পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ— বেকার সমস্যা ግ8© বেকার সমস্যা বেকার যুবকেরা একটি সমিতি গড়িয়াছেন । ইহঁারা শহরের ভিন্ন ভিন্ন অংশে সভা করিতেছেন এবং মিছিল বাহির করিতেছেন। তাছাতে সৰ্ব্বসাধারণের এবং সরকার বাহান্থয়ের এই সঙ্গীন সমস্যাটির প্রতি দৃষ্টি পড়া উচিত। ভারতবর্ষের বেকার সমস্ত পাশ্চাত্য সভ্য দেশসমূহের মত নহে। ঐ সব দেশে কখন কখন বিশ পচিশ ত্রিশ চল্লিশ লক্ষ লোক বেকার হুইয়া পড়িতে পারে, কিন্তু সাধারণতঃ প্রায় সকলেরই রোজগারের উপায় থাকে। এদেশে সব সময়েই সাধারণতঃ কোটি কোটি লোকের কোন স্বতন্ত্র রোজগার থাকে না । বাংলার কথা ধরুন । আমাদের অধিকাংশ লোকের চাষের উপর। ভূমিপূন্ত ধে-সব শ্রমিক ক্ষেতের কাজ করে চাষের কয়েক মাস তাহারা যাহা পায় তাহাতে তাহাদের সম্বৎসর গুজরান হয় না । বৎসরের বেশী সময় তাহার বেকার থাকে। ক্ষুদ্র চাষীদেরও ঐ অবস্থা। বঙ্গে এই দুই শ্রেণীর লোকই বেশী। ইহাদের ভাবনা ভাবিতে হইবে। সমস্যার সমাধান কঠিন, কিন্তু অসাধ্য নহে । তাছার পর কিছু বা বেশী শিক্ষাপ্রাপ্ত বেকার যুবকদের কথা ভাবিতে হইবে । ইষ্টাদেরই কেহ কেক সমিতি গড়িয়াছেন । সবাইকে চাকরি দিবার মত অত চাকরি নাই। দেশে নানা রকমের পণ্যশিল্পের ছোট-বড় কারখানা স্থাপন করিলে এবং ইহঁাদিগকে শিখাইয়া লইয়া তাহাতে কাজ দিলে সমস্তার প্রকোপ অল্প কমিতে পারে। ইহা সময়সাপেক্ষ, কিন্তু চেষ্টা করিতে হইবে। সাধারণত অনেক শিক্ষিত যুবক বিশপচিশ টাকার কেরানীগিরি পাইলে বৰ্ত্তিয়া যান। এরূপ রোজগার, এর চেয়ে বেশী রোজগার, সাধারণ অশিক্ষিত মুটো মজুরের করে ; চটকল কাপড়ের কলের মজুরের করে। কাপড়ের কলের মজুরী শিক্ষিত ভদ্রসন্তানদিগকেও করিতে দেখিয়াছি । অঙ্ক যে-কোন সৎ কাজও তাহাঁদের করা উচিত। ছোট ছোট ব্যবসা করা উচিত। t বঙ্গের নানা প্রাচীন শিল্প নষ্ট বা প্রায় নষ্ট হওয়ায় চাষের উপরই খুব বেশী লোক নির্ভর করিতেছে, জুতরাং চাষের বিস্তৃতি খুব হইয়াছে । তথাপি এখনও চাষের ८झां★ा चषक बङ्कहे बभौ जानक चांद्वह । cम*हिटेडशै। ভূম্যধিকারীর শ্রমপটু বেকার ভদ্রসস্তানদের দ্বারা ছোটবড় ভূখণ্ডে সাধারণ ফসলের চাষ, তরকারীর চাষ বা ফলের চাব, বা নানা পণ্যশিল্পে ব্যবহৃত কাচা মালের ইন্টেন্সিভ চাষ করাইতে পারেন কি-না, বিবেচ্য। ইণ্টেসিভ নানা রকম চাষের ও তছুৎপন্ন কাচা মাল হইতে প্রস্তুত পণ্যদ্রব্যের সন্ধান বঙ্গীয় হিতসাধন মণ্ডলীর কৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত যামিনীরঞ্জন মজুমদারের নিকট পাওয়া যাইবে । অন্ত অনেকেও জানেন । আলবার্ট হলে বেকার যুবক সমিতির দ্বারা আবৃত এক সভায় এইরূপ মৰ্ম্মের একটা প্রস্তাব হয়, যে, যেহেতু কংগ্রেস পূর্ণশ্বরাজের আমলে বেতনের উচ্চতম হার মাসিক e • • টাকা নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন, অতএব কলিকাতা মিউনিসিপালিটি এবং বন্ধের জন্তাগু মিউনিসিপালিটি ও ডিট্রিক্ট বোর্ড উচ্চতর বেতনভোগী কৰ্ম্মচারীদের বেতন কমাইয়া দিউন। এরূপ প্রস্তাব দ্বারা বেকার সমস্যার সমাধান কি প্রকারে হইবে, তাহা প্রস্তাবটিতে বলা হয় নাই। ঐ সভায় আমি সভাপতি ছিলাম। আমি প্রস্তাবটির সপক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলি নাই, কিন্তু কিছু মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলাম। বলিয়াছিলাম, কৰ্ম্মচারীদের বেতন হঠাৎ কমাইয়া দেওয়া যায় না, কিন্তু কেহ দেশের হিতার্থে যদি স্বেচ্ছায় কম বেতনে কাজ করিতে রাজী হন, তিনি ধষ্ঠবাদার্হ হইবেন । যদি বেতন কমান স্থবিবেচনার কাজ বলিয়া স্থির হয়, डांश হইলে আবশুক-মত দু-চার মাস বা এক বৎসরের নোটিল দিয়া তাহা করিতে হইবে । উচ্চ বেতনভোগী লোকদের বেতন কমিলে যে টাকা বাচিবে, তাহা হইতে অনেক বিদ্যালয় খোলা যাইতে পারে, এবং তাহাতে অনেক বেকার লোক কাজ পাইতে পারে। ইহ গেল কলিকাতার কথা । "ভারত গবশ্নেণ্ট প্রতিবৎসর পাটের শুদ্ধ হইতে যে তিন চার কোটি টাকা বাংলা দেশ হইতে পান, বাংলা দেশের