পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“সত্যমৃ শিবমৃ স্বন্দরমৃ” “নায়মাত্মা বলহীনেন লভ্যঃ” ৬ষ্ট সংখ্যা } سیےtتحتNSح4 -aet stet } আণক্সিলحیدرعہ => ఇలాe নর-দেবতা শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যংকিঞ্চ ঞ্জগভ্যাং জগৎ, এই চলমান জগতে যা-কিছু চলচে, তারই সঙ্গে আমাদের মনের এবং প্রাণের চলাকে মেলাতে হ’ল তারই নাম জীবযাত্রা । নিজের দৈহিক মানসিক চলার মূলে মামুষ যেচালনাকে অনুভব করেচে তাকে মানুষ বলে শক্তি । তারই দৃষ্টাস্তে সে স্থির করেচে জাগতিক সমস্ত চলাফেরার মূলে তেমনি একটি চালনাশক্তি আছে। এই শক্তির প্রকৃতি কি তাও সে নিজের প্রকৃতি থেকে ঝে নিয়েচে । একটি মাত্র শক্তিকে সে নিজের মধ্যে অব্যবহিতভাবে একান্তভাবে জানে, সে হচ্চে ইচ্ছাশক্তি । জগতের গোড়াকার শক্তিকেও সে ইচ্ছাশক্তি ব’লে ধরে নিয়েছিল । কৰ্ম্ম ব্যাপারটা চোখে পড়ে, ইচ্ছাটা থাকে অলক্ষ্যে । এই অদৃপ্ত ইচ্ছা শাস্ত থাকলে কৰ্ম্ম শাস্ত থাকে, ইচ্ছ। প্রয়োজনের অনুকূল হ’লে কৰ্ম্ম অমুকুল, প্রতিকূল হ’লে কৰ্ম্ম , বিরুদ্ধ হয়ে ওঠে। এই জন্য যে ইচ্ছা নিজের বাইরে জন্সের মধ্যে, তাকে ভয়, লোভ বা প্রেমের স্বারা বশ ক’রে নিজের অভিপ্রায় সিদ্ধ করতে হয় । জাগতিক ক্রিয়৷ যে-ইচ্ছার চালনায় ঘটে ব’লে মাহব স্থির করেচে তাকে নিজের আহ্লকুল্যে আনবার বিবিধ প্রক্রিয়ায় মামুষের পূজা আরম্ভ । জগতের শক্তিকে নিজের শক্তির সহায় করবার এই সাধনাকে ব্যাবহারিক বিজ্ঞানের প্রথম সোপান ক’লে ধরা যেতে পারে। মাকুষ নিজের মধ্যে একটা বৈপরীত্য দেখেচে । দেখেচে যে, তার কৰ্ম্ম স্কুল কিন্তু কৰ্ম্মের উদ্ভব যে ইচ্ছা সেটা ইন্দ্ৰিয়বোধের অউীত। রূপধারী তার দেহ কিন্তু দেহের গভীরে যে প্রাণ তা অরূপ । চারিদিকের বস্তু তার প্রত্যক্ষ কিন্তু যে মনের কাছে সেই বস্তু গোচর হচ্চে সে নিজে অগোচর । এর থেকে মামুষের এই প্রত্যয় জন্মেচে বাস্তব ব’লে ষা-কিছু সে দেখচে জানচে সেই দেখা-জানার মধ্যেই তা চরম নয়, এমন•কিছুকে সে আশ্রয় করে আছে যা দেখা-জানার মূলে । মানুষ নিজেকে যদি একান্ত বাইরে থেকেই দেখে তবে দেখতে পাবে পরে পরে কতকগুলি কৰ্ম্ম ও ছবি। মানুষ প্লদার্থের বাস্তব প্রমাণএর বেশি জার কিছু নেই। কিন্তু এই সমস্ত কৰ্ম্ম ও ছবির চেয়েও