পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У a o দেখি সবাই স্বী-স্বাধীনতার পক্ষপাতী, কিন্তু এই কবিটির মত ভারি অদ্ভুত ধরণের ; উনি বলেন বাইরে বেরুবে শুধু সুন্দ বা তস্বীর ; মেটি, কালো, কুৎসিত অবরোধে বন্ধ থাকা উচিত। মিণ্টনের কোমাসে: যারা তাদের এ কথা শুনে আমার যুক্তি মনে পড়ল Nature's brag, পঙ্কতির গর্কেবল্প ধন সৌন্দর্য্য, যাদের তা আছে তারা লুকিয়ে থাকৃবে না ; ঘোমটায় মূপ ঢাকবে ষার কুৎসিত । কিন্তু যিনি একথা বলেন, তিনি যে খুব সুপুরুষ তা ত মনে হয় না । মানলাম না হয় উনি কবি, সৌন্দর্য্যের উপাসক । কিন্তু সৌন্দর্য্য কি শুধু চোখেই ধরবার জিনিষ ? রমণী fক শুধু ফুলের মতই রমণীয় না হলে সুন্দর বলে স্বীকৃত হবে না ? ইংরেজীতে একটা কথা আছে– স্বাস্থ্যই সৌন্দর্য্য । রূপসী না হলেও ত সুন্দরী হতে বাধে না । যাদের রং বা চেহারা দৈবগতিকে নয়নঃপ্লন হয়নি তাদের কি পৃথিবীটা দেখে জানবার শিধবার আনন্দ পাবার দরকার নেই ? জগতের সংস্পর্শে সংঘর্যে না এলে তার মানুষ হবে কেমন করে’— দেহ ও মনের श्न ! श्रृं1 বল সঞ্চয় করবে কোথা থেকে ? আমার মনের প্রশ্নটাই যেন কেড়ে নিয়ে তার এক বন্ধু বল্পে – “তবে তোমার আমারও বাইরে বেরুনো উচিত নয় ; তুমি ষেমন মেয়েদের বলছ, মেয়েরাও ত তেমনি বলতে পারে— হোদলকুৎকুতে রকমের পুরুষদের মুখদর্শন আমরা করব না।" কবি যুক্তি—“তা কেন ? আমরা চিরকাল বাইরে আাছি, বাইরেই থাকব, বিশেষত আমাদের যখন জীবিকা অজ্জন করতে হয়।” আহা কি আহলাদে যুক্তি ! যদি রোজ গারের কথাই বলেন, তা হলে আমাদের দেশের কত মধ্যবিত্ত ও গরীব ঘরের মেয়ে উপবাসে থাকে, ৩াদের কি বঁচবার জন্তে বাইরে বেরুতে হবে না ? তার বাইরে পেরুতে পারে না, সকল মেয়েই বাইরে বেরোয় না বলে’, বৰ্ব্বর পুরুধগুলোর চোখে নারা জাতির স্বাধীনতা সয়ে যায়নি বলে’ ! পুরুষদের ভাল লাগে না বলে তার। খাচায় বন্ধ থেকে অনাহারে মরে, তবু বেরোয় না । তারপর অসহ্য হলে তারা যখন বেরোয় একেবারেই বেরোয় ! পথে বাড়ীর মেয়েরা বেড়ালে আমাদের দেশের Beauty is প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড پر ، یہ ہِ مہ ... ?ر তা ওব বন্ধুত্ব শত ধুক্তি তর্কে ও টলাতে পারে না । এরা . পুরুষপুঙ্গবদের মাথ। হেঁট হয় ! কিন্তু তারা যখন অত্যাচারে অতিষ্ঠ করে” অবলাকে পথে বসান, তখন মাথাট। খুব উচু করেই চলতে পারেন বোধ হয়! বেহায়াদের এই সব কথা অগ্রপশ্চাৎ না ভেবে বলতে একটু লজ্জাও করে ল ৷ এই নিয়ে ওদের প্রায়ই খুব তর্ক বেধে যায়। আমার বন্ধুটি—থম্বু বলছি শুধু নাম জানিনে বলে', এট। লোকটাকে বোঝাবার জন্যে একটা সংজ্ঞা বা চিহ্ন মাত্র, অন্য কিছু ভেবো না যেন । বন্ধুটি একেবারে জ্বলে ক্ষেপে উঠে খুব জোর দিয়ে বলে—“মেয়ের যদি বাইরে না বেরোয় ত মরুভূমিতে আর কতকাল চর। মাবে ?" সে যে আমাকে শুনিয়েই কথাটা বলে তা আমি খুব বুঝি। আমি যেন কাছে স্ত্রী-স্বাধীনতার অগ্রদূত । বন্ধুর কথা শুনে তার বন্ধু একটি তরুণ সুকুমার যুবক এক দিন বলে উঠল—“আমাদের লোককে বলবার কোনো অধিকার নেই । আমরা নিজেরা স্ত্রী-স্বাধীনতার জন্যে কিছু কি করছি ?” আমার বন্ধু অমনি বলে উঠল—“আরে এখন করব কি ? আগে স্ত্রী হোক তারপর ত স্বাধীনতা দেবো । বিয়ে হোক আগে, তখন দেখবে আমাদের দৃষ্টাস্তে ২৫ বছরের মধ্যে পথঘাট সুন্দরীতে ছেয়ে যাবে !" বোঝা গেল বন্ধুর বিয়ে হয়নি। সুন্দর যুবাটি বলে উঠল—“আরে পচিশ বছর পরে যথন চোখে ছানি পড়ে যাবে তখন সুন্দরীতে পথ ছাইলেই বা আমাদের কি !” তখন ব্যাপারটাকে চটপট আগিয়ে আনবার পরামর্শ চলতে লাগল । সেই সুন্দর যুবাটি বল্লে—“এস, এক কাজ করা যাক । রবিবাবুর ‘আমরা ও তোমরা গানটা গেয়ে নগরসঙ্কীৰ্ত্তনে বেরিয়ে পড়া যাকৃ! সুন্দরীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে করণ আৰ্ত্তনাদ করে’ বলা যাকু— “তোমরা কোথায় আমরা কোথায় অাছি, কোনো সুলগনে হব না কি কাছাকাছি !' মেয়েদের একবার বিদ্রোহী করে’ তুলতে পারলে একদিনে সব অবরোধ ভেঙে চুরমার করে দেওয়া যাবে!” বন্ধু বলে –“বিদ্রোহ করবে মেয়েরা ? পুরুষদেরই বড় স্বাধীনতার আকাজক্ষ আছে, তা আবার মেয়েদের ?” তার