পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ যুরোপযাত্রী। —ষ্ট্রেট জানাল ( উইস্কন্সিন) । জন্মান্তরবাদ ‘জগতে বৈষম্য কেন ? ইহা মীমাংস৷ করিবার জন্য অনেকে জন্মান্তরবাদের আশ্রয় গ্রহণ করেন। আমরা প্রথম প্রবন্ধে এবিষয়ে আলোচনা করিয়াছি । আত্মার পুনর্জন্ম সম্ভব কিনা—ইহাই এই প্রবন্ধেব আলোচ্য বিষয় । পুনর্জন্ম ও আত্মার একত্ব। মনে কর “শনি’ নামক একজন লোক জন্মগ্রহণ করিয়াছিল ! তাহার মৃত্যুর পর রবি নামক একব্যক্তি জন্মগ্রহণ করে। কেহ যদি বলিতে চাহেন যে শনিই রবি হইয়াছে, তাহা হইলে তাহাকে প্রমাণ করিতে হইবে যে শনি ও রবি একই ব্যক্তি। এই একত্ব প্রধানতঃ দুইটি উপায়ে নির্ণয় করা যায় । (১) সাদৃপ্ত দেখিয়া আমরা অধিকাংশ স্থলে দুই বস্তুর একত্ব নির্ণয় করিতে পারি। (২) আত্মজ্ঞান দ্বারাও আমরা আপনাদিগের আত্মার একত্ব বুঝিয় থাকি । ( ১ ) সাদৃশ্বে একত্ব প্রমাণ । আমরা প্রথমে সাদৃশুমূলক যুক্তির সাহায্যে পুনর্জন্মতত্ত্ব আলোচনা করিব । প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রথম দৃষ্টান্ত । মনে কর “ন’ নামক একটি নদী প্রবাহিত হইয়া চলিয়া যাইতেছে উৎপত্তিস্থলে ইহা অবশ্যই অগভীর এবং অপ্রসর । এই নদী ১৭ মাইল প্রবাহিত হইয়া এমন একস্থলে উপস্থিত হইল ষে-স্থলে ইহা পরিসর এক মাইল এবং গভীরতা ৫০ হস্ত । এইস্থলে অকন্ম সমুদয় নদীটি জমিয়া রেফ হইয় গেল । সুতরাং ইহার গতি নিরুদ্ধ হইল। কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ সমুদয় বরফ একবারে এ নিমেষে গলিয়া গেল। নদীর বেগ যেস্থলে নিরুদ্ধ হইয়াছিল, সেই স্থল হইতেই নদী আবার পূর্বের ন্যায় বেগে প্রবাহিত হইতে লাগিল এমন ভাবে অগ্রসর হইতে লাগিল, ম্বেন নদী কখন বরফে পরিণ হয় নাই এবং ইহার বেগও যেন নিরুদ্ধ হয় নাই । ঐ যে কয়ে ঘণ্ট। নদী বরফ হুইয়া বসিয়া ছিল উহা ষেন নদীর বিশ্রাম বা নিদ্র। বিশ্রাষের পূর্বের নদী, ও বিশ্রামের পরের নদী একই নদী। এবিষে সন্দেহ করিবার কিছু নাই । এবং কেহ কথন সন্দেহও করিবে না আর নদীর আত্মজ্ঞান থাকিলে নদী নিজেও ইহা বুঝিতে পারিত। আমাদিগের নিদ্রার দৃষ্টাস্তও গ্রহণ করিতে পারি। আমাদিগে আত্মাও যেন একটি নদী। জন্মের সময় ইহা অপ্রসর ও অগভীর এই আত্মা-নদী যতই অগ্রসর হইতেছে ততই ইহার প্রসার গভীরতা বৰ্দ্ধিত হইতেছে । নদী যেমন কিছুক্ষণ নিরুদ্ধ ছিল, আত্মা গতিও তেমনি নিদ্রার সময় নিরুদ্ধ থাকে ; তুষাররূপ বিশ্রাম করি সেই পূর্বের নদীই যেমন খুবের ন্যায় বেগে প্রবাহিত হইতে থাৰে নিদ্রার পরও সেই পূর্বের মানবই আবার পূর্বের ন্যায় বেগে অগ্রস হইতে থাকে । বিশ্রামে নদীর একত্ব বিনাশ প্রাপ্ত হয় নাই নিদ্রাতেও মানবাত্মার একত্বের হানি হয় নাই। তুষার হইবা পূর্বের নদী ও তুষার হইবার পরের নদী যেমন একই নদী, তেষা নিদ্রার পূর্বের আত্মা এবং নিদ্রার পরের আত্মা একই আত্মা । ে স্থলে নদীর বেগ নিরুদ্ধ হইয়াছিল, সে স্থলে ইহার প্রসার ছিল এ মাইল এবং গভীরতা ছিল ৫ - হস্ত । বিশ্রামের পর নদী যখ অগ্রসর হইতে আরস্ত করিল সে স্থলেও নদীর প্রসার এক মাইল এৰ গভীরতা ৫- হস্ত। নিদ্রার পূৰ্ব্বে আত্মা যে প্রকার গভীর ও বিস্তু ছিল, নিদ্রার পরেও আত্মার গভীরতা ও বিস্তৃতি সেই প্রকারই ছিল এই ভাবে নদী যদি ক্রমাগতই বিস্তৃত ও গভীর হইয়। অগ্রসর হ তবেই আমরা বলিতে পারি সেই নদী বৰ্দ্ধিত হইয়া চলিতেছে আত্মাও যদি এইরূপে ক্রমশঃই উন্নতি লাভ করিয়া অগ্রসর হয়, তাহ হইলে আমরা বলিতে পারি আত্মার ক্রমোন্নতি হইতেছে । দ্বিতীয় দৃষ্টান্ত । ঐ নদীর দৃষ্টান্তই একটুকু পরিবর্তিত করিয়া গ্রহণ করা যাউক মনে কর নদীটির নাম “ন’ । এই নদী ১•• মাইল প্রবাহ্যি হইয়া অকস্মাৎ অস্তৰ্হিত হইয়া গেল । যে স্থলে ইহা অস্তৰ্হি হইল সে স্থলে ইহার প্রসার এক মাইল ও গভীরতা ৫০ হস্ত ইহার পর 'না' নামক একটি নদী অাবিভুত হইল। উৎপত্তি সময়েই ইহার গভীরতা ৫০ হস্ত এবং বিস্তৃতি ১ মাইল । ‘ন নদীর জল যে প্রকার ছিল, “ন’ নদীয় জলও ঠিক সেই প্রকার অদৃগু হইবার সময় “ন’ নদী যে সমুদয় বৃক্ষলতাদি বহন করির আনিতেছিল, এই নূতন নদীর বক্ষেও ইহার আবির্ভাব হইবা সময়েই সেই সমুদয় বৃক্ষলতাদি দৃষ্টিগোচর হইল। এখানে জিজ্ঞাসা করা যাইতে পারে ঐ ‘ন নদীর সহিত এই না’ নদীর ৷ি भश्वक ? ●वंiग्न मकद्दलङ्गे वणि८वन *ब्र' बनौझे उत्रांखांब ‘जi" बन्नैौङ्गc