পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] SJAAA AAAA SAAAAASJJJJSAAAAAA AAAAA পুরুষ —প্রভু, আমি অবিমুক্ত ক্ষেত্রে আদিকেশবের ঘটে পবিত্র জাহ্নবীসলিলে দাড়াইয়া প্রতিজ্ঞ করিয়া আসিয়াছি যে যুবরাজ চক্রায়ুধের পিতৃরাজ্য যেমন করিয়া পারি তাহাকে ফিরাইয়া দিব । - সন্ন্যাসী পুরুষোত্তমের প্রতিজ্ঞার কথা শুনিয়া উত্তর না দিয়া চিত্ত করিতে লাগিলেন। পুরুষোত্তম উত্তরের প্রতীক্ষায় তাহার মুখের দিকে চাহিয়া দড়িাইয়৷ রহিলেন । কিঞ্চিদূরে যুবরাজ চক্রায়ুধ ও নন্দলাল তাহাদিগের জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন । পরিচারক ও সেনাগণ প্তাহাদিগের পশ্চাতে দাড়াইয়াছিল। তখন পুৰ্ব্বদিকে আলোকের ক্ষীণরেখ। দেখা দিয়াছে। রাজপথে দুই এক জন লোক চলিতে অগ্রস্ত করিয়াছে । ক্রমে পুৰ্ব্বদিকে নীল আকাশ উষালোকে শুভ্ৰ হইয়া উঠিল, তৈলহীন প্রদীপের মত তারকাগুলি একে একে নিতিয়া গেল। বিশ্বানন্দ তখনও রাজপথের মধ্যস্থলে দাড়াইয়া চিন্তা করিতেছেন । 齡 তিনি ভাবিতেছিলেন-বুদ্ধিহীন সহৃদয় পুরুষোত্তম বারাণসীর প্রাচীনতম তীর্থ কেশবের মন্দির-ঘাটে পুত জাহ্নবীসলিলে দাড়াইয়া যে প্রতিজ্ঞ। করিয়া আসিয়াছে তাহার কি উপায় হইবে। পুরুষোত্তম অবশ্য অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনা না করিয়াই প্রতিজ্ঞ করিয়াছে। তাহার কোমল হৃদয় অপ্রাপ্তবয়স্ক, আশ্রয়বিহীন যুবার খেদোক্তি শুনিয়া দ্রবীভূত হইয়াছিল, কিন্তু সে ত চক্রায়ুধকে আশ্রয় দিয়া নিরস্ত থাকিলেই পারিত, সে দ্বিতীয় প্রতিজ্ঞ। করিতে গেল কেন ? কান্তকুজরাজ ইন্দ্রায়ুধকে পরাজিত করিয়া বজায়ুধের পুলকে পিতৃসিংহাসনে পুনস্থাপিত করা দহজসাধ্য হইবে না । ভণ্ডীরবংশ হীনবীৰ্য্য নহে । এতদ্ব্যতীত মরুভূমিতে পরাক্রমশালী গুর্জররাজ্য ইন্দ্রধের সহিত সন্ধিস্থত্রে আবদ্ধ। ইন্দ্রায়ুধকে সিংহাসনচু্যত করিতে হইলে অবস্তি ও ভীয়মালের দর্প টুর্ণ করা আবশ্যক। কেমন করিয়া পুরুষোত্তমের প্রতিজ্ঞ। রক্ষা ইবে! এই সময়ে পৰিপাশ্বাস্থত বিটাপরাজির পাদস্থলে কায়িত অন্ধকার হইতে বিশ্বানদের মানসিক উক্তির তিধ্বনি করিয়া কে যেন বলিল “হইবে।” বিশ্বানন্দ তাহ শুনিয়াও যেন শুনিলেন না। র্তাহার ধৰ্ম্মঞ্চাল " N? চিস্তাম্রোত বাধা পাইল না, তিনি “ভাবিতে লাগিলেন— গৌড়রাজ্যে কি এমন শক্তি আছে যাহার বলে ধৰ্ম্মপাল রণে দুৰ্দ্ধৰ্ষ জাতির সম্মুখীন হন। " এই শিশু সাম্রাজ্যের কোষে কি এমন অর্থ আছে যাহাতে সমগ্র আর্য্যাবৰ্ত্তবিজয়যাত্রার ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হয়। তখন তাহীর মনের ভাব বুঝিয়াই অন্ধকার হইতে . কে যেন বলিয়া উঠিল “আছে।” ” শব্দ শুনির বিশ্বানন্দ চমুকিয় উঠলেন কিন্তু দ্রুতপদে বৃক্ষতলে গিয়া কাহাকৈও দেখিতে পাইলেন না। তখন দূর হইতে আবার কে বলিয়া উঠিল “সময় হইয়াছে, চক্ররাজ ! রাত্রিতে মণিদত্তের গৃহে আসিও ।” বিশ্বানন্দ দ্রুতপদে শব্দের দিকে ছুটিয়া চলিলেন, তাহা দেখিয়া পুরুষোত্তম, নন্দলাল ও চক্রায়ুখ ছুটিয়া আসিলেন, কিন্তু অরুণপ্রভণয় ক্ষীণ । অন্ধকারে কাহাকেও খুজিয়া পাওরা গেল না। তখনু বিশ্বানন্দ পুরুষোত্তমকে জিজ্ঞাসা করিলেন “আমার সহিত কে কথ। কহিল ?” “কই কেহ ত কথা কহে নাই ?” & 劍 “আমাকে কে যেন কি বলিল ? . “কই না, আমি ত কিছু শুনিতে পাই নাই ?” সহসা বিশ্বানন্দের মুখ উল্লাসে দীপ্ত হইয়া উঠিল, জিজ্ঞাসা করিলেন “কান্তকুজরাজ কোথায় ?” পুরুষোত্তম চক্রায়ুধকে তাহার নিকট আহবান করিলেন, তিনি আসিয়। সন্ন্যাসীকে দণ্ডবৎ প্রণাম করিলেন । বিশ্বানন্দ আশীৰ্ব্বাদ করিয়া কহিলেন “মহারাজের জয় হউক।” চক্রায়ুধ ও নন্দলাল বিক্ষিত হইয়া তাহার মুথের দিকে চাহিয়া রহিলেন। অবসর বুঝিয়া পুরুষোত্তম সন্ন্যাসীকে জিজ্ঞাস করিলেন “প্ৰভু, কি হইবে ?” “পুরুষোত্তম, তোমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা হইবে।” সরলচিত্ত সহৃদয় ব্রাহ্মণ রাজপথের ধূলার সন্ন্যাসীর পদপ্রাস্তে লুটাইয়া পড়িল।” তথন সকলে মিলিয়া প্রাসাদাভিমুখে যাত্রা করিলেন । সপ্তম পরিচ্ছেদ । প্রভাতে স্বৰ্য্যোদয়ের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে মহারাজাধিরাজ ধৰ্ম্মপালদেব প্রাসাদের ঘাটে স্বান করিতেছেন।