পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V: Es বেদান্ত এবং বৈষ্ণব ‘ভক্তিবাদ এই ত্রিবেণীসঙ্গমের তীর্থোদকে কবীরের অমর সঙ্গীত অভিষিক্ত হইয়াছে। সেই জন্য তাহার অন্তরে যেমন কঠিন একটি তত্ত্বজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাধার, তাহার উপরে তেমনি ভক্তির রসোচ্ছ,সি সঙ্গীতের তরল ধারায় নৃত্য করিয়া চলিয়াছে। কিন্তু তথাপি সেই সকল গানের সহিত গীতিমল্যের গানের রূপভেদ আছে। গীতিমালা’ ও ‘গীতাঞ্জলি'র রবীন্দ্রনাথ যে ‘সোনারতরী’ ‘চিত্র’ ‘কল্পনা’ ‘ক্ষণিকা’র ও রবীন্দ্রনাথ —যিনি প্রকৃতির কবি, মানব প্রেমের কবি, ধিনি সকল বিচিত্ররসনিগুঢ় জীবনের গান গাহিয়াছেন, তিনিই ষে এখন রসাণাং রস তমঃ, সকল রসের রস তম ভগবৎ প্রেমের গান গাহিতেছেন-ইহাতেই তারতবর্ষের ও অন্যান্য দেশের ভক্তিসঙ্গীতের সঙ্গে আর এই নুতন ভক্তিসঙ্গীতের প্রভেদ ঘটিয়াছে। এমন ঘটনা জগতে আর কোথাও ঘটিয়াছে কি না জানিনা। কারণ ধৰ্ম্ম চিরকালই জীবনের অন্যান্য বৈচিত্র্য হইতে আপনাকে সবাইয়া লইয়া সযত্নে সন্তৰ্পণে আপনাকে এক কোণে রক্ষা করিবার চেষ্টা কবিয়াছে । জীবনের গতি একদিকে, ধৰ্ম্মের গতি অন্যদিকে—জীবনের গতি প্রবৃত্তির দিকে, ধৰ্ম্মের গতি নিবৃত্তির দিকে । সেই জন্য কবি ও ভগবদ্ভজ্ঞ —এ দুয়ের সন্মিলন দেখা যায় নাই । ভগবদ্ধ কু হয় ত কবি হইয়াছেন—অর্থাৎ ভক্রির গান লিfথয়াছেন— কিন্তু জীবনের অন্যান্য রসের প্রকাশ তাহার মধ্যে ফুটিয়াছে কোথায় ? পক্ষাত্তরে কোন কবি যে ভক্তির গান লিখিয়া অমর হইয়াছেন, তাহারও পরিচয় পাওয়া যায় না। কবীর বা দাদু ব। আর কোন ভক্ত কবি রবীন্দ্রনাথের মত্ত প্রণয় কবিতা বা প্রণয় সঙ্গীত লিখিয়াছেন, ইহা কোন দিন যদি কোন ঐতিহাসিক বা প্রত্নতত্ত্ববিদ প্রমাণ করিয়াও দেন, তাহ হইলেও আমরা বিশ্বাস করিতে পারিব না । কোন পুরাণে পুথির মধ্যে কবীরের লিখিত গানের এমন ছত্র বাহির হওয়া আসস্তব ৪— * "ভালবেসে, সপি, নিভৃতে যতনে অtমার নামটি লিথিয়ে তোমার মনের মঙ্গিঞ্জে ।” ”সখি প্রতিদিন হয়, এসে ফিরে যায় কে ? তারে আমার মাথার একটি কুহম দে।" কিম্বা প্রত্নাসী— কীৰ্ত্তিক, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড জীরনের সকল রস সকল অভিজ্ঞতার এমন অবাধ এমন আশ্চর্য্য প্রকাশ জগতের অল্প কবিরই মধ্যে দেখা গিয়াছে। পরিপূর্ণ জীবনের গান যিনি গাহিয়াছেন, তিনি যখন অধ্যায় উপলব্ধির গান গাহেন, তখন এস্রাজের মূল তারের ধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে তাহার পাশাপাশি যে তার গুলি থাকে তাহারা যেমন একই অফুরনণে ঝঙ্কত ছুইতে থাকে এবং মূল তারের সঙ্গীতকে গভীরতর করিয়া দেয়, সেইরূপ অধ্যাত্ম উপলব্ধির সুরের সঙ্গে জীবনের অন্যান্য রসোপলব্ধির সুর মিলিত হইয়া এক অপূৰ্ব্ব অনিৰ্ব্বচনীয়তার স্বষ্টি করে। এই জন্ত রবীন্দ্রনাথকে যে সকল বিলাতী সমালোচক খৃষ্টান ভক্তকবিদের সঙ্গে ব। হিব্রু প্রফেটুদের সঙ্গে তুলনা করিয়াছেন, তাহাদের তুলন। যেমন সত্য হয় নাই, সেইরূপ র্যাহার। এতদ্দেশীয় ভক্ত কবিদের সঙ্গে তাহার তুলনা করেন, তাহদেরও তুলনা ঠিক হয় বলিয়া মনে করিন । বরং আধুনিক কালের যে সকল কবি জীবনের সকল বিচিত্র তার রসামুভূতিকে অধ্যাত্ম রসবোধের মধ্যে বিলীন করিয়া দিতে চান—সেই সকল কবিদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ তুলনীয় হইতে পারেন। ওয়াট হুইটম্যান, রবার্ট ব্রাউনিং, এডওয়ার্ড কাপেণ্টার, উইলিয়ম ব্লেকু, ফ্রান্সিস্ টম্পসন, প্রভূতি পাশ্চাত্য কবিদের কাব্যজীবনধারার সঙ্গে বরং রবীন্দ্রনাথের কাব্যজীবনধারার তুলনা করিয়া অধ্যাত্ম প্রসবোধের বিকাশ কোম্ কবির মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক ঘটিয়াছে, তাহ আলোচনা করিয়া দেখা যাইতে পারে। &fessie as con oscoso oftos Ferishtah's Fancies, - Sotto: Sands at Seventy, *ftoftag Towards Democracy arge টম্পসনের The Hound of Heaven প্রভূতি কাব্যের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি বা গীতিমাল্যের তুলনা করিলে এই শ্রেণীর ধৰ্ম্মকাব্যে এই সকল কবির মধ্যে র্তাহার শ্রেষ্ঠত্ব সহজেই অনুমিত হইবে। আমার হাতের কাছে এই কাব্যগুলি নাই—কেবল È*3ītais The Hound of Heaven az শেষ কয়েক ছত্র উদ্ধত করিতেছি – “All which I took from thee I did but take, Not for thy harms, But just that thou might'st seek it in My arms. &