পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>やo “কিছু বুঝিতে পারিলাম না ।” “আপনি বিশ্রাম করুন, কল্য প্রাতে কান্যকুজপতির পত্রোন্তর দিব । ইতিমধ্যে চোরের সন্ধান করিতেছি।” কান্য জদুত অভিবাদন করিয়। বিদায় লইলেন। লাগভট্ট তখন বাহুক ধবলকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বাহুক, নগরপ্রান্তে” কে রাজদূতকে মাদকমিশ্রিত পানীয় দিয় তাহাকে চেতনাশূন্ত করিল, অথচ কোন দ্রব্য অপহরণ কfরল না ?” প্রবীণ অমাত অবনতমস্তকে কহিলেন, “মহারাজাধিরাজ, আমি ত কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না।” তখন সভামণ্ডপের অপরপ্রান্তে বৃদ্ধ পুরোহিত প্ৰহলাদ শৰ্ম্ম কুশাসন ত্যাগ করিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন ও রোষকম্পিত কণ্ঠে কহিলেন, “মহারাজ, বশিষ্ঠগোত্র চিরকাল গুর্জর প্রতীহারবংশের শুভাকাঙ্ক্ষী, সুতরাং বুদ্ধ ব্রাহ্মণের বাচ'লত মার্জন করবেনু । চাল,ক্যবংশীয় অমাত্যরাজ বাহুক ধবল বুঝিতে পারেন না বিস্তৃত গুর্জররাজ্যে এমন কি সমস্য। অাছে ? শুম, বাহুক ধবল, লজার অনুরোধে রাজসমীপে মিথ্যা কহিও না, আর্য্যাবৰ্ত্তে ও দাক্ষিণাত্যে দেবতা ও ব্রাহ্মণের শত্রু কে আছে তাহ! কি তুমি জান না ? ভণ্ডার বংশ ও অগ্নিকুল কাহীদের একমাত্র আশ্রয়স্থান ? হর্ষের মৃত্যুর পরে কাহার। দ্যুতস্করের ন্যায় অন্ধকারে পথে পথে ঘুরিয়া বেড়ায় ? তাহারাই কান্যকুঞ্জরাজদূতকে যাদুকর প্রভাবে অচেতন করিয়৷ লিপিপাঠ করিয়াছে।” বৃদ্ধ পুরোহিতের কথা শুনিয়া সভাস্থ সকলে নীরবে উপবিষ্ট রহিলেন, কেবল বৃদ্ধ অমাত্য বাছকধবল সিংহসনের সম্মুখে পাষাণমূৰ্ত্তির ন্যায় নিশ্চল হইয়া দাড়া হয়। রহিলেন । ক্রোধে নাগভট্টের মুখমণ্ডল রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, তিনি কম্প তপদে সিংহাসন ত্যাগ করিয়া দাড়াইলেন। প্ৰহলাদ শৰ্ম্ম পুনরায় কহিলেন, “মহারাজ, পিতৃবন্ধুর উপদেশ গ্রহণ করুন, বৌদ্ধই রাজ্যের প্রকৃত শক্র, বৌদ্ধ বিনাশ করিয়া দেবতা ও ব্রাহ্মণের মৰ্য্যাদা রক্ষা করুন, নৃগ নছয যযাতি ও অম্বীষের ষ্ঠায় ত্রিভুবনবাসী আচন্দ্রার্কক্ষিতি-সমকাল আপনার যশোরাশি কীৰ্ত্তন করিবে ।” প্রবণসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ পরায়ুখ হয় না। [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSASAS SS SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAA S S S SSAASA SAAAAA AAAA SJeSJAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA YeSAAAA AAAA AAASS • তখন নাগভট্ট বলিয়া উঠিলেন, “ব্রাহ্মণ, তোমার কথাই সত্য, বৌদ্ধগণই আৰ্য্যাবর্তের প্রকৃত শক্র, বৌদ্ধবিনাশ ন৷ করিলে পতন অবশুস্তাবী । আমি বৎসরাজের পুত্ৰ, তাহারা আমাকেও এমন ভাবে অপমান করিতে এ অপমান অসহ । বাউক—” “মহাপুণ জাধিরাজ ।” “বিহারস্বামী নাগসেন কোথায় ?” “এই নগরেই আছে।” “এই দণ্ডে তাহাকে বন্দী করিয়৷ আইস ।” মহা প্রতীহার বাউক অভিবাদন করিয়া মণ্ডপ হইতে নিষ্ক্রাস্ত হইলেন। তখন প্রবীণ অমাত্যের বাক্যক্ষুৰ্ত্তি হইল, তিনি গুর্জরপতির হস্ত ধারণ করিয়া কহিলেন, “তা ত, স্মরণ করিও, আমিও তোমার পিতৃবন্ধু, স্মরণ রাখিও যে আমার পূর্বপুরুষগণ বহুকাল ধরিয়া চাল,ক্যবংশের সেবা করিয়া আলিতেছেন । তাত, আমি বৌদ্ধ, তাহা তুমিও জান, সকলেই জানে, কিন্তু জগতে এমন কেহ নাই যে বলিতে পারে বাহুকধবল প্রতীহার বংশের অমঙ্গল কামনা করে। পুত্র, বৌদ্ধাচার্য্য নাগসেন অথবা কোন শ্রমণ বা ভিক্ষু যদি কান্যকুজরাজদূতকে মাদকমিশ্রিত পানীয় দিয়া অন্যায় উপায়ে রাজলিপি পাঠ করিয়া থাকে, তাহা হইলে সে অবশ্য দণ্ডনীয়। তুমি রাজা, প্রকৃতিপুঞ্জের জীবণমরণের অধীশ্বর, তোমার অঙ্গুলি হেলনে আর্য্যাবৰ্ত্ত ৰৌদ্ধশোণিতে প্লাবিত হইয়। যাইবে, একজন অপরাধীর সহিত শত শত নিরপরাধ ব্যক্তির ছিন্নমুণ্ড তোমাকে অভিসম্পাত করিবে । তুমি বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান , ধৈর্য্য অবলম্বন কর, ক্রোধের বশীভূত হইয়া অন্যায় আচরণ করিও না। যথারীতি বিচার করিয়া অপরাধীর দণ্ডবিধান করিও বৃদ্ধ চালুক্যের ইহাই একমাত্র অকুরোধ ।” “বাহুক, আমি ক্রুদ্ধ হইয়াছিলাম সত্য, কিন্তু তোমাকে স্পর্শ করিয়া শপথ করিতেছি যে বিচার ন৷ করিয়া কাহারও প্রাণদণ্ডের আদেশ দিব না। মহাধৰ্ম্মাধিকৃত ও মহাদণ্ডনায়ক নাগসেনেয় বিচার করিবেন।” গুর্জররাজের উক্তি শুনিয়া মহাপুরোহিত প্রহ্লাদ সতীয় লইয়।