পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

` 8२ SAAAAAA SAAeJJJAS AeSeSJSJSAS SSASAS SS SAAAAAS AAAAAS S পরাণ নীরবে কথাগুলা শুনিল, একটাও উত্তর হকাটি লইয়া নিজেই তামাক দিল না। : “বাবা পরাণ, এ বুড়োর কথা গুলো শোন । এ ঝগড়া মিটিয়ে ফেলু। একবার এখুনি সদরে যা, রমেশের সাজাট। যাতে না হয় ভাই কত্ব। এত শীগগির বোধ হয় সাজ৷ দেবে না। কালই তুই মোকদ্দম। মিটিয়ে ফেলিস । কেন এ মিছে ঝগড়াঝাটি ? যা, বাড়ীর ছেলেমেয়েদের ব’লে দে কেউ যেন পাড়াপড়শীর সঙ্গে দুৰ্ব্ব্যবহার না করে ।” পরাণ একট। দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিল । তখন তাহার মনে হইতেছিল পিতার কথtগুলি অক্ষরে অক্ষরে সত্য— দুৰ্ব্ব্যবহার সর্বপ্রথম সেই ত করিয়াছে ! কিন্তু সে বুঝিতে পারিল ন৷ এ ঝগড়াটা মিটাইয়। ফেলিবে কি করিয়া ? বৃদ্ধ পুত্রকে নীরব দেখিয় বগিল,—“যাও বাবা, কথাটা শোন। আ গুন জলবার আগে নিভিয়ে ফেল, দেরি হলে আর সময় পালে না ।” বৃদ্ধ আরও কি বগিতে যাইতেছিল এমন সময়ে বাড়ীর মেয়েরা নদী হইতে জল লইয়। কলরব করিতে করিতে ফিরিয়া আসিল । রমেশের সাজার কথা ও তাহার ঘরে আগুন লাগাইবার কথাটা ইতিমধ্যেই তাহাদিগের কর্ণগোচর হইয়াছিল । তাহার। আরও একটা নূতন সংবাদ দিল—রমেশ বেত খাইয়। ফিরিয়া আসিয়াছে। পবাদ সব কথা শুনিল । পিতার কথা শুনিয়। তাহার হৃদয়ে যে শান্তি আসিয়াছিল এখন এই নূতন সংবাদে তাহার হৃদয় হইতে সে শাস্তির আলোকটুকু নিভিয়া গেল, রহিল শুধু তাহার জালা ও কালি । কাজ করিলে সংসারে কাজের অভাব হয় না । পরাণ স্ত্রীলোকদিগের সহিত কোন কথার আলোচনা ন৷ করিয়া বাহিরের কয়েকটা খুচর কার্য্যে আপনাকে নিযুক্ত করিয়া রাখিল । এই সময়ে তাহার পুত্ৰগণ মাঠ হইতে কাজ করিয়| ফিরিয়া আসিল । পুরাণ তাহাদের নিকট হইতে গরুগুলাকে লইয়া গোয়ালে বধিয়া দিল । তাহার পর স্বহস্তে সে তাহাদিশের জাব মাথিয় ডাবায় দিল। কাজটা শেষ হইলে তাহার মনে পড়িল অনেকক্ষণ তামাক খাওয়া হয় নাই । সে আপনার খেলে। প্রবাসী-- অগ্রহায়ণ, ১৩২১ JS JSJeM SeASJAS AJ SAAAAASAAAA [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SJSJSAeS AAAAA SAAAAAS AAAA S AAAAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAMSAAAAAA AAAA S S সাজিতে বসিল । কলিকায় ঠিকরা দিয়া তামাক লইতে গিয়া দেখিল তামাক নাই ! ঠিক এই সময়ে সে বাহিরে রমেশের গলা শুনিতে পাইল । রমেশ বলিতেছে—“এতে আমীয় ত ভারি-ই জব্দ করলে । কিন্তু এর প্রতিশোধ চাই !—মীমায় অপমান করা–দশের মাঝে বেত খাওয়ান, বটে । খুন করব হারামজাদাকে, রক্ত না দেখে ছাড়ছি না ;–না পারি ত আমি ঘোষের পো নই। দেখে নেব ওরই একদিন কি আমারই একদিন " পরাণ কতকটা শাস্ত হইয়াছিল কিন্তু রমেশের কথা গুলা শুনিয়া সে আবার হাড়ে হাড়ে জলিয়া উঠিল । তামক সাজ ভুলিয়া গিয়া সে স্থির হইয়: রমেশের কথাগুল শুনিতে লাগিল । তাহার কথা শেষ হইলে পরাণ হ’কার মাথায় শূন্ত কলিকাটি বসাইয়া দাওয়ায় গিয়া বসিল । পরাণের পুত্রবধু দাওয়ায় বসিয়া রাবিতেছিল। তাহার রন্ধন প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছিল। অদূরে দেবরের পাত করিয়া বসিয়াছিল ; শাশুড়ি তাহাদিগকে অন্নব্যঞ্জন পরিবেষণ করিতেছিলেন ; এমন সযয় পরাণ আসিয়া সেখানে উপস্থিত হইল । রুক্ষ্ম স্বরে বলিল,— “দরকারের সময় একটু তামাক ও পাওয়া যায় না, ভাল জালাতেই পড়া গেল দেখচি । সময় মত বল্লেই হয়, তা নয়। ওরে নরেশ, খেয়ে উঠে ও-পাড়ার মথুরের দোকান থেকে আধুসের কড়া তামাক আনিস ত ।” এই বলিয়। পরাণ আবার শূন্য পাত্রটার কাছে ফিরিয়া আসিল এবং অবশিষ্ট যেটুকু ছিল, টাচিয়া ঝাড়িয় তাহাই সাজিয়া থাইতে বসিল । নরেশের ভাত খাওয়া হইলে সে মায়ের কাছ হইতে পয়সা লইয়৷ দা-কাটা কড়া তামাক অধিসের আনিতে গেল। পরাণও তাহার সঙ্গে সঙ্গে বাহির অবধি আসিল এবং দ্বারটা বাহির হইতে ভেজাইয়া দিয়া সে অন্ধকারে চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। নানা কথা তখন তাহার মনে হইতেছিল ; সে ভাবিতেছিল,—“চারিদিক ত খটুথটে শুকূনে, কোথাও ছিটে ফোটা জল নেই, গরমও বেশ ফুটেছে। সে যদি চোরের মত এসে একটা দেশলাই জেলে চালের পাতায় ফেলে দেয় তা হলেই ত সব জলে