পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] هم * ۶ - می ه به همراهی یرماه ۶۶۳ به ( ५ ) পুনর্জন্মবাদীগণ যে বলেন শনি মরিয়া রবি হইল, আমরা জিজ্ঞাসা করি এ পুনর্জন্ম কাহার ? রবি শনির চৈতন্ত আর লাভ করিল না—লাভ করিল কেবল গুণকৰ্ম্ম। এস্থলে ব্লগা উচিত, পুনর্জন্ম হইল শনির গুণকৰ্ম্মের ; শনির পুনর্জন্ম হইল, ইহা বলা যাইতে পারে । আয় বলিতে আমরা প্রধানতঃ আত্মচৈতন্তই বি, কিন্তু এই চৈতন্য গুণকৰ্ম্মবিরহিত হইয়া থাকিতে পারে না। সুতরাং আস্থা অর্থ আত্মচৈতন্য ও গুণকৰ্ম্ম উভয়ই । এই দুইটির মধ্যে একটিরও যদি বিনাশ হয় তবে আত্মার আয়ত্ব রহিল না । গুণকৰ্ম্মবিহীন অস্থিা দ্য আত্মা এবং চৈতন্তবিহীন আত্মা অনায়-বস্তু। গুণমৰ্ম্মকে কখনই আত্মা-শব্দ-বাচ্য করা যায় না, ইহা নায় বস্তুই । এই যে পুনর্জন্মবাদীগণ যলেন পূৰ্ব্বজন্মের ণকৰ্ম্ম লইয়। রবি জন্মগ্রহণ করিল—ইহা কি গুণকৰ্ম্মের নর্জন্ম নহে ? বিজ্ঞান প্রমাণ করিয়াছে একটি অণু রমাণুও ধ্বংস হয় না । সুতরাং মানুষ যখন মরিয়া যায় খনও তাহার দেহের পরমাণু বিমর্শ প্রাপ্ত হয় না । ই সমুদয় পরমাণু নুতন ভাবে থাকিয়া যায়, ইহাদিগের নর্জন্ম লাভ হয়। পরমাণুর পুনর্জন্ম প্রমাণ করিলে মন দেহের পুনর্জন্ম প্রমাণ করা হইল না, তেমনি ণকৰ্ম্মের পুনর্জন্ম যদি প্রমাণ করা সস্তবও হয়, তাহ। ইলেও ইহা প্রমাণিত হইল না যে কোন আত্মার নর্জন্ম হইল। গুণকৰ্ম্মের পুনর্জন্ম অনাত্মবস্তুরই পুনর্জন্ম, tয়ার জন্মান্তর নহে । ( 히 এক ব্যক্তি বোঝা বহন করিয়া আনিতেছিল, তাহার হইল ; অপরে সেই বোঝা গ্রহণ করিল ; তাহার gর পর তৃতীয় এক ব্যক্তি সেই বোঝা বহন করিতে গিল। বোঝাটা বহন করিয়া আনা হইতেছে সত্য, স্তু এ কার্য্য একব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত হইতেছে না । আন্তরবাদীদিগের যুক্তিকে যদি সঙ্গত বলিয়া স্বীকার রয়া লওয়া যায় তাহ হইলে এইটুকু মাত্র প্রমাণিত হয় গুণকৰ্ম্মাদিকে বহন করিরা আনা হইতেছে, কিন্তু এক জন্মাস্তৱবাদ ہ ، سرہ- یہ--9 مر ہ ء ، عہ ، .3ళి? SAeSASAS SSAS SSAS A SAS SS SAAAAAA AAAAA ー、ヘェヘって、ヘヘヘ・ペ鈴・ヘイ・ヘペイ^イ"・ জন ব্যক্তি এই-সমুদয় বহন করিয়া আনিতেছে ইহা প্রমাণিত হইতেছে না। (श्रृं ) এই যে গুণকৰ্ম্মের জন্মান্তর, ইহার মুখ্য কথা এই যে গুণকৰ্ম্ম সংসারে রহিয়া যাইতেছে। যাহারা নাস্তিক, যাহার। পরকাল মানে না, তাহfর কি ইহা অপেক্ষ কিছু কম বলিতেছে ? হার্বট স্পেনসার প্রমুখ পণ্ডিতগণও কি বলিতেছেন না যে মানুষ মরিয়া যাইতেছে বটে কিন্তু তাহার জ্ঞান, ভাব, কৰ্ম্ম সমুদয়ই সাহিত্যে, ইতিহাসে, বিজ্ঞানে, দর্শনে, সমাজে, পরিবারে থাকিয়া যাইতেছে ? কেবল এই সমুদয়ে কেন, ব্যক্তিবিশেষের জীবনেও কি লোকের গুণগ্রাম থাকিয়া যাইতেছে না ? পুত্রকষ্ঠ কি মাতাপিতা এবং পূৰ্ব্বপুরুষগণের জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তি এবং সাক্ষাৎ অবতার নহে ? তফাৎ এই, নাস্তিকগণ বলিতেছেন গুণকৰ্ম্ম প্রাকৃত উপায়ে চক্ষুর সমক্ষে ফল প্রসব করিতেছে ; আর জন্মস্থরবাদীগণ বলিতেছেন, গুণকৰ্ম্ম ‘অতিপ্রাকৃত উপায়ে চক্ষুর অগোচরে অজ্ঞাত কোন এক ব্যক্তির জীবনে - ফল প্রসব করিতেছে । মাস্তিকগণ বলিতেছেন, মৃত্যুর সময়ে আত্মচৈতন্য বিলুপ্ত হইয়া যায়, আর এ চৈতন্য প্রকাশিত হয় না ; জন্মা স্তরবাদীগণও এই কথাই বলিতেছেন। তবে অণর জন্মান্তরবদের শ্রেষ্ঠত্ব কোথায় ? বরং কোন কোন .বিষয়ে নাস্তিকদিগের মতকেই অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলিয়া মনে হয়। নাস্তিকগণ অবলম্বন করিতেছেন ‘প্রাকৃত উপায়', আর জন্মস্তিত্ববাদীগণের আশ্রয় “অপ্রাকৃত উপায় । ( 5) মৃত্যুকালে চৈতন্তের বিনাশ হয়, গুণকৰ্ম্ম থাকিয়া যায়; তাহার পর এই গুণকৰ্ম্ম আর-এক চৈতন্তের সহিত প্রকাশিত হয়। এখানে প্রশ্ন এই, দ্বিতীয় চৈতন্য, কোথ। হইতে আসিল ? একশ্রেণীর কৰ্ম্মবাদী বলেন “বীজ হইতে যেমন বৃক্ষের উৎপত্তি হয় তেমনি কৰ্ম্মরূপ বীজ হইতেই চৈতন্তের উদগম হইয়া থাকে।” জন্মের পর জন্ম আসিতেছে, এক চৈতন্ত আসিল, সে চৈতন্য বিলুপ্ত হইল