পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. يي ک,ي . .-T': يم. ي . ب .

  • ٤” ،”ندينکئ 、博、

প্রবালী-জাখিন, ১৩৩৮ tঙ১শ ভাগ, ১ম খণ্ড : লেনশেড খেতে খেতে গল্প করা গেল, তার পরে ইনি । জামায় বাসায় পৌঁছে দিয়ে গেলেন। বামুণ্ড-এর লিজী বন্ধু তেজুমল এখানে এসে উপস্থিত, জামাদের বাসায় রূপচন্দের অতিথি হয়ে রইলেন। রাত্রে সিন্ধীদের এই দোকানে গান-বাজনার মজলিস হ’ল। ধীরেনবাবু তার সেতার বাজিয়ে আর বাঙলা গান গেয়ে এদের খুশী ক’রে দিলেন। অনেক রাত্রে জাহার ক’ল্পে গুতে যাওয়া গেল । এই সিন্ধীদের সঙ্গে একত্র থেকে আর একটু ঘনিষ্ট ভাবে মেলা-মেশা ক’ল্পতে পেয়ে এদের আমার বেশ লেগেছে। রেশমের আর curio-র বা মণিহারী আর কৌতুককর শিল্প জব্যের একচেটে ব্যবসা এদের হাতে। বোধ হয় পৃথিবীর সব দেশেরই বড়ো শহরে এদের প্রতিষ্ঠাপন্ন ব্যবসা। এরা জাতে বেনে, সাধারণভঃ এদের "সিদ্ধ-ওজকী’ ব’লে থাকে—"সিন্ধ-ও অঙ্কী’ অর্থে ধারা সিন্ধের সব চেয়ে বড়ো কাজের—work-এর কাজী । এর মাংস খায়, মুসলমানের ছোয়া বা রান্না খায়, কিন্তু ধৰ্ম্মাহুষ্ঠান-পালনে জার মনোভাবে আস্থাশীল হিন্দু। এদের দোকানের নিয়ম বেশ । একটু বড়ো দোকান হ’লেই তার নিজের বাড়ী থাকে। বাড়ীর নীচের তালায় দোকান, ভিতরে গুদাম, উপরে দোতালায় বা তেতালায় স্বামী জিনিস কিছু থাকে, জার দোকানের কৰ্ম্মচারীর থাকে। ম্যানেজার কিংবা মালিক, জার চার-পাচজন থেকে পশ-পনেরো জন পর্ষ্যস্ত কৰ্ম্মচারী । প্রতি দোকানের উপরে একটী ক'রে কুঠরী থাকে, সেটী ঠাকুর-ঘর । ঠাকুর-ঘরে হিন্দু দেব-দেবীর ছৰি থাকে, আর সিন্ধী ছাড়া দেবনাগরী আর গুরুমুখীতে ছাপা ধৰ্ম্মগ্রন্থ থাকে ; আর থাকে একখান ক’রে বড়ো গ্রন্থ-সাহেব। এরা শিখ না হ’লেও, সনাতনী হিন্দু হ’লেও, নবীনযুগের এই বেদগ্রন্থকে খুব সমাদর করে। প্রত্যেক দিন দোকানের একজন কেউ ভোরে স্বান সেরে এই গ্রন্থের কিছু অংশ পাঠ ক’রে দীপ জেলে ঘণ্টা বাজিয়ে ঠাকুরদের ছবির অরিতি করে । ঠাকুরের সামনে এক কঙ্কা মোহনভোগ ৰ অঙ্গ খাদ্য নিবেদন ক’রে দেওয়া হয়, अक्लtब्रव्र * aनfzकडे नकटजश्च खल थlसद्ध हड ॥ छfब्र পরে দোকান খোলে, বাট দেয়, খঙ্গেরের জন্য তৈরী হ’য়ে থাকে। দশট থেকে ন’টা ৱান্ত্ৰি পৰ্য্যন্ত জোকালে বিকিকিনি হয় । এরই মাঝে একে একে এলে জান সেরে খেয়ে যায়। একজন ক’রে রাধুনি সিদ্ধ-দেশথেকে এর আনে । এদের জীবন বড়ো একঘেয়ে ; আর কৰ্ম্মচারীরা দেড় বছর দু’বছর, কখনও কখনও তিন বছর পর্ষ্যস্ত এই সব দুর দেশে এক স্ত্রীপুত্ৰাদি জাতীয় থেকে খিচু্যত হ’য়ে কাটায় । দেশে দু-পাচ মাসের জন্ত আসে, তার পরে অfবার প্রবাসে চ’লে যায় । মেয়েদের নিয়ে যাওয়া ব্যয়সাপেক্ষ ব’লে কৰ্ম্মস্থানে স্ত্রী-পুত্রদের নিয়ে আসতে পারে না । কিন্তু এরূপ জীবন এদের পক্ষে আর এদের মেয়েদের পক্ষে মোটেই স্বাভাবিক বা স্বাস্থ্যকর নয়। এর উপায় কিন্তু এর কিছু করতে পারছে না । ভারতের, বহু মুসলমান প্রবাসী ও-সব দেশে গিয়ে আর একটা বা একাধিক চিরস্থায়ী বা ক্ষণস্থায়ী ৰিয়ে ক’রে বসে—বছবিবাহ মুসলমান ধর্মের আর সমাজের অঙ্গুমোদিত ব্যাপার ব’লে এই সব মুসলমানদের বিবেক বা বিচারবুদ্ধিতে এতে কোনও খটকা লাগে না ; কিন্তু সিন্ধী বন্ধুরা এ-সব কথায় জিভ কেটে ধ’ললেন—“ডক্টর সাব, হম ঐস কাম কৈসে কর সর্কে, হম্ হিষ্ণু হৈ, হুম ঘর-ওলীি স্ত্রীকে ভুল নহা সকৃতে । হিন্দু ব’লে, কঠোর ব্ৰহ্মচর্য্যের আদশকে এরা এমনি স্বাভাবিক জিনিস ব’লে মনে করে—তাই দীর্ঘ প্রবাসেও এইভাবে কৰ্ত্তব্য পালন ক’রে যেতে চেষ্টা করে । এদের নিয়ম-কান্ধন ও অনেকটা এইদিকে দৃষ্টি রেখে । যখন এর বেড়াতে বেরোয়, এদের মধ্যে নিয়ম হ’চ্ছে যে একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি ছেলে-ছোকরাদের সঙ্গে থাকবে । সকলেই এক ‘বিরাদরী’ বা “ব্লিশ তামন্দী অর্থাৎ একই সমাজ বা আত্মীয়-গোষ্ঠীর লোক, স্বতরাং অনেকট আত্মরক্ষা ক'রে চলাটা এদের পক্ষে স্বভাৰসিদ্ধ হয়ে পড়ে। তবুও খলন যে না হয় তা নয়। স্ত্রীলোকের মোহে প’ড়ে এই প্রবাসী সিজীদের দুই একজন দেশের স্ত্রী-পুত্রকে ভুলে গিয়ে ধর্শ্বাস্তুর গ্রহণ ক’রেছে, এ কথাও শুনুলুম। মোট কথা, স্ত্রী পুজারি সঙ্গে বাস করতে না পারাটা এদের জীবনের পক্ষে গৰ