পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o ఆశీ সংখ্যা J

  • ....കുപ്പാജിക്കുക -- ാ

অপরাজিত । . ” . છઠ્ઠલ

  • A^^

আশ্চর্ষ্য হুইয়া যায় । লীলা বলে—তোর তখন বয়েস আট কি নয়, তোর মনে আছে তার নাম ? ঠিকৃ, জবাসিনাই বটে। সবারই মনে পড়ে নামট। অপু যুদ্ধ যুদ্ধ হাসিমুখে বলে—আরও বলচি শোনে, ডুরে শাড়ী পড়ত, রাঙা জমির ওপর ডুরে দেওয়া—না 7 বিধবা বন্ধুটি বলেন - ধষ্ঠি বাপু, যা হোক, রাঙা ডুরে পরতো ঠিকই, বয়েস ছিল বাইশ তেইশ । তোমার তখন বয়েস বছর জাষ্টেক হবে । ছাব্বিশ বছর আগের কথা যে ! অপুর খুব মনে আছে, অত স্বন্দরী মেয়ে তাদের গায়ে জার আসে নাই ছেলেবেলায়। সে বলিল—রাঙা শাড়ী পরে আমাদের উঠোনের কাঠালতলায় জল সইতে গিয়ে দাড়িয়েচে, ছবিটা দেখতে পাচ্চি এখনও । এখানকার বৈকালগুলি সত্যই অপূৰ্ব্ব । এত জায়গায় তো সে বেড়াইল, মাসখানেক এথানে থাকিয়া মনে হইল এমন বৈকাল সে কোথাও দেখে নাই । বিশেষ করিয়া বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসের মেঘহীন এই বৈকালগুলিতে স্থয্য যেদিন অস্ত যাবার পথে মেধাবৃত না হয়, শেষ রাঙাআলোটুকু পধ্যস্ত বড় গাছের মগ ডালে, বঁাশঝাড়ের আগায় হালকা সি দুরের রং মাথাইয় দেয়, সেদিনের বৈকাল । এমন বিম্বফুলের অপূৰ্ব্ব স্বরভি মাখানে, এমন পাখী-ডাক উদাস বৈকাল—কোথায় এর তুলনা ? -এত বেলগাছও কি এদেশটায়, ঘাটে, পথে, এ-পাড়া, ও-পাড়া, সৰ্ব্বত্র বিম্বফুলের স্বগন্ধ । একদিন কি অপূৰ্ব্ব ব্যাপারই ধটিল—জ্যৈষ্ঠের প্রথমট বৈকালে আকাশ অন্ধকার করিয়া ঈশান কোণ হইতে কালবৈশাখীর মেঘ উঠিল, তার পরেই খুব ঝড়, এ বছরের প্রথম কালবৈশাখী । অপু আকাশের দিকে চাহিয়৷ চাহিয়া দেখিল—তাদের পোড়োভিটার বাশবনের মাথার উপরকার দৃশুট। কি স্বপরিচিত ! বালে এই মাথাদুলানো ধাশঝাড়ের উপরকারের নীলকুয়া মেঘসজ্জা মনে কেমন সব অনতিস্পষ্ট আশা, আকাঙ্ক্ষা জাগাইত, কত কথা যেন বলিতে চাহিত, আজও সেই মেঘ, সেই বঁাশবন সবই আছে, কিন্তু সে অপুৰ্ব্ব জগৎটা আর নাই । এখন যা জানন্দ সে শুধু স্থতির আনন্দ মাত্র। এবার নিশ্চিন্দিপুর क्षिब्रिब्रा चयशि ८ण झेझ! लका कब्रिटफटश्-4दे बन, ७३ झुनूद्र, uहे जडौब्र ब्रां८ख cछौकौनां८ब्रब्र हैंडूनि, कि লক্ষ্মীপেঁচার ডাকের সঙ্গে এক অপূৰ্ব্ব স্বপ্ন মাখানে ছিল । দিগন্তু রেখার ওপারের এক রহস্যময় কঞ্জলোক তখন এক ক্ষুদ্র কল্পনাপ্রবণ গ্রাম্য বালককে হাতছানি দিয়া আহবান করিত - তার সন্ধান আর মেলে না । সে পার্থীর দল মরিয়া গিয়াছে, যে চাদ এমন সৰ বৈশাখীরাত্রে খড়ের ঘরের দাওয়ার ধারের নারিকেলপত্রশাখায় জ্যোৎস্নার কম্পন আনিয়া এক বালকের মনে মুলহীন, কারণহীন আনন্দের বান ডাকাইত, সে সব চাদ নিবিয়া গিয়াছে। সে বালকও অার নাই, পচিশবৎসর আগেকার এক দুপুরে বাপমায়ের সঙ্গে দেশ ছাড়িয়া চলিয়া গিয়াছিল, আর ফেরে নাই। জাওরা বাশের বনের পথে তার ছোট ছোট পায়ের দাগ অস্পষ্ট হইয়া মুছিয়া গিয়াছে বহুদিন । তার ও তার দিদির সে সব আশা পূর্ণ হইয়াছিল কি ? হায় অবোধ বালকবালিকা ••• রোজ রোজ বৈকালে মেঘ হয়, ঝড় ওঠে। সেই অপূৰ্ব্ব ভিজে মাটির গন্ধ ! যেমন ঝড়ট ওঠে, অপু বলে—রাণুদি, আম কুড়িয়ে আনি । রাণী হাসে । অপু ছেলেকে লইয়া নতুন-কেনা বাগানে আসিয়া দাড়ায় -—সবাইকে জাম কুড়াইতে ডাকে, কাহাকেও বাধা দেয় না । কাজলও মহা উৎসাহে আম কুড়ায় । বাল্যের সেই পটুলে, তেঁতুলতলী, নেকে, বাঁশতলা,— ঘম মেঘের ছায়ায় জেলেপাড়ার তো জাবালবৃদ্ধবনিত ধামা হাতে আম কুড়াইতে আসে । অপু ভাবে, আহা, জীবনে এই এদের কত আনন্দের, কড সার্থকতার জিনিব ! চারিধারে চাহিয়া চাহিয়া দেখে, সমস্ত বাগানের তলাট। ধাবমান, কৌতুকপয়, চীৎকাররত বালকবালিকাতে ভরিয়া গিয়াছে ! এই বাগানে আম কুড়াইবার অপরাধে দিদি দুর্গা কত অপমানিত না হইয়াছে কতদিন, আজ অদৃশুলোক হইতে সে কি এসব কিছু দেখিতেছে না ! অপু, কি কৱিৰে আমবাগান দিয়া ? তাছার দিদির