পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বিয়ের আগের রা:ত্র ডোমার মামার বাড়ীর ছাদটিতে বলেছিলুম সন্ধ্যায়, জন্মাষ্টমীর তিমির ভর বর্ষণসিক্ত রাত জেগে কাটায়েছিলুম আমি ও অপর্ণ মনসাপোতায় খড়ের ঘরে, জীবনের পথে এরাই ত জানন্দের অক্ষয় পাথেয়— যে আনন্দ অর্থের উপর নির্ভর করে না, ঐশ্বর্ষ্যের উপর নির্ভর করে না, মানসন্মান বা সাফল্যের উপরও নির্ভর করে না, ঘ স্বর্ষ্যের কিরণের মত অকৃপণ, অপক্ষপাতী উদার, ধনী দরিদ্র বিচার করে না, উপকরণের স্বল্পতা ব। বাঙ্গলোর উপর নির্ভর করে না। বড়লোকের মেয়ের নতুন মোটর কিনে যে আনন্দ পায়, মা অবিকল সেই আনন্দই পেতেন যদি নেমস্তন্ন থেকে আমি ভাল ছাদা বেঁধে আনতে পারতুম, আমার দিদি সেই আনন্দই পেত যদি বমঝোপে কোথা ৪ পাকা-ফলে ভরা মাকাললত কি বৈঁচিগাছের সন্ধrন পেত । কিছু ষ্ট আমাদের দেশের লোকে বিস্মিত হয় না কেন বলতে পার প্রণব ? বিন্মিত হবার ক্ষমতা একটা বড় ক্ষমত। যে মানুষ কোনো কিছু দেখে বিস্মিত হয় না, মুগ্ধ হয় না, সে তে৷ প্রাণহীন । কলকাতায় দেখেচি কি তুচ্ছ জিনিষ নিয়েই সেখানকার বড় বড় লোকে দিন কাটায় ? জীবনকে যাপন কর একট। আর্ট—তা এর জানে ন বলেই অল্প বয়সে অামাদের দেশে জীবনের ব্যবসায়ে দেউলে হয়ে পড়ে, নতুন বিস্ময়, নতুন অম্বভূতি হয় না, নবতর জীবনের পথ চিরগুপ্ত রয়ে যায় এদের কাছে । মানুষ দমে যায় জানি, মনের শক্তি কিছুদিনের জন্তু ক্ষীণতর হতে পারে জানি, কিন্ত জীবস্ত যে মানুষ, সে আবার জেগে উঠবে—নবভর বংশীরব শুনবে, নব জীবনের সন্ধান পাবে, বি-জর ও বি-মৃত্যু আনন্দ তার চিরশু্যামল মনে আবার আসন পাতবেই । ই। তোমায় লিখি । আমি বাইরে যাচ্ছি। খুব সম্ভব যাবো ফিজি ও সামোয়—এক বন্ধুর কাছ থেকে ভরস পেয়েচি। কাজলকে কোথায় রেখে যাই এই ছিল সমস্ত । তোমার মামার বাড়ী রাখব না—তোমার মেজমামীম লিখেচেন কাঞ্চলের জন্তে তাদের মন খারাপ, সে চলে গিয়ে বাড়ী অন্ধকার হয়ে গিয়েচে । হোকু অন্ধকার, সেখানে আর নয়। আমার এক বাল্যসঙ্গিনী এখানে অপরাজিত brQ > আছেন । তার কাছেই ওকে রেখে যাৰ । এর সন্ধান ন পেলে বিদেশে যাওয়া কখনও ঘটে. উঠত না, খোকাকে যেখানে সেখানে ফেলে যেতে পারতুম না তো ? আজ আবার জয়োদশী তিথি, মেঘশূন্ত আকাশ স্বনীল, খুব জ্যোৎস্ব উঠবে-ইচ্ছা হয় তোমায় নিয়ে দেখাই এ-সব, তোমার ঋণ শোধ দিতে পারব না জীবনে ভাই—তুমিই অপর্ণকে জুটিয়ে দিয়েছিলে—কত বড় দান ষে সে জীবনের তা তুমিও হয়ত বুঝবে না । তোমারই চিরদিনের বন্ধু অপুর্ব ছেলেবেলার আরও কয়েকটি জিনিষের সঙ্গে আবার সংযোগ সাধিত হইল। সাধু কৰ্ম্মকারের তাহাদের কাঠের খাটখানা কিনিয়া লইয়াছিল এদেশ হইতে তাহার। যাইবার সময় । এখন তাহাঙ্গের অবস্থা খারাপ হইয়৷ গিয়াছে, সাধু কৰ্ম্মস্কারের পুত্রবধূ খাইতে পায় না, রাণীর যোগাযোগে খাটখানা অপুর কাছে বেচিয়া ফেলিল— ছেলেবেলার যে পাটে সে দিদি ও মা পূবের ঘরের জানালাটার ধারে পাশাপাশি শুইত সারা শৈশব ! প্রথম দিন খাটে শুইয়। অপু সারারাত চোখের পাতা বুজাইতে পারিল না—অসম্ভব । লুপ্ত অতীত কালের মনোভাব এমন অদ্ভুতভাবে আবার ফেরে মানুষের জীবনে ? মশারী-ফেলার সে অনুভূতিটা আবার মনে আসে, মা মশারী ফেলিয়া খাটের চারিধারে গুজিয়া দিবার সময় একটা কেমন গন্ধ বাহির হইত, একটা শান্তি, আরামের ভাবের সঙ্গে অন্ধকারভরা অজ্ঞাত রজনীর রহস্যের স্মৃতি এর সঙ্গে জড়ানে—মশারিট নাই, অথচ মনে আসিল তথনই । সপ্তাহের শেষে সে বিমলেন্দুর হাতে ঠিকানা-লেখা একখানা পত্র পাইল । খুলিয়া দেখিয়া সে অনেকক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া রহিল । চিঠিখান ছোট । একটা ছত্র বারবার পড়িয়াও যে সে অর্থ করিতে পারিতেছিল না! লেখা আছে, “কাল রাত্রি দশটার সময় দিদি আমাদের ফাকি विंश् छग्गृ citछ् । चिनिश्र। निड च वजनििखं नश्, কিন্তু এত হঠাৎ ষে আসবে তা ভাবিনি।”