৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আর তার কুলুজী জার খোদাইকাজের আভাল চোখে ঠেকে । বর বুদুরের পাদদেশেই ডচ সরকার একটি ‘পালা,াহান" স্বা ডাক-বাঙলা ক’রে দিয়েছে, এটি এখন হোটেল-রূপে ব্যবহৃত श्ग्र । ७थाप्नझे श्रीमद्रा खेळेलूय । এই হোটেলের বারান্দায় ব’সে অনতিদূরে বর-বুদ্ধরের অরণ্যানীআবৃত গিরিবৎ সৌন্দর্য্য বেশ উপভোগ করা যায় । আমরা এক্ট তীর্থস্থানে পৌছে তখনি ‘বুলে। পায়ে’ একবার চৈত্য-দর্শন একে আমরা সব কয়টি ভূমি ক’রে এলুম। একে দিয়ে ঘুরে চৈত্যের বর-বুদুর—বুদ্ধ মূৰ্ত্তি শিখরদেশে উঠলুম । ব্যাপারটা বড়ে সোজা নয় । প্রথম ভূমির বেড়টা ঘুরে চংক্ৰম-পথের ছু দিককার দেয়ালের খোদিত চিত্র দেখতে দেখতে কোমর ব্যথা দ্বীপময় ভারত b*S বর-বুদুর চৈত্য—সাধারণ দৃশ্ব ক’রে যায় । আমরা একটু মোটামুটা ভাব দেখে নিলুম। সব কয়ট ভূমির গ্যালারী ঘুরে সমস্ত চিত্রগুলি ভালো ক’রে দেখা মাসাধিক কালের কাজ, দুই একদিনে কিছুই হয় না । আমরা উপরে যখন উঠলুন, চৈত্যের এই স্ব-উচ্চ সপ্তভূমিক শীর্ষে আরোহণ করলুম, তখন চারিদিকে তাকায়ে এক অতি উদার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশু আমাদের দৃষ্টি-গোচর হ’ল । দিনট। মেঘলা ছিল, তার জন্য বেশ আরামেই দেখা যাচ্ছিল ; স্বৰ্য্যদেব এদেশে আমাদের দেশের মতই খরকিরণ বর্ষণ করেন। বর-বুছরের পূব দিকে Merapi ‘মেরাপি" নামে আগ্নেয় গিরি, আর তার সংশ্লিষ্ট উচ্চ পৰ্ব্বত-মাল; ; পাহাড়ের শ্রেণীর কোলে না'রকল বন ; পশ্চিমদিকে আবার বহুদূর পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত না’রকল বন । মেঘের কোলে পৰ্ব্বতশ্রেণী চমৎকার স্নিগ্ধ বর্ণ গ্রহণ করেছে ; আর মেঘের কোলে না’রকল গাছের পাতাকে আরও সবুজ দেখাচ্ছে। অবর্ণনীয় স্বন্দর এই প্রাকৃতিক দৃশু—আর মন্দিরের ভাস্কয্যের সৌন্দর্য্যের তো সীমা নেই। বর-বুদ্ধর, প্রাস্বানান প্রভৃতি প্রাচীন যুগের যপদ্বীপীয় মন্দিরগুলির ভাস্কৰ্য, যাকে বলে classic style-এর— সরল উদার অনাড়ম্বর ভাবের ; এগুলি ভাস্কৰ্য্য-শিল্পের ধ্রুপদ-চোতাল। পরবর্তী যুগের ষবদ্বীপীয় আর বলিদ্বীপীয় ভাস্কধ্যে এই classic dignity, প্রাচীনের এই বিরাট গাম্ভীৰ্য আর রইল না—ভাস্কৰ্য খুব কারিগরী-করা
