পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brQミ tঙ১শ ভাগ, ১ম খণ্ড কথাটার মানে কি ? লীলা বাচিয়া নাই ? जठ चौबख जैौन, अङ शनिबूष, cषझ्भन्नैौ भघडाभौ লীলা, সে নাই আর ছনিয়ায় কোথাও ? অপু বেন এ-কথাটার সত্যট মনের মধ্যে হঠাৎ গ্রহণ করিতে পারিল না। কাহাকেও কোনো কথা বলিল না, সারা সকাল ৪ দুপুরের মধ্যে পত্ৰখানা মাঝে মাঝে পড়িল ও কি ভাবিল। চুপ করিয়া বিছানায় শুইয়া শুষ্টয়া কড়িকাঠের দিকে চাহিয়া রহিল । বৈকালে পত্ৰখান হাতে করিয়াই অভ্যাসমত বেড়াইতে গেল । সন্ধ্যার ছায়াচ্ছন্ন আকাশের তলায় নদীর ধারে দাড়াইয়া পত্ৰখানা আবার পড়িল । লীলাকে সে বলে নাই, কিন্তু কতদিন ভাবিয়াছে, হীরক সে ত লীলাকে আশা দিয়াছিল বিদেশে লইয়া যাইবে, শেষে ঠকাইয়াছিল—লীলা সারিয়া উঠিলে সে একদিন-না-একদিন তাহাকে বিদেশ দেখাইবে, যেখানে লীলা যাইতে চায় সেখানে লইয়া যাইবে সঙ্গে করিয়া, এই সেদিনও কথাটা ভাবিডেছিল । কতকাল জাগে নদীর ধারের ওইখানটিতে একটা সাই-বাব লাতলায় বসিয়া এই রকম বৈকালে সে মাছ ধরিত—আজকাল সেখানে সাই-বাবলার বন,ছেলেবেলার সে গাছটা আর চিনিয়া লওয়া যায় না । আকাশের রং হইয়াছে অদ্ভূত, বর্ষার মেঘস্তুপ এখানে ওখানে, একটা গোলাপী পাহাড়ের পাশে কোন জগতের সান্ধ্যছায়াচ্ছন্ন বনানী, দুরে দূরে দেবলোকের মেরুপৰ্ব্বত, একজায়গায় একটা নিখর, হীরাকষের সমুদ্ৰ—ওপারে বহুদূর পর্যাপ্ত ঘন সবুজ নবীন উলুবন ও আউশ ধানের ক্ষেত । আজকাল নির্জনে বসিলেই তাছার মনে হয় এই পৃথিবীর একটা আধ্যাত্মিক রূপ আছে, এর ফুলফল, আলোছায়ার মধ্যে জন্মগ্রহণ করার দরুণ ও শৈশব থেকে এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিসয়ের বন্ধনে আবদ্ধ থাকার দরুণ, এর প্রকৃত রূপটি আমাদের চোখে পড়ে না। এ আমাদের দর্শন ও শ্রবণগ্রাঙ্ক জিনিবে গড়া হইলেও ষে জামাদের সম্পূর্ণ श्रद्धांज्र ७ ८थाब्र ब्रह्छधब्ब, ७ग्न थङि अभू c६ जनौय জটিলতায় আচ্ছন্ন-যা কিনা মাছুষের বুদ্ধি ও কল্পনার অতীত, এ-সত্যটা হঠাৎ চোখে পড়ে না --- " " মৃত্যুকে একটা নতুনরূপে যেন দেখিল জাজ । * মনে হইল তাহার এই সন্ধ্যায়.যুগে যুগে এ জয়-" মৃত্যুচক্র কোন বিশাল-স্বাত্মা দেবশিল্পীর হাতে জাবৰ্ত্তিত হইতেছে, তিনি জানেন কোন জীবনের পরে কোন অবস্থায় জীবন জানিতে হয়, কখনও বা সঙ্গতি কখনও या 8यशभा-मयकै। भिणाहेञ्च च्प्रभृतिं ब्रनय्श४ि । । ছ’ হাজার বছর আগে হয়ত সে জন্সিয়াছিল ইজিপ্টে, সেখানে নলখাগড়ার বনে, নীলনদের রৌত্রদীপ্ত তটে কোন দরিদ্রঘরের মা বোন, বাপ ভাই বন্ধুবান্ধবদের দলে সে এক অপূৰ্ব্ব শৈশব কবে কাটিয়া গিয়াছে, আবার হয়ত জন্ম নিয়াছিল সে রাইন নদীর ধারে—কর্ক-ওক,বাচ্চ, বীচ, বনের শ্যামল ছায়ায় বনেদী ঘরের প্রাচীন প্রাসাদে মধ্যযুগের আড়ম্বরপূর্ণ আবহাওয়ায়, সুন্দরমূখ সার্থীদের দলে । হাজার হাজার বছর পরে হয়ত আবার সে ফিরিবে পৃথিবীতে, তখন কি মনে পড়িবে এবারকারের এ জীবনটা ? কিংবা কে জানে আর পৃথিবীতে আসিবেই ন । হয়ত ওই যে বট গাছের সারির মাথায় সন্ধ্যার ক্ষীণ প্রখম তারাটি, ওদের জগতে হয় ত এবার নবজন্ম । বৃহত্তর জীবনের এ স্বপ্ন-এ যে শুধুষ্ট কল্পনাবিলাস, এ যে হয় না, তা কে জানে ? বৃহত্তর জীবনচক্র কোন দেবতার হাতে আবৰ্ত্তিত হয় কে জানে ? হয়ত এমন সব প্রাণী আছেন র্যারা মানুষের মত ছবিতে, উপন্যাগে, কবিতায় নিজেদের শিল্পস্থটির আকাক্ষা পূর্ণ করেন না—তারা এক এক বিশ্বস্বষ্টি করেন, তার মানুষের হখে দুখে, উখানে পতনে আত্মপ্রকাশ করাই তাদের পদ্ধতি—কোন মহান বিবর্তনের জীব তার অচিন্তানীয় কলাকুশলতাকে গ্রহে গ্রহে নক্ষত্রে নক্ষত্রে এ রকমভাবে রূপ দিয়াছেন, কে তাকে জানে ? - সারাদেহে একটা কিসের শিহরণ ! কি অপূর্ব पत्रांनcमग्न ! ওপারে মাধবপুরের বাশবনের সারি অস্পষ্ট হুইয় জাসিয়াছে, আউশের ক্ষেতের আলপথ বাহিস্থা কৃষকবধূরা কলসীতে জল লইয়া ফিরিতেছে-লব সেই বাল্যদিনের