পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা । “প্ৰভু, অবশু আশ্রয় দিষ।” so “কিন্তু, ধৰ্ম্ম, ভাবিয়া দেখ, আশ্রশ্ন দিলে হয়ত কান্যকুক্তরাজ ইন্দ্রীয়ুধের বিরাগভাজন হইবে, এমন কি মরুমাড়ে পরাক্রাপ্ত গুর্জররাজ ও তোমার বিরোধী इंबम ।" “আশ্ৰিত সুরক্ষণ রাজধৰ্ম্ম, ইতিহাসবিশ্ৰুত ভরতবংশ আশ্রিত সংরক্ষণের জন্ত সৰ্ব্বস্ব প করিয়াছিলেন। প্রভু, নবীন গৌড়সাম্রাজ্য যদি হারাইতে হয়, চিরগত পিতৃরাজ্য যদি পরহস্তে সমপণ করিতে হয়, তাও স্বীকার, কিন্তু ধৰ্ম্মপালের দেহে যতক্ষণ প্রাণ থাকিবে, ততক্ষণ চক্রায়ুধ আশ্রয়চু্যত হইবেন না। স্বর্গগত পিতার পুণ্য নাম লইয়া শপথ করিতেছি, কখনও চক্রাযুদ্ধকে পরিত্যাগ করিব না।” “সাধু, ধৰ্ম্ম, সাধু। ইহাই ওনিব বলিয়া তোমার নিকট গঙ্গাতীরে আসিয়াছিলাম। আর একটি প্রার্থনা আছে, ভরসা করি গোপালদেবের পুত্রের নিকট বিমুখ হইব না।” 數 “কি প্রভু !" “চক্রায়ুধকে কান্যকুঞ্জের সিংহাসনে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে।” “প্রভু, যুদ্ধে জয়পরাজয় অনিশ্চিত। তবে এই জাহ্নবীসলিল হস্তে লইয়া মৰ্ত্তিগুদেব ও নররূপী নারায়ণ ব্রাহ্মণকে সাক্ষী করিয়। শপথ করিতেছি, যতক্ষণ ধৰ্ম্মপালের দেহে একবিন্দু শোণিত থাকিবে, যতদিন গৌড়রাজ্যে এক মুষ্টি অন্ন থাকিবে, যতকাল আমার আল্পীলে অস্ত্ৰধারণক্ষম একজনও সেন থাকিবে, ততক্ষণ চক্রায়ুধের জন্য যুদ্ধ করিতে বিরত হইল না । যদি বিশ্বজগৎ আমার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হয়, তথাপি গোপালদেবের পুত্র গুণ্ডির বংশধরের জন্য অস্ত্ৰধারণ করিবে ।” সন্ন্যাসী স্তত্তিত হইয়া ধৰ্ম্মপালদেবের ভীষণ প্রতিজ্ঞ শ্রবণ করিলেন এষং ক্ষণকাল পরে তারস্বরে বলির উঠিলেন, “জয় মহারাজাধিরাজের জয়, জয় গৌড়েশ্বর ধৰ্ম্মপালের জয় । ধৰ্ম্ম, আমি ૧૧ાર્જ অম্বুমান করিয়াছলাম, তুমি সত্য সত্যই আধ্যাবর্তের গৌরব।” সন্ন্যাসীর কথা শেষ হইবার পূর্বেই জয়ধ্বনি শুনিয়া 鬱 סל দেশের কথা שי ף פל

  • সহস্ৰ সহস্র ভিক্ষুক সমস্বরে জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল। তখন গৌড়েশ্বর জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভু, যুবরাজ চক্রায়ুধ কোথায় ?”

“তিনি মহাপুরোহিত পুরুষোত্তম শৰ্ম্মীর সহিত • জনতার বাহিরু দাড়াইয়া আছেন।” “র্তাহাকে এই স্থানে আনিতে অনুমতি করুন।” বিশ্বানন্দের আদেশে রবিবৃত্ত "চক্রায়ুধের সন্ধানে প্রস্থান করিলেন। চক্রায়ুধের সহিত পুরুষোত্তমদেব আসিয়া উপস্থিত হইলেন । * ধৰ্ম্মপালদেব চক্রায়ুধকে আলিঙ্গন করিয়া তাহার সম্মুখে পুনরায় প্রতিজ্ঞ করিলেন। তথন পুনরায় দাল আরস্ত হইল। ( ক্রমশ ) শ্রীরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের কথা সম্প্রতি এই সমগ্র যুরোপব্যাপী ভীষণ যুদ্ধের দুঃসহ কোলাহলে দেশের আর সর্বপ্রকার সাড়াশব্দই প্রায় চাপা পড়িয়া গিয়াছে। লোকের মুখে আর কোন কথা”: নাই, কেবল যুদ্ধ আর যুদ্ধ। সংবাদথত্রগুলিরও লিথিবীর বিষয় আর কিছু নাই, শুধু জাৰ্ম্মেণী আর অন্ত্রিয়। জার ফরাসী আর ইংরাজ। জার্মেনী বা অন্ত্রিয়া কিম্বা ফরাসী কি ইংরাজের দেশে এই ব্যাপারটা মোটেই অন্তfয় নয়, বরং খুষই উচিত ও ন্তারসঙ্গত বটে ; কিন্তু আমাদের দেশে এতট। নেহাৎই বাড়াবাড়ি। একথা স্বীকার করি যে বর্তমান যুদ্ধের সহিত প্রত্যক্ষভাবে আমাদের দেশের যোগ না থাকিলেও পরোক্ষ ভাবে আছে। কিন্তু তাই বলিয়া এই এক যুদ্ধের হুজুগে আর সমস্ত একান্তপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলির কথাই বা ভুলিলে চলিবে কেন ? অনর্থক রক্তপাতের জন্য আমরা কেন সকল মানবাত্মাই দুঃখিত। কিন্তু দুঃখের ঠাট করিলে জগতের কাহারে বিন্দুমাত্র আসিয়া যাইবে না, একমাত্র আমাদের ছাড়া । ষিশ্বপ্রেমিকতা সেই জাতিরই সাজে যে জাতির স্বদেশপ্রেমিক হইবার পথে কোনোপ্রকার বাধা নাই এবং স্বদেশ যাহাদের অবনতি ও অশিক্ষার সর্বনিম্নস্তরের জমাট অন্ধকারে পতিত নহে।