ্চতম আধ্যাত্মিক লক্ষ্য বৈরাগ্য ও মৈত্রীর প্রতীক বিবেচিত হইবে । পতাকায় গৈরিক রঙের সমাবেশ বহু বংসর পূৰ্ব্বে শান্তিনিকেতন তইতে ঋষিকল্প দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ অনেকে সমর্থন করিয়াছিলেন । পরেও ইহু। মডান রিভিউ পত্রিকায় একাধিকবার সমর্থিত হইয়াছে। উত্তরবঙ্গে জলপ্লাবন বঙ্গে জলপ্লাবন নূতন নয়। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে যখন উত্তরবঙ্গ প্লাবিত হয়, যখন স্তার প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বিপন্ন লোকদের সাহায্যের বিশেষ চেষ্ট হইয়াছিল, সেই সময় এইরূপ প্লাবনের কারণ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ভার পড়ে অধ্যাপক প্রশাস্তচন্দ্র মহলানবিশের উপর । তিনি তখন আলিপুরের মীটিয়রলজিক্যাল আফিসের ভারপ্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী ছিলেন । তিনি অনেক পরিশ্রম করিয়া একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেন, এবং তাহা মুদ্রিতও হয় । কিন্তু তাছার পর সেটি চাপা দেওয়া অবস্থায় আছে। তাহার সিদ্ধাস্ত অনুযায়ী কোন কাজ হয় নাই, তাহ খণ্ডন করিবার চেষ্টাও হয় নাই । তাহা যে লোকে পড়ে বা দেখে, তাহাও বোধ করি গবন্মেন্টের ইচ্ছা নয়। কেন-না, আমরা যতদূর জানি, উহা খবরের কাগজের দেশী সম্পাদকদিগকে অন্যান্ত অনেক রিপোর্টের মত বিনামূল্যে দেওয়৷ হয় নাই। উহার দামটিও কম করিয়া কুড়ি টাকা রাখা হইয়াছে । ব্যবস্থাপক সভার সঙ্গোর এবং রাজনৈতিক ও লোকহিতে ছু সভাসমিতিসমূহের কর্তৃপক্ষ উহা এক এক থানি সংগ্ৰহ করিয়া গবষ্মেণ্টকে জিজ্ঞাসা করুন, ঐ রিপোর্ট সম্বন্ধে সরকারী অভিপ্রায় কি এবং সেই অভিপ্রায়ের কারণ কি ৷ বঙ্গীয় প্রাদেশিক হিন্দু কনফারেন্স বঙ্গীয় প্রাদেশিক হিন্দু কনফারেন্সের অধিবেশন এবার বৰ্দ্ধমানে হইয়াছিল । বঙ্গের নানাস্থান হষ্টতে অনেক প্রতিনিধি আসিয়াছিলেন । তদ্ভিন্ন বঙ্গের বাহির হইতে ডাক্তার মুগ্ধে, শযুক্ত মাধবরা ও আনে, লাল জগৎনারায়ণ লাল প্রভুতি সভায় বোগ দিয়াছিলেন i পূর্ণ অধিবেশনের সময় তিন-চার হাজার লোকের সমাবেশ হইয়াছিল । বৰ্দ্ধমানের কতকগুলি ভদ্রলোক বিশেষ উৎসাহ সহকারে পরিশ্রম করায় এই কনফারেন্সের আয়োজন সম্ভব হুইয়াছিল । শহরের সুখ্যাত বণিক শ্ৰীযুক্ত রাজরুফ দত্ত অভ্যর্থনাসমিতির সভাপতির কাজ স্বসম্পন্ন করেন । তাহার অভিভাষণ সময়োপযোগী ৪ বিবেচনার পরিচায়ক হষ্টয়াছিল । কাশিমবাজারের মহারাজ ঐযুক্ত শিশচন্দ্র নদীর অভিভাষণ উত্তম হইয়াছিল। ইহার ধৰ্ম্মতাত্ত্বিক অংশের আলোচন। সাধারণ মাসিক কাগজের উপযোগ হইবে না । অন্যান্য কথার মধ্যে কেবল একটির উল্লেখ এখানে করিব । তিনি অসবর্ণ বিবাহের বিরুদ্ধে কিছু লিথিয়াছেন । কিন্তু পুরাকালে ইহা ভারতবর্ষে প্রচলিত ছিল । আঙ্গুলোম বিবাহ ত প্রচলিত ছিলই এবং তাছার বিধানও ছিল । প্রতিলোন বিবাহও নিবিদ্ধ ছিল না । তাহার দৃষ্টাস্তও দেওয়া যায়। নেপাল ও সিকিমে,সিকিমের ংশ দার্জিলিঙে, হিন্দুদের মধ্যে অসবর্ণ বিবাহ বৰ্ত্তমান সময়েও একান্ত বিরল নহে। আসাম ও বঙ্গের সীমার উভয় দিকের জেলাভে কায়স্থ ও বৈদ্যদের মধ্যে কখন কখন বিবাহ হইয়া থাকে। এগুলি হিন্দুবিবাহ, ব্রাহ্মসমাজের বিবাহ নহে। গত কয়েক বৎসরে ব্রাহ্মসমাজের বাহিরের শিক্ষিত দু-একটি হিন্দুপরিবারে অসবর্ণ বিবাহ হইয়াছে, এবং এখনও হইতেছে। হিন্দু মিশনের চেষ্টায় সম্প্রতি