পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পথ দেখাইয়া দিবে, তাহার অভাব ; ও যাহারা সেই পথে চলিয়া কাজ করিবে, তাহার অভাব । এত উৎকট আগ্রহের উপরও যদি পথ দেখাইবার ও কাজ করিবার লোক ন পাওয়া যায়, তাহা হইলে কপাল মন্দ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না । যেরূপ হইয়া উঠিয়াছে, তাহাতে যদি শিক্ষিত লোক সকলে নিত্য এক ঘণ্ট। কাল ইতিহাস আলোচনা করেণ, অনেক to নূতন নূতন পথ বাহির হইবে । নানা উপায়ে আমরা আমাদিগকে, আমাদের সমাজক্লে, আমাদের ধর্মকে, আমাদের দেশকে, আযাদের সাহিত্যকে এবং পূর্ববৃত্তান্ত কি, তাহা বুঝিতে পারিব । যতদিন তাহা না বুঝিতে পারি ততদিন আমাদের উন্নতির পথই দেখিতে পাইৰ না। আপনাকে জানিতে হইলে দেশের পুথি পেঁজার দরকার । তtহাতে পরিশ্রমকে পরিশ্রম মনে করিলে চলিবে नों, অর্থকে অর্থ মনে করিলে চলিবে না। কায় মন চিত্ত লাগাইয়া পুথি খুজিতে হইবে ও পুথি পড়িতে হইবে । ( সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিক ) বিলাতের জনসাধারণ সম্প্রতি পালর্ণমেণ্টের এক সমিতি হইতে ইংল্যণ্ড ও স্বটলণ্ডের তুমিবিষয়ক অনুসন্ধানের ফলসমূহ প্রকাশিত হইয়াছে । গ্রন্থ দুই থণ্ডে বিভক্ত—১৫•• পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। মাঝে মাঝে অনুসন্ধানকারীরা মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। সেগুলি পাঠ করিলে বিলাতের কৃষিজীবী ও শ্রমজীবীদিগের চরিত্র ও বুদ্ধিয় পরিচয় পাওয়া যায় । বিদেশীয়েরা প্রায়ই বলিয়া থাকেন, “ভারতীয় জনসাধারণ নিতান্তই মুখ, নিরক্ষর এবং শিক্ষালাভে উদাসীন ও অনিচ্ছুক । নুতন নুতন কৃষি-প্রণালী, শিল্প-প্ৰণালী, ও ব্যবসায়প্রণালী ইহার অবলম্বন করিতে চাহে না । মামুলি পথ পরিত্যাগ করা ইহাদের স্বভাব-বিরুদ্ধ ” এই-সকল কথা তোতা পাখীর মত মুখস্থ করিয়া ভাবি যে বোধ হয় পাশ্চাত্য সমাজে জনগণ সৰ্ব্বদা নব নব আবিষ্কার কাজে লাগাইবার জন্য ব্যথ । কিন্তু পালামেণ্ট কর্তৃক প্রকাশিত Report of the 1.and Inquiry Committee (vol. I Rural, Vol. 11. Urban) পাঠ করিলে এ ভুল বিশ্বাস থাকিবে না । অমুসন্ধানকারীরা দুঃখ করিয়াছেন—“ইংল্যণ্ডের নিম্নশ্রেণীর লোকের শিক্ষার মর্যাদ। এখনও বুঝে নাই । ইহাদিগকে নুতন পুতন বৈজ্ঞানিক যন্ত্র ব্যবহার করাণ বড় সহজ ব্যাপার নয়। .কৃষিকৰ্ম্মে কো-অপারেটিভ নীতির অবলম্বন ইংল্যণ্ডে শীঘ্র সফল হইবে লt । পুরাতন প্রথার প্রতি ইংরাজ নরনারীগণ এত আসক্ত যে নূতন পথে প্রবর্তিত করাইবার জন্য গবমেন্টের যৎপরোণাস্তি অর্থব্যয় ও কষ্ট স্বীকার করিতে হইবে ।’’ এই বৃত্তান্ত পাঠ করিলে স্থিতিশীল অবৈজ্ঞানিক ( ) ভারতবালীতে এবং গতিশীল বিজ্ঞানবিলম্বী পাশ্চাত্য নরনারীতে বিশেষ প্রভেদ বুঝা যায় কি ? বস্তুত:, চোখ কান খুলিয়া বিশ্বশক্তির পরিচয় লইলে বুঝিব যে, উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ হইতে ভারতবাসী যাহা কিছু শিখিবার সুযোগ পাইয়াছে প্রায় সকলই একদেশদশী, একচোখে, অসম্পূর্ণ, সুতরাং মিথ্যা। বিশেষতঃ প্রাচা এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভুেদ সম্বন্ধে ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের নিকট যে জ্ঞান জন্মিয়াছে তাহ নিতান্তই অবজ্ঞেয়। বিংশশ৩াব্দীতে আষাদিগকে নূতন করিয়া স্বদেশ ও বিদেশের প্রাচীন এবং বর্ধমান তথ্য বুঝিতে * ॐ८५ ।। ( ধৃহস্থ, কাৰ্ষিক ) ঐ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী । শ্ৰীমদ্ভগবদগীত ● >QW) শ্ৰীমদৃভগবদগীত ( সমালোচন! ) শ্ৰীদেবেন্দ্রবিজয় বসু প্রণীত পদ্যানুবাদ ও ব্যাখ্যা সমেত । প্রকাশক ঐশৈলেন্দ্রকুমার বg, দীনধাম,* ৩•13, মদন মিত্রের লেন, কলিকাতা । মূল্য প্রতি খণ্ড ১॥০ টাকা, ভাল বঁtধ ২২ টাকা । আমরা এই পুস্তকের প্রথম দুই খণ্ড অনেকদিন হইল প্লাইয়াছি। সমালোচনা করিতে বিলম্ব হইল, তজ্জগু দুঃখিত আছি । তৃতীয় খণ্ড সম্প্রতি প্রকাশিত হইয়াছে। তৃতীয় ধণ্ডে নবম অধ্যায় পৰ্য্যন্ত আছে । ইহ। আট খণ্ডে সমাপ্ত হইলে । ব্যাখ্যা সম্বন্ধে গ্রন্থকার লিখিয়াছেন ;–“এই ব্যাখ্যার নাম SBBBS BBDES DSDS DDDD S BB SgggBBB BB BBB BBB নামের প্রয়োজন। প্রতি শ্লোকের অনুবাদ অবলম্বন করিয়া এই ব্যাখ্যা লিখিত হইয়াছে। এই অনুবাদ সম্বন্ধে অধিক কিছু বলিবার প্রয়োজন নাই। মূল শ্লোকের বা ক্যার্থ বুঝিবার জন্ত এ অনুবাদ অক্ষরানুবাদ মাত্র । ছন্দ অধিক সদয়গ্রাহী এবং আবুত্তির পক্ষে বিশেষ উপযোগী, এ কারণ মূলের গুtয় এ অনুবাদও ছন্দে গ্রথিত । এ ছন্দ প্রধাণ ৩: অমিত্রাক্ষর ছন্দ, মিত্রাক্ষর ছন্দে অক্ষরামুবাদ সৰ্ব্বথা সুসাধ্য নহে । "এই ব্যাখ্য। বিস্তুত । ইহাতে কোন প্রাচীন ভাষ্য বা টীকা কিংবা তাহার অনুবাদ না থাকিলেও—শঙ্কর ভাষা, রামানুজ ভাষ্য, শ্ৰীধরস্কামিকৃত টকা, আনন্দগিরির ভাষ্যটক, মধুসূদনের ব্যাখ্য', বলদেবের ব্যাখ্যা প্রভৃতির সার সার অংশ প্রয়োজন-ষত গৃহী ৩ হইয়াছে । প্রতোক প্রয়োজনীয় পূদের বৈভিন্ন ব্যাখ্যাকারগণের অর্থ, এবং বিভিন্ন শ্লোকের এই-সকল ব্যাখ্যাকারগণের ভtধার্থ, এ ব্যাখ্যায় ' সন্নিবেশিত হইয়াছে ; এবং এই সকল বিভিন্ন তুর্থ সমালোচনা করিয়া যে অর্থ যে স্থানে সঙ্গত বোধ হইয়াছে, তাহ ধুই ত হইয়াছে । শঙ্করাচার্য। প্রভূতি ব্যাখ্যাকারগণের ভাষ্য ও টীকা ন গড়িয়াও যাহাতে এই বাtখ্যা হইতেই ঠ1হাদের ব্যাখাtয় সমুদায় প্রয়োজনীয় অংশ জানিতে পার! ধায়, তাহার জন্য চেষ্টা করা হইয়াছে । “সৰ্ব্বোপনিষদ্ব-সার গীতার উল্লিখিত মূলতত্ত্ব-সকল বুঝিতে হইলে সেই-সকল তত্ত্ব উপনিষদে কিরূপ উপদিষ্ট হইয়াছে, তাহ। জানিতে হয় । এই ব্যtথায় সৰ্ব্বত্র প্রয়োজন মত উপনিষদূ-মন্ত্র উদ্ধত করিয়া গীতোক্ত ও ধু সকল বুঝিতে চেষ্টা করা হইয়াছে। গীততে বেদন্তি-ও-সংখ্যদর্শণ-প্রতিপাদি ৩ মূলতত্ত্ব উপদিষ্ট হইয়াছে, এবং বিভিন্ন দর্শনের আপাত-বিরোধী মতের সামঞ্জস ও সিদ্ধান্ত হইয়াছে । ইহা ব্যতীত দর্শনশাস্ত্রের অনেক দুৰ্ব্বেtধ্য তত্ত্ব গীতায় উক্ত হইয়াছে। গীতায় এই সকল তথ্য অনেক স্থলে সূত্ররূপে, BBB BB DSBB DS DgBBBKSDD KSYS BB SBBB উল্লিখিত হইয়াছে। তাই। বুঝিতে হইলে সেই-সকল দর্শনোক্ত মত, বিশেষত: বেদান্ত ও সাংখাদর্শনে প্রতিপাদিত ৩৫-সকল ভাল করিয়া বুঝিতে হয় । এই ব্যাখ্যায় এজন্য উষ্ণ বেদাস্ত ও সাংখ্যদর্শনের মূলতত্ত্ব-সকল বিশেষ ভাবে বিধৃত হইয়াছে। এবং গীতায় বিভিন্ন বিরোধী দার্শনিক ম ৩ কিরূপে সামঞ্জস্য করা হইয়াছে তাহাও নির্দিষ্ট হইয়াছে। গীতেfক্ত দুৰ্ব্বোধ্য দার্শনিক তত্ত্ব-সকল যাহতে একরূপ বুঝিতে পারা যায়, তাহার জন্য বিশেষ চেষ্টা করা হইয়াছে এবং এ কারণ অনেক স্থলে সে সম্বন্ধে পাশ্চাত্য দর্শনের সিদ্ধান্তও উদ্ধত হইয়াছে। গতৈক্তি দার্শনিক তত্ত্বের সম্যক্ আলোচনা এ ব্যাখ্যার এক বিশেষত্ব ।” পুস্তক সমাপ্ত ন হইলে পুস্তকের সম্যক আলোচনা সম্ভবপর নহে।