পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কাইয়ে নগরের মুসলমানপাড়। কলিকাতায় বা বোম্বাই নগরে এত গুলি বড় বড় প্রাসাদতুল্য পাশ্চাত্য হোটেল, আফিস, দোকান ইত্যাদি নাই । সহরের অধিকাংশই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। বড় বড় ফুটপাথ । এরূপ প্রশস্ত খট্‌খটে রাস্ত কলিকাতায় চৌরঙ্গী রোড ভিন্ন আর একটি ও নাই । বোম্বাই নগরে ও একাধিক দেখি নাই । * এই সঙ্গে প্রাচীন হিন্দু বাস্তু-শাস্ত্রের নিয়মে গঠিত জয়পুর-নগরের নিৰ্ম্মাণকৌশল উল্লেখ করা যাইতে পারে। সৌন্দর্য্য, সামঞ্জস্য, বাহাশোভা, ইত্যাদি বিষয়ে হিন্দুজাতির কিরূপ দৃষ্টি ছিল, জয়পুরে তাত বুঝা যায়। জয়পুর দেখিয়া ভারতীয় সৌন্দর্য্য-বিজ্ঞান অকুমান করা যায় । তাহার মধ্যে গৃহ-রচনা-কৌশলের এবং নগর-নিৰ্ম্মাণরীতির ঐক্য সবিশেষ দৃষ্টিগোচর হয় । বোম্বাই কলিকাতা ইত্যাদির তুলনায় জয়পুর অত্যুচ্চ কলাজ্ঞানের পরিচায়ক । লক্ষ্মেীনগর-নিৰ্ম্মাণেও ভারতীয় মুসলমান কায়দার একাধিপত্য দেখিয় পুলকিত হওয়া যায়। পাশ্চাত্য প্রভাবযুক্ত মিশরীয় মুসলমানী কায়দায় নিৰ্ম্মিত কাইরো নগর লক্ষেী নগর হইতে স্বতন্ত্র নিয়মে স্থাপিত । কিন্তু প্রত্যেকের মধ্যে একটা নিজ ব সামঞ্জস্য ও শৃঙ্খলার জ্ঞান পরিস্ফুট । লক্ষ্মেীর প্রধান লক্ষণ গম্বুজ ও মিনার বা গুস্ত । ভারতীয় সকল মুসলমানী সৌধ নিৰ্ম্মাণেই এই রীতি অবলম্বিত । কিন্তু কইরো নগর গঠনে গম্বুজের বাহুল্য নাই দেখিতেছি। স্থানে স্থানে গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ আছে মাত্র—এবং মাঝে মাঝে মিনার দৃষ্টগোচর হয়। কিন্তু এগুলি বোধ হয় এখানকার বশেষত্ব নয় । কাইরো নগরে অসংখ্য প্রকার ইউরোপীয় ও এশিয়াবাসী জাতিপুঞ্জের বাস ও কারবার। কাজেই ডাচ, গ্রীক, ইতালীয়, ব্রিটিশ, ইত্যাদি নানা শ্রেণীর গৃহনিৰ্ম্মাণ-প্রণালীর প্রভাবও লক্ষিত হয়। কিন্তু সকলগুলির ভিতর দিয়া মোটের উপর একট। মুসলমানী রীতির পরিচয় পাইয়া থাকি । দ্বিতীয় দিবস—মুসলমানের কাইরে । ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর Dr. к. Von Wettsteinএর সঙ্গে দেখা করিলাম । ইনি প্রায় ৪০০ ছাত্র সঙ্গে করিয়া মিশর ভ্রমণে আসিয়াছেন । ইনি