পাতা:প্রবাসী (একত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r് প্ৰৰাণী—মাখিন, ১৩৩৮ [ ৩১শ ভা, ১ম খণ্ড স্বাটে এসে দাড়ায় ; শূন্ত শয় ঝোপটার পানে চেয়ে বুক भाषिक खt* । इधिद्र आकनिन भैषाप्न उाब्रहे चार्टी নৌকা বেঁধেছিল ; কি প্রচণ্ড অভিমান সে বুকে ক’রে নিয়ে গেছে। এমনি ক’রে মোডিয়ার দিন কাটে । তার স্বপ্ন-লতায় ফুল ফোটে, আবার ঝরেও যায়, কুড়িয়ে নেবার মাস্থ্য কোথায় ? এমনি ক’রে কতদিন কেটে গেল। সেবার ফুলকোর নদীতে এল বস্তু। গ্রামের পাড়ে পাড়ে ভাঙন স্বরু হ’ল ; মোতিয়ার গ্রাম বেলতলী, নদীর বঁাকে ; সেইখানেই ভাঙ্গন ধরেছে সব চেয়ে বেশী। সারা দিনরাত পাড় ধসার প্রচণ্ড শব্য হাওয়ায় ভেসে আসে । মোতিয়াদের ঘরের কিনারায় নদীর জল এসেছে। তারা গরু-বাছুর, তৈজস-পত্র দিয়েছে পাঠিয়ে অন্ত গায়ে । বাপ আর মেয়েতে দুজনে আছে জলের মাঝে মাচা বেঁধে । মোতিয়ায় মনেও বুঝি বান ডেকেছে। রূপ-সাগরের ছল ছল ঢেউ তার সারা অঙ্গে তরঙ্গিত হ’তে থাকে। সে স্থির থাকৃতে পারে না, জলের মাঝে পা ডুবিয়ে বিন কাজে ঘুরে বেড়ায় এ-ধারে ও-ধারে । ফুলবোরের অশান্ত কালে জল মনে করিয়ে দেয় তাকে ছমিরের কথা ; ব্যথায় বুক ভরে ওঠে । সেদিন রাত্রে হঠাৎ এল ঝড় ; নদীর জল কলরোল ক'রে উঠল। আম-কঁঠালের বনে স্বরু হ’ল মাতামাতি । পঞ্চমীর চাদ ঢাকা পড়ল কালো মেঘের ছেড়া পর্দায় । মোতিয়াদের বঁাশের মাচা গেল ভেলে । ভোর রাত্রে সোতার মুখে নৌকা বেঁধেছিল ছমির। সেইখানে সে কুড়িয়ে পেলে মোতিয়াকে । নিয়ে গেল তাকে নিজের ঘরে । ছেড়া কাথায় শুইয়ে দিয়ে চুপ ক’রে বসে রইল । - সকালের আলোয় মোতিয়া চোখ মেলে চেয়ে দেখলে ছমিরের দুই নীল চোথের পানে। সে চোখের আগুন নিবে গেছে কবে । তারই বদলে ফুটে আছে বেদনায় ভরা একটি অনন্তু আশা । এই কদিনেই ছমিরের কালে চুলে পাক ধরেছে ; মোতিয়া একটা নিঃশ্বাস ফেলে উঠে বসূল, তারপর ভিজে কাপড় মাথার উপর টেনে উঠে দাড়াল । ছমির জিজ্ঞাসা করলে, “কোথায় যাচ্ছ ? মোতিয়া হাত বাড়িয়ে দেখিয়ে দিলে ঘাটের দিকট। ছমির বাধা দিলে না, মোতিয়া অদৃশ্ব হয়ে গেল বাশঝাড়ের আড়ালে । মোতিয়া আর ফিরল না। বুড়ো আবদালের শ্বেতকরবীর গুচ্ছ ফুলবোরের কালো জলে ভেসে গেল । ছমির ছুটে গিয়ে জলের মাঝে জাল ফেললে মোতিয়াকে যে তার ফিরে পাওয়া চাই-ই । সেই থেকে সে জলে জাল ফেলে বসে থাকে ; জিজ্ঞাসা কবৃলে বলে "মাছ ধরছি।” গ্রামের লোকে সবাই বলে ছমির পাগল । o &ുീ | ή ή క్ష్ణ్ణి