পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর কাইরে। সহরের সর্বপুরাতন মসজিদ । থাকে, এগুলি সেই শ্রেণীব অন্তর্গত।” প্রাচীরের স্থানে স্থানে কতকগুলি নূতন ধরণের অলঙ্কতি দেখা গেল। ভারতবর্ষে মুসলমানা শিল্পে সেগুলি কখনও দেখিয়াছি বলিয়। মনে হয় না । সমস্ত মসজিদে নানা প্রকার রংfবশিষ্ট প্রস্তর, ধাতু, মণি, অক্ষর, রেখা ইত্যাদি অতিশয় জাকজমকপূর্ণ দেখায়। রংফলান অতি সুন্দর। এরূপ রঙের খেলা বেশী শিল্পকৰ্ম্মে দেখিতে পাই ন । কলাবনের পূৰ্ব্ব প্রাচীরের জানালা হইতে একটি জীর্ণ পুরাতন মসজিদ দেখিতে পা চপাম । ইহার নিৰ্ম্মাণে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইষ্টক ব্যবহৃত হইয়াছিল। প্রাচ্য ভারতে যাহাকে গৌড়ীয় ইট বলে তাহ কেবল মাত্র গৌড়েরই বিশেষত্ব নয় । উত্তর ভারতের নানা স্থানে সেইরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হালুক ইট দেখিয়াছি। সেই ইট কাইরের প্রাচীন মসজিদেও দেখিতেছি । এই দেশে ইহাকে রোমীয় ইষ্টক বলা হয়। প্রাচীনকালে দুনিয়ার সধ্বত্র কি একরূপ ইটই ব্যবহৃত হইত ? কলাবন মসজিদের পূৰ্ব্ব প্রাচীরের “কিব লায়” লক্ষ্য করিবার অনেক জিনিষ 甲f(瓦J কবর, মসলিয়ামেই প্রতোক মসজিদ, “কিব লা" থাকে । মক্কার “কবি” যে দিকে অবস্থিত সেই দিকে মুখ করিয়া মুসলমানের নামাজ পড়িয়া থাকেন। মসজিদাদির সেই দিকের মধ্যভাগে দেওয়ালের ভিতর কিছু অৰ্দ্ধগোলাকাপ স্থান শিল্পার। নিৰ্ম্মাণ করিতে বাধা । সেই স্থানের নাম “কিব লা” । কিব লাতে বসিয়া ধৰ্ম্মগুরু সামাজ আরস্ত করিলে তাহার পশ্চাদবর্তী জনগণ নামাজ পাঠ কবেন । ভারতবর্ষ মক্কার পূৰ্ব্বে, এজন্য ভারতীয় মসজিদে কিব লা পশ্চিম দিকে থাকে ; ভারতীয় মুসলমানের পশ্চিম দিকে যুপ রাখিয় নামাঙ্গ পড়ে। কিন্তু মিশর মক্কার পশ্চিম দিকে, এজন্য এখানকার মসজিদে কিব লা পূৰ্ব্বদিকে ; মিশরীয় মুসলমানেরা পুৰ্ব্বদিকে মুখ রাপিয। নামাজ পড়েন। কলাবনের কি বলার দুইদিকে তিনটা করিয়া গ্রানাইট প্রস্তরেব স্তস্ত আছে। গোলাকার অংশের কারুকার্য্য অতি চমৎকার । নানাপ্রকার মুক্ত মাণিক্য পৰ্কিরি ইত্যাদি ইহার গায়ে থচিত । নীল মণি, শ্বেত মুক্তা, কৃষ্ণ রক্ত ও পীত পফিরি এবং অন্যান্য ধাতুর টুকরা দ্বারা প্রাচীরের অলঙ্কার তৈয়ারী হইয়াছে।