পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী-আশ্বিন, ১৩e৮ [ ও১শ ভাগ, ১ম খণ্ড ক্ষত্তি । ষে নৌকোয় সবাই পাড়ি দিচ্চি, দাড় মাঝি বা কোনো আরোহীর পরে রাগ করে তার তলা ফুটাে করে দেওয়াকে জিৎ হওয়া মনে করা চলে না। ইংরেজ যখন একদা সমস্ত চীনদেশের কণ্ঠের মধ্যে তলোয়ারের ডগা দিয়ে আফিমের গোলা ঠেসে দিয়ে তাদের আরাধ্য দেবতাকে চিরদিনের মত অপমানিত করলে, তখন এ পাপ থেকে অন্তত তারা বৈষয়িক পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু কল্পনা কর, দক্ষিণ-চীন যদি রাগের মাথায় উত্তরচীনের মুখে বিষ ঢালতে থাকে, তাতে চীনের ধে মৃত্যুর সঞ্চার হবে, তাতে দক্ষিণ তার থেকে নিষ্কৃতি পাবে না। আত্মীয়দের শক্রতাস্থলে জিংলেও মৃত্যু, হারলেও মৃত্যু। আমাদের মধ্যে যে-কোনো সম্প্রদায় উগ্র উৎসাহে স্বাজাতিক সত্তার মূলে যদি কুঠার চালয়, তবে নিজে উচ্চ শাখায় নিরাপদে আছে মনে ক’রে খুলি হওয়াট। অধিকদিন টেকে না। দুঃখ এই, এই সব ৰখা দুঃখের निtनझे कांटन नश्tछ cशोइग्न मां । यथन भाइtषक ब्रिशू ८ष-८कांहना कांब्रzनहें ऐंcखविड झछ, ठथन আত্মীয়কে আঘাতের দ্বারা মাহুষ আত্মহত্যা করতেও ३डि श्बन। हेडिशप्न cाझनौबज्रय पिन श पर्दा, তা এমনি করেই ঘটে। মরবার বুদ্ধি পেয়ে রসগে, মাছুষ আপনিই মরবে জেনেও অন্তকে মারে । আমাদের नाशना चाछ कठिन श्रब्र ऊँ% ण । चीर्ण चनश् আঘাতেও আত্ম-সম্বরণ করতে যদি না পারি, তবে আমাদের তরফেও আত্মহত্যার আয়োজন করা হবে, শক্রগ্রহের হবে জয় । মন ক্ষুব্ধ আছে বলেই তোমার চিঠির মধ্যে এ-সব কথা লিখলুম। কথাটা এ-স্থলে প্রাসঙ্গিক না হতে পারে, কিন্তু মৰ্ম্মাস্তিক । ইতি ২৯শে ভাদ্র, ১৩৩৮ । জাল শ্ৰীব্রতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফুলঝোর নদীতে জেলেরা চটক বেঁধেছে। সারা দিনরাত তারই শব্দ হাওয়ায় ভেসে আসে ; যেন হওয়ার সঙ্গে নদীর কি খেলা চলেছে, করতালির আর শেষ নেই । জলের ধারে ছোট্ট গ্রাম ; বঁাশ আর বাবলা গাছের ঝোপে ঢাকা বাড়ি আর গরুর বাথান দেখায় যেন বাবুই পাখীর বাসা । গ্রাম থেকে একটু তফাতে জলের ধারেই ছমির মিয়ার ঘর। ছিল এককালে সে বড় জোৎদার, এখন তার সেই দোচালা ঘর, ধানের গোল, গরুর বাথান, ভেঙে চুরে শুপাকার হয়ে পড়ে আছে তার আম বাগানের শুখনো ডাল আর পাতার সঙ্গে মিশিয়ে । জমির উচু পাড় থেকে ছমির বেঁধেছে মাচা । তারই উপর সে বসে থাকে ফুলঝোরের কালো জলে জাল ফেলে। তার ছেড়া জালে মাছ যে কত পড়ে তা সবাই জানে । তবু যতবারই ঐ পথে গেছি, ছমি রকে দেখেছি সেই একই ভাবে বসে থাকৃতে । - গ্রামের লোকে বলে ছমিরের বয়েস হয়েছে একশো বছরের বেশী। তার গায়ের রং ঐ ফুলঝোরের বুকের পলিমাটির মতই । ঝোড়ো হাওয়ায় তার শাদ দাড়ি আর চুল উড়তে থাকে যেন নদীর জলের ফেন । তার প্রকাও শরীরের অনেক জায়গায়ই টোল খেয়েছে এখন, ষেন শিকড় বের করা প্রাচীন বট জলের উপর ঝুকে আছে। ছমিরের চোখ নীল, যেন শরতের আকাশ । লোকে বলে ছমির পাগল । এক সময়ে সে ছিল ডাকাতের সর্দার । তার হাতের লাঠির দাগ পঞ্চাশ ক্রোশের মধ্যে অনেকের গায়েই পরিস্ফুট থেকে তার বীরত্বের পরিচয় দিত। এখন তার মধ্যে একজনও বেঁচে নেই ।