পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 তোরণ যুক্ত হয় না, সুতরাং তঁহাকে প্রাসাদে লইয়া যাইবারও উপায় নাই, অথচ তাহার কান্তকুঞ্জের যুবরাজকে নিজ আবাসভবনে লইয়। যাইতেও সাহস করিতেছিলেন না ; এই সময়ে আগন্তুক অালিয়া র্তাহাদিগের সহিত মিলিত হইলেন। জনশূন্ত রাজপথে র্তাহাকে দেখিয়া পুরুষোত্তমদেব চমকিত হইলেন কিন্তু নন্দলাল তাহাকে দেখিয়া বলিয়া উঠিল “আপনাকে এই মাত্র মধুসূদনের ঘাটে দেখিলাম না ?” আগন্তক কহিলেন “হঁ।” নন্দ – আপনি কোথায় যাইবেন ? আাগ – প্রাসাদে । নন্দ – প্রাসাদে ? প্রবেশ করিবেন কেমন করিয়া ? রাজপথের পাশ্বে জনৈক নাগরিকের গৃহে বাতায়নপথে একটি প্রদীপ জ্বলিতেছিল, তাহার আলোক আসিয়া আগন্তুকের মুখের উপর পড়িল, দীপালোকে তাহার মুখ দেখিয়া পুরুষোত্তম চমকিত হইয়া উঠিলেন। তিনি আগন্তুকের সম্মুখে আসিয় তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন ” “আপনি কে ?” আগন্তুক ঈষৎ হাস্ত করিয়া কহিলেন “পুরুষোত্তম, বল দেখি আমি কে ?” রাজপুরোহিত তখন আগন্তুকের পদপ্রান্তে রাজপথে ধূলায় লুটাইখ পড়িয়া কহিলেন “প্ৰভু, অপরাধ মার্জন করুন, আপনাকে অন্ধকারে চিনিতে পারি নাই।” আগ ।-- এখন চিনিতে পারিয়াছ ? পুরু।– আপনি প্রভু বিশ্বানন্দ । প্রভু কখন গৌড়ে আসিলেন ? বিশ্ব — তোমাদিগের দুই প্রহর পুৰ্ব্বে, রাত্রিকালে নৌকায় অপেক্ষা করিতেছিলাম। পুরু।— প্রভু, নারায়ণ আপনার দর্শন মিলাইয়৷ দিয়াছেন, আমরা রাজ অতিথি লইয়া বিযম বিপদে পড়িয়াছি। § বিশ্বা।-রাজ অতিথি কোথায় পাইলে ? পুরু — বারাণসীতে। মহারাজাধিরাজ আমাকে কান্তকুজে নিমন্ত্ৰণ করিতে পাঠাইয়াছিলেন। নিমন্ত্রণ করিয়া গৌড়ে ফিরিতেছিলাম, পথে বারাণসীতে একদিন প্রবাসী-কাকি, מאסיבי [ ১৪শ ভাগ, ২য় খ অপেক্ষা করিলাম। সেই দিন প্রতাতে আদি কেশ ঘাটে স্বান করিতেছি এমন সময়ে দেখিলাম যে নগর জয়সিংহ একটি অল্পবয়স্ক যুবকের সহিত কথা কহিবে এবং তাহাকে সত্বর নগর ত্যাগ করিতে বলিতো বিশ্ব —তাহ শুনিয়া তুমি কি করিলে ? পুরু —সেই যুবকের কাতরোক্তি শুনিয়া আৰু মনে বড় ক্লেশ হইল। আমি জল হইতে উঠিয় তাহা জিজ্ঞাসা করিলাম “তুমি কে ? তোমার কি হইয়াছে তাহার পরিচয়ে জানিলাম যে সে কান্তকুঞ্জের রাজং চক্রায়ুধ, তাহার পিতৃব্য ইন্দ্রীযুদ্ধ তাহাকে সিংহাসনাচু করিয়াছে, এখন আর তাহার পিতৃরাজ্যে তাহার খু তাতের ভয়ে তাহাকে কেহই অtশ্রর দিতে চাহে ন অামি তাহাকে অভয় দিয়া বলিপাম তোমার ভয় না আমি তোমাকে আশ্রয় দিব । বিশ্ব —উত্তম করিয়াছ, পুরুষোত্তম তুমি গৌড়রা পুরোহিতের উপযুক্ত কাজ করিয়াছ। তোমার দে যে এত দয়া আছে তাহ। আমি জানিতাম না। তোম মস্তিষ্কে যে এত চিন্তাশক্তি আছে তাহ গৌড়রাজ্যে বে জানিত কি ন সন্দেহ । পুরু।--কিন্তু প্রভু— বিশ্ব –কিন্তু কি পুরুষোত্তম ? পুরু।--প্রভু, আমি আর একটু কাৰ্য্য আসিয়াছি। বিশ্ব —আবার কি ? পুরু।—প্রভু, আমি মনের আবেগে আবক্ষ জাহ্নবী সলিলে দাড়াইয়। প্রতিজ্ঞ করিয়া আসিয়াছি যে যেম করিয়া পারি চক্রায়ুধের পিতৃরাজ্য তাহাকে ফিরাইয়ু দিব । বিশ্ব !—কি বলিলে ? পুরু।–প্রভু, পুৰ্ব্বাপর বিবেচনা না করিয়া প্রতিজ্ঞ করিয়া ফেলিয়াছি। এখন রক্ষা হইবে কেমন করিয় ঠাকুর ? অামার কথা রক্ষা ন হইলে কেবল যে আমার অপমান—তাহা নহে, সঙ্গে সঙ্গে গৌড়রাজ্যের অপমান। বিশ্ব -পুরুষোত্তম শাস্ত হও, তুমি কি বলিলে তাহ আমি ভাল গুনিতে পাই নাই । করি: