পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○bア ঢালিয়া দিলেন এবং জলাশয় হইতে জল লইয়। ভিক্ষণপাত্র পুর্ণ করিয়া পথিকের হস্তে প্রদান করিলেন। পথিক তাহা এক নিশ্বাসে পান, করিয়া ফেলিল। পান করিয়া সে কহিল, “প্ৰভু অমৃতরস বড়ই মধুর।” সন্ন্যাসী কহিল “এইবার তুমি ক্ষুধা, তৃষ্ণা, শ্রান্তি, উত্তাপ সমস্তই বিশ্বত হইয়া যাইবে।” পখিক কিঞ্চিৎ উত্তেজিত হইয়। কহিল, “সত্য প্রভু, মনে হইতেছে যেন কুঞ্জবন হইতে বিবু বিবৃ করিয়া মলয়-মারুত বহিয়া আসিতেছে, আর দেখুন— কেমন চাদনী রাত্রি, আমার একটু একটু শীত করিতেছে।” পথিক এই বলিয়া খর্জুর বৃক্ষে ভর দিয়া উপবেশন করিল, এবং ঈষৎ হাসিয়া সন্ন্যাসীকে কহিল, “সখি, তুমি কে ভাই ?” সন্ন্যাসী অগ্রসর হইয়া পথিককে জিজ্ঞাস করিলেন, “কিহে, নগরে যাইবে না ?” পথিক অৰ্দ্ধনিমীলিতনেত্ৰে চাহিয়া কহিল, “কে তুমি, এমন সময়ে রসভঙ্গ করিতে আসিয়fছ ? এখন সরিয়া পড়,—বড় শীত, গ্রীষ্মকালে যাইব ।’ পথিক এই বলিয়া ভীষণ মরুভূমির উত্তপ্ত বালুকক্ষেত্রে শয়ন করিল, এক মুহূৰ্ত্ত পরে তাহার নাসিক্যধ্বনি শুনা যাইতে লাগিল। সন্ন্যাসী যখন দেখিলেন যে সে সম্পূর্ণরূপে অচৈতন্ত হইয়া পড়িয়ছে, তখন ধীরে ধীরে উষ্ট্রের পৃষ্ঠে তাহার যে দ্রব্যসস্তার ছিল তাহ ভূমিতে নামাইতে আরম্ভ করিলেন। ক্লোন দ্রব্য অপহরণ না করিয়া সমস্ত পরীক্ষা করিয়া দেখিতে লাগিলেন। সমস্ত পরীক্ষা শেষ হইলে উষ্ট্রদ্বয়ের পৃষ্ঠের আসন পর্য্যন্ত পরীক্ষিত হইল । অবশেষে সন্ন্যাসী পথিকের পরিপেয় বস্ত্রগুলি পরীক্ষা করিতে আরস্ত করিলেন। বস্ত্র, কটিবন্ধ, উষ্ণীয, অঙ্গরক্ষ, শিরস্ত্রাণ সমস্তই পরীক্ষিত হইল। সন্ন্যাসী হতাশ্বাস হুইয়। পথিকের পদদ্বয় হইতে ছিন্ন পাদুকাদ্বয় লইয়। তীক্ষুধার ছুরিকাদ্বারা তাহ পরীক্ষা করিতে আরম্ভ করিলেন। পাদুকাদ্বয়ের তলদেশে দুই খণ্ড মন্থণ চৰ্ম্ম মিলিল । সন্ন্যাসী চৰ্ম্মের লেখন পাঠ করিয়া তাহা পুনরায় পাদুকামধ্যে সন্নিবেশ করিলেন, পথিক তখন পানীয়ে মিশ্রিত মাদকের গুণে গভীর নিদ্রীয় নিমগ্ন । সন্ন্যাসী খর্জুর-কুঞ্জের বহির্দেশে আসিয়া বংশী ধ্ব ন প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, vరిసి)

  • 。ダ* ダ* ダ* ダ、ダ「い- ダー、ダへ_ダい。ダー、 ダゞ ・ 、ベ・タ* ダ* ジ *SJSJi AAAAS AAAA S S SSSJ SSS JSSS SSS SSS S

[ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ‘করিলেন, দুরস্থিত পৰ্ব্বতসদৃশ বালুকাপিণ্ডের অন্তরাল হইতে একজন অশ্বারোহী আর একটি অশ্ব লইয়া তাহার নিকটে আসিল । সন্ন্যাসী তাহাকে কহিলেন, “মন্দ, তোমার কথাই সত্য, এই ব্যক্তি ইন্দ্রীয়ুধের দুত, ইহার পাদুকাতলে ইন্দ্রায়ুধের পত্র লুক্কায়িত ছিল। সে অমৃতরসভ্রমে ধুতুরার কালকূটপানে গভীর নিদ্রায় অচৈতন্ত হইয়াছে।” অশ্বারোহী কহিল, “উত্তম । নগরে ফিরিয়া যাই ।” উভয়ে অশ্বখুরোথিত ধূলিমধ্যে অদৃষ্ঠ হইলেন । প্রভু, চলুন আমরা নবম পরিচ্ছেদ । গুর্জর-রাজসতা । হেমন্ত প্রভাতের মৃদুস্থৰ্য্যাকরণ যখন বিন্ধ্যের উচ্চ চুড়াগুলি সুবর্ণ বর্ণেরঞ্জিত করিল, তখন নগরের তোরণে তোরণে মঙ্গলবাদ্যধ্বনিতে গুর্জরপতির নিদ্রাভঙ্গ হইল । তরুণ অরুণকিরণ যখন পৰ্ব্বতের পাদমূলস্থিত তিল্পমাল নগরীর উচ্চ প্রাসাদশিখরগুলি স্পর্শ করিল, তখন গুর্জররাজ নাগভট্ট সভামণ্ডপে প্রবেশ করিলেন । বিচিত্র বসন ও বিবিধ বর্ণরঞ্জিত উষ্ণীয় পরিধান করিয়া গুর্জরপ্রধানগণ সভামণ্ডপে উপবিষ্ট ছিলেন, মণ্ডপের বহির্দেশে তাহদিগের অস্ত্রধারী অকুচরগণ কোলাহল করিতেছিল। তাহাদিগের পশ্চাতে ভিল্লমালের নাগরিক ও গুজ্জারদেশের কুযকগণ রাজ-দর্শনের জন্য অপেক্ষা করিতেছিল। রাজা আসিলে প্রধানগণ আসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়। দাড়াইলেন, র্তাহাদিগের অমুচরবর্গের কোলাহল কথঞ্চিৎ প্রশমিত হইল, কিন্তু প্রকৃতিপুঞ্জ রাজদর্শন পাইল না। প্রধানগণ পুনৰ্ব্বার আসন গ্রহণ করিলে গুর্জররাজ্যের মহাসান্ধিবিগ্রহিক কক্কুরু রাজসমীপে নিবেদন করিলেন যে মহোদয় কান্যকু জপতি ইন্দ্রায়ুধ রাজসমীপে দুত প্রেরণ করিয়াছেন। অপ্রসন্নবদনে নাগভট্ট কান্যকুজরাজের দুতকে সভায় অনিয়ন করিতে আদেশ করিলেন। গুর্জরের মহাপ্রতীহার বাউক মণ্ডপের ,তোরণ হইতে পাঠকবর্গের পুৰ্ব্বপরিচিত পথিককে সভামধ্যে আনয়ন করিলেন। কান্যকুজরাজের দূতের নয়নদ্বয়