পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» یه : مت r نئے؟ 'ز' بةً گشتہ۔ কাদাড়ে ফেরে, কারুর সঙ্গে কথা কয় না, কেউ পৌছে না, সকলে পাগল বলে, দূর দূর করে, রাতদিন হাপর छाज्ञांच्च, ब्रांडनिन श”ब्र बांलाग्न ! পেজল থেকে, ৱাং থেকে, সীলে থেকে ও-লোক কিন্তু লোনা করতে জানে, করিয়াও থাকে । নিশ্চিন্দিপুর একবারটি ফিরিবার সঙ্কল্প সে একটু শীঘ্রই ফরিয়া ফেলিল । কাশীতে লীলাদিকে পচিশ টাকা পাঠাইয়া দিয়া লিখিল, পত্রপাঠ ষেন লীলাদি তার দেওরকে সঙ্গে লইয়া কলিকাতায় চলিয়া আসে, অপু শীঘ্রই ছেলেকে তার পিতামহের ভিটা দেখাইতে চায়, লীলাদি যেন কাল বিলম্ব না করে । చిat ট্রেনে উঠিয়া যেন অপুর বিশ্বাস হইতেছিল না, সে সত্যই নিশ্চিন্দিপুরের মাটিতে আবার পা দিতে পারিবে—নিশ্চিন্দিপুর, সে তো শৈশবের স্বপ্নলোক ! সে তো মুছিয়া গিয়াছে, মিলাইয়া গিয়াছে, সে শুধু একটা জনতিস্পষ্ট স্কুখস্থতি মাত্র, কখনও ছিল না, নাই-ও । মাঝেরপাড়া ষ্টেশনে ট্রেন আসিল বেল। একটার লময়। খোক লাফ দিয়া নামিল, কারণ প্লাটফৰ্ম্ম খুব নীচু । অনেক পরিবর্তন হইয়াছে ষ্ট্রেশনটার, প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে জাহাজের মাস্কলের মত উচু যে সিগনালট ছেলেবেলায় তাহাকে তাক লাগাইয়া দিয়াছিল, সেটা আর এখন নাই । ষ্টেশনের বাহিরে পথের ওপর একট। বড় জামু গাছ, অপুর মনে আছে, এটা আগে ছিল না । ওই সে বড় মাদার গাছটা, যেটার তলায় অনেককাল জাগে তাহদের এদেশ ছাড়িবার দিনটাতে মা খিচুড়ী রাধিয়াছিল । গাছের তলায় দুখানা মোটর বাস, যাত্রীর প্রজ্যাশায় দাড়াইয়া, অপুর দাড়াইয়৷ থাকিতে খাকিতে স্থখানা পুরাণে ফোর্ড ট্যাক্সিও জাসিয়া জুটিল । আজকাল নাকি নবাবগঞ্জ পৰ্য্যস্ত বাস, ও ট্যাক্সি হইয়াছে, জিজ্ঞাসা করিয়া জানিল । জিনিষটা জপুর কেমন যেন ভাল লাগিল না । কাজল নবীনযুগের মাছুয, সাগ্রহে বলিল—মোটর কার্টে করে যাৰ বাবা ? - আপু ছেলেকে জিনিষপত্র সমেত ট্যাক্সিতে প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৮ [०७° उण, sब व७ উঠাইয়া দিল, বটের ঝুরি দোলানো স্কিন্ধ ছায়াভধা সেই প্রাচীন দিনের পথটা দিয়া নিজে সে মোটরে চড়িয়া যাইতে পারিবে না কখনই । এ দেশের সঙ্গে পেট্রোল গ্যাসের গন্ধ কি খাপ খায় ? এই সেই বেত্রবতী ! এমন মধুর স্বল্পভয় নামটি কোন নদীর অাছে পৃথিবীতে ? খেয়া পার হইয়া আবার সেই আষাঢ় র বাজার। ভিডোল ও ডানলপ, টায়ারের বিজ্ঞাপন-ওয়াল পেট্রোলের দোকান নদীর ওপরেই । বাজারেরও চেহারা অনেক বদল হইয়া গিয়াছে । তেইশ বছর আগে এত কোঠাবাড়ী ছিল না। আষাঢ় হইতে স্থাটিয়া যাওয়া সহজ, মাত্র ছ মাইল, জিনিষপত্রের জন্য একটা মুটে পাওয়া গেল, মোটর বাস ও ট্যাক্সির দরুণ ভাড়াটিয়া গরুর গাড়ী আজকাল নাকি এদেশ হইতে উঠিয়া গিয়াছে। মুটে বলিল—ধঞ্চেপলাশগাছির ওই কাচ রাস্তাটা দিয়ে যাবেন তো বাৰু ? ধঞ্চে-পলাশগাছি ?--নামটাই সে কতকাল শোনে নাই, এতদিন মনেও ছিল না । উঃ, কতকাল পরে এই অতি স্বন্দর নামটা সে আবার শুনিতেছে।... চৈত্রের শেষ, বেলা পড়িয়া আসিয়াছে, এমন সময়ে পথট। সোনাডাঙা মাঠের মধ্যে ঢুকিয়া পড়িল-পাশেই মধুখালির বিল–পদ্মবনে ভরিয়া আছে । এই সেই অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যভূমি, সোনাডাঙার স্বপ্নমাখানে মাঠটা সে বিশ্রাম করিবার ছুতায় ক্ষুধাৰ্ত্ত চোখে খানিকক্ষণ বসিয়া বসিয়া দেখিল— মনে হইল এত জায়গায় তো বেড়াইল, এমন অপরূপ মাঠ ও বন কই কোথাও তে। দেখে নাই ! সেই বনঝোপ, ঢিবি, কুচবন, ফুলে-ভৰ্ত্তি বাব লা গাছ-বৈকালের এ কি অপূৰ্ব্ব রূপ ! তার পরই দূর হইতে ঠাকুরঝি-পুকুরের সেই ঠ্যাঙাড়ে বট গাছটার উচু ঝাকড়া মাথাটা নজরে পড়িল—যেন দিক-সমুত্রে ডুবিয়া আছে—ণ্ডর পরেই নিশ্চিন্দিপুরক্রমে বটগাছটা পিছনে পড়িল-জপুর বুকের রক্ত চলকাইয়া যেন মাথায় উঠতে চাহিতেছে, সারা দেহু এক অপূৰ্ব্ব অনুভূতিতে যেন অবশ হুইয়া আসিতেছে। ক্রমে মাঠ শেষ হইল, ঘাটের পথের সেই আমবাগানগুলা—লে রুমাল কুড়াইবার ছলে পথের মাটি একটু তুলিয়। মাথায়