পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి * সংখ্যা ] নর-দেবতা ૧૯૭” . সম্ভব হয় তবে তার প্রতি প্রেমের কোনো অর্থ নেই । মানবিক গুণের পরমত র্যর গুণে, মানুষ তাকেই এমন প্রেম দিতে পারে যা সকল প্লেমের উপরে । এই গ্রেমের সত্য প্রমাণ কোথায় ? ভাবুকতায় - নয়, বিশ্বকৰ্ম্মে । সাধকের সংজ্ঞা এই—“আত্মারতিঃ ক্রিয়াবান,” পরমাত্মীয় তার আনন্দ ; কিন্তু সেই আনন্দ ক্রিয়াবান, ভাবরসে অস্তুবিলীন নিক্রিয়তা নয় । “সৰ্ব্বব্যাপী স ভগবান, তস্মাৎ সৰ্ব্বগতঃ শিবঃ ” ভগবান সৰ্ব্বব্যাপী, অতএব তিনি সৰ্ব্বগত কল্যাণ । র্তীকে প্রিয় ব’লে ধে উপাসন করবে সেই পরম প্লিয়ের সঙ্গে তার যোগ হবে সকলের কল্যাণ কৰ্ম্মে । পরমপুরুষকে কেন মানবিক বলচি এই কথাটাকে স্পষ্ট করা চাই । বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের সাহায্যে দেখতে পাই এই দেহ অসংখ্য পৃথক জীবকোষের সমবায় । প্রত্যেকের স্বতন্ত্র জীবনচিয়া; আয়তনের অষ্টপাতে পরস্পরের মধ্যে তাদের ব্যবধান যথেষ্ট । শুধু দেশের ব্যবধান নয়, কালেরও বাবধান । যে-সব জীব-কোষ অতীত, আর যাঁরা এখনও আসেনি এই দেহ তাদের মধ্যেকার সেতু । বস্তুত এই দেহের অধিকাংশই বৰ্ত্তমানে নেই । - த এই জীবকোযগুলি একদিকে স্বত্তস্থ অল্পদিকে সমগ্র দেহের সম্পর্কে বিশ্বতন্ত্র । সমস্ত দেহের সম্বন্ধেই তার সভ্য, একান্ত পার্থক্যে তার নিরর্থক, সমস্ত দেহের কাছে সম্পূর্ণ আত্মদানের দ্বারা তারা সার্থক । কল্পনা করা যাক্ এই সমস্ত জীবকোষের একট। সাধন। আছে । সে সাধন কী হ’তে পারে । দেহাত্মবোধের সাধনা । মনে করা যেতে পারে সমগ্ৰ দেহ ব’লে একটা কিছু আছে এ বোধ তাদের অধিকাংশেরই নেই। যদি মনে করা যায় তাদের মধ্যে কেউ সমগ্র দেহের অহুভুতি নিশ্চিতরূপে পেয়েচে তাহ’লে সন্দেহ নেই যে সেই জতু ভাবে তার অবরুদ্ধ চৈতন্ত একটি বিরাট সত্যের মধ্যে মুক্তিলাভ করে । এই মুক্তির আনন্দ সমগ্র দেহের কৰ্ম্মকে আপন কৰ্ম্মরূপে সচেষ্টভাবে . গ্রহণ করে । সমগ্র দেহে তার আনন্দ, সমগ্র দেহের কৰ্ম্মে লে ক্রিয়াবান । ५भनेि कgब्रहे यझांमॉनहबब्र £5छनl ईfब्र कां८छ् यॉर्थ1হীন তিনি জানেন মানুষে মাছুষে যে-ৰ্যবধান আছে সেই ব্যবধানটি একটি সক্রিয় অদৃগু সম্বন্ধের স্বারা অধিকৃত । ५झे गशाकद्र प्रश्छांश झाफ़ यांनन, . अर्था९ cóधभ । সম্বন্ধের পূর্ণতাতেই আনন্দ, তাকেই বলে প্রেম। তাই উপনিষৎ বলেন, “কোহেবাস্থ্যাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ যুদেয আকাশ আনন্দো ন স্তাং " আকাশ, যাকে শুষ্ঠ মনে করি, তা যদি আনন্দময় সম্বন্ধের দ্বারা বিরাজিত ন৷ থাকৃত তাহ’লে কেই-বা প্রাণ চেষ্টা করত ! বাইরে থেকে যাকে মনে হয় পৃথক প্রাণচেষ্টা, সেটা সম্ভবপর হয়েচে একটি সৰ্ব্বব্যাপী সত্য সম্বন্ধের ধোগে | এই সম্বন্ধ-তত্ত্ব মাতুবের মধ্যে শক্তিমান হয়েচে ব’লেই মাচুষের দ্বারা সমাজ-হষ্টি সম্ভব হ’ল । সমাজে মামুযের প্রয়োজন সাধন হয় সন্দেহ নেই, কিন্তু প্রয়োজন-সম্বন্ধের চেয়ে সভ্যতর আনন্দের সম্বন্ধ । এই সম্বন্ধটি যদি সমাজে কাজ না করে তবে কেবল . স্বার্থকুদ্ধি দ্বার কোনো সমাজ বেশী দিন টেকে না । দশের প্রয়োজনের চরমে নিজের প্রয়োজন, সমাজের ব্যাখ্যায় মানুষ এমন কথা বলতে পারে না। তা যদি বলত তাহলে দশের প্রয়োজনের উদ্দেশে নিজের মৃত্যু বা চরম ক্ষতি স্বীকার করত না । সমাজে প্রয়োজনসিদ্ধির স্থান আছে, কিন্তু সেটা বাহিরের এবং তা নিয়ে বিরোধ বেধে ওঠে । এক শ্রেণীর সঙ্গে জন্য শ্রেণীর স্বার্থে প্রতিদ্বস্থিতা ঘটে, ধনিকে কশ্মিকে লাগে হানাহানি । এইক্ষেত্রে সমাজ নিজের ধৰ্ম্মকে আঘাত করে ব'লেই আত্মঘাতী হয়। তখন সে “ম। গৃধঃ" এই বাণীকে উচ্চারণ করতে পারে না, কেননা, যে বিরাট পুরুষের আসন সমস্ত সমাজকে ব্যাপ্ত করে ব্যক্তিগত বা শ্রেণীগত স্বার্থ তার উপলব্ধিকে খণ্ডিত করে । সমাজ মরে এই রাস্তায় । সমাজে আর একটি বাহিকতা আছে, তারও আতিশব্যে বিপদ । সে হচ্চে জাচার। প্রেমে সত্যের উপলব্ধি পূর্ণ হয় তাই মিলন সেখানেই, শাস্তি সেখানে । জাচার সত্যের চেয়ে প্রবল হয়ে উঠে সৰ্ব্বব্যাপী হে