পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ S SS YS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S AAAA S রবি, সোম ও মঙ্গলের মৃত্যুকাল পর্য্যস্ত গেল, তাহার পর দেখা গেল রবি প্রায় শনির সমান উন্নতি লাভ করিয়াছে, সোমের উন্নতি শনির উন্নতি অপেক্ষা বেশী, এবং মঙ্গলের উন্নতি শনির উন্নতি অপেক্ষা কম । এখন কি, কেহ সিদ্ধান্ত করিবেন যে শনি রবি হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছে, কিংবা সোম হইয়া, কিংবা মঙ্গল হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছে ? সকলকেই বলিতে হইবে শনির সহিত রবি, সোম ও মঙ্গলের কোন একত্ব দেখা যাইতেছে না । সমা, জ্যেষ্ঠা, কনিষ্ঠার বেলায় যে সিদ্ধাস্ত করিয়াছি, এ স্থলেও সেই সিদ্ধান্তই করিতে হইবে । যুক্তির পথ অবলম্বন করিলে ইহা ভিন্ন অন্ত সিদ্ধান্ত হইতে পারে না । (घ) কিন্তু মানবের প্রকৃতি অতি অদ্ভুত। অদৃশু জগৎ বিষয়ে মানুষের সব প্রকার সিদ্ধান্তই সস্তবে । একশ্রেণীর লোক আছেন যাহার। মনে করেন জগতে কখন উন্নতি &# =ll, History repeats itself, eisis পূৰ্ব্বে যেমন ছিল, এখনও সেই অবস্থাতেই আছে । ইহঁাদিগের মধ্যে যদি কেহ জন্মাস্তরবাদী থাকেন, তিনি হয়ত বলিবেন, শনি মরিয়া রবি হইয়াছে, কারণ উভয়ের জীবন একই প্রকার। আর এক শ্রেণীর লোক আছেন, র্যাহারা মনে করেন, জগৎ দিন দিনই উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছে । এই মতের কোন জন্মান্তরবাদী বলিতে পারেন, শনি মরিয়৷ সোম হইয়াছে, কারণ সোমের জীবন শনির জীবন অপেক্ষা উন্নত। তৃতীয় এক শ্রেণীর লোক আছেন তাহাদিগের বিশ্বাস জগৎ দিন দিনই অধোমুখে ধাবিত হইতেছে। র্তাহাদিগের মধ্যে কোন পুনর্জন্মবাদী থাকিলে তিনি বলিবেন, মঙ্গলই পুৰ্ব্ব জন্মে শনি ছিল, কারণ মঙ্গলের জীবন শনির জীবন অপেক্ষ। নিকৃষ্ট । এই প্রকার সিদ্ধান্তের উপর আর যুক্তি চলে ন। প্রকৃত পক্ষে পুনর্জন্মের যুক্তি এই প্রকারই । যাহার যাহা খুলী সে তাহাই বলিতেছে। লোকে ত বলিতেছেই শিয়াল, কুকুর, ইদুর, বিড়াল, শকুনী, গৃধিনী, যক্ষ, রক্ষ, গন্ধৰ্ব্ব, কিন্নর, দেব, দানব, সকলেই মানবরূপে জন্ম গ্রহণ করে এবং মানুষও মরিয়া এই SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS A SAS S S S S S S প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ অপেক্ষা করা • সমুদয় রূপে জন্মগ্রহণ করিয়া থাকে । [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS » یا ۹ مه ها و باره به این بار با ۶ এ-সমুদয় মতের কোন ভিত্তি নাই ; এবং যাহার ভিত্তি নাই, তাহাকে যুক্তি তর্ক দ্বারা ভিত্তিবিহীন করিবার চেষ্টা করা বিড়ম্বন বই আর কিছুই নহে । স্মৃতি ও আত্মার একত্ব । সাদৃশু দেখিয়। আমরা দুই বস্তুর একত্ব অনুমান করিয়া থাকি কিন্তু স্মৃতি দ্বারাই আমরা আত্মার একত্ব অপরোক্ষ ভাবে অকুভব করিয়া থাকি । স্মৃতি যদি না থাকিত, আমরা আত্মার একত্ব বুঝিতে পারিতাম না। বর্তমান যুগের একজন প্রধান দার্শনিক পণ্ডিত চৈতন্য ও স্মৃতির বিষয়ে এই প্রকার বলিয়াছেন ঃ– Consciousness signifies, allove all, memory. The incinory 111ay not be very extensive ; it may cinbrace only a very small section of the past, Ilothing indeed but the iminediate past ; Dirt, in order that there may be consciousness at all, something of this past must be retaincol, be it nothing but the monient just gone bv. A consciousness which retailied nothing of the past would be a consciousness that clicd and was reborn every instant—it would be no longer conscious 1}{*SS . . . . All consciousness, then, is memory ; all consciousmess is a preservation and accumulation of the past iu tlie present ( Bergson's Huxley Lecture). অর্থাৎ আমরা চৈতন্ত বলিতে সৰ্ব্বোপরি স্মৃতিই বুঝি। এই স্মৃতি যে বহুবিস্তৃত হইবে তাহ নহে ; অতীতের অতি অল্প অংশ মাত্র—এইমাত্র যে-সময়টুকু চলিয়া গেল সেইটুকু মাত্র থাকিলেই যথেষ্ট । আমরা যাহাকে চৈতন্ত বলি, তাহাতে অতীতের কিছু থাকা চাই ; আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, এইমাত্র যে-সময়টুকু চলিয়া গেল, অন্ততঃ তাহারও কিছু ইহাতে থাকা আবশুক। যে চৈতন্তে অতীত কালের কিছুই থাকে না, তাহ প্রতিনিমিষেই বিনাশ প্রাপ্ত হইতেছে এবং প্রতি-নিমিষেই উৎপন্ন হইতেছে ; ইহাকে আর চৈতন্য বলা যায় না। তাহা হইলে স্মৃতিই হইল চৈতন্য। অতীত জীবনকে আহরণ করিয়া বর্তমান জীবনে তাহ সঞ্চয় করাই চৈতন্তের একটি বিশেষ কাৰ্য্য। মানব স্মৃতি দ্বারা পূৰ্ব্বমুহুর্তের ঘটনা ও বর্তমানমুহূর্তের ঘটনার সংযোগ করিয়া থাকে এবং