পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે૦8 পশ্চিমদিক হইতে মসলিয়ামে প্রবেশ করিয়া দেখিলাম —উৎকৃষ্ট কাপেটে মেজে ঢাকা । প্রকাণ্ড হল—বোধ হয় আট হাজার লোক এক সঙ্গে বসিয়া নামাজ পড়িতে পারে । প্রায় দুইশত কাচের লণ্ঠন ছাদ হইতে ঝুলিতেছে, সকলের মধ্যখানে একটা প্রকাণ্ড মোম বাতির ঝাড় বোধ হয় ৩০০ ডালওয়ালা । ইহা অপেক্ষা ছোট কিন্তু বেশ বড় ঝড় আরও ৮i১০ট। হলের নানা স্থানে বুলিতেছে। ছাদ হইতে পিণ্ডলের শিকলে গোলাকার চক্র ঝুলান হইয়াছে। এই চক্রের সঙ্গে কাচের লণ্ঠনগুলি সংলগ্ন। এতদ্ব্যতীত বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থাও মসজিদের অভ্যন্তরে দেখিতে পাইলাম । প্রধান গম্বুজ একটি । অৰ্দ্ধগম্বুজ চারিটি । প্রাচারে দুইটি প্রকাণ্ড মিনার । এই মিনার ও গম্বুজগুলি পশ্চিম কাইরে-নগরের বহুদুর হস্ততে মামুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । 喙 মসলিয়।মট। সমস্তক মৰ্ম্মরনিৰ্ম্মিত । দেওয়াল ও ছাদ সুবর্ণের অ*র, রেথ এবং জ্যামিতিকক্ষেএে সুচি৫ি ত । আরবী কোরানের বুয়েৎও অনেক । অৰ্দ্ধ-পদ্মফুলের চিএ, গৃষ্ঠস্বার, এবং অঙ্গাঙ্গ অনেক প্রকার অলঙ্কারের দ্বারা গম্বুজের ভিতরকার ছাদ শোভিত । এই মৰ্ম্মর মসজিদের কব পার দিকে একট। সূতন জিনিষ লক্ষ্য করলাম। ৬াহিন দিকে সিড়ির সাহায্যে একট। উচ্চ বেদীর উপর উঠা যায় । এই বেদার উপরি৩াগে হিন্দুধোলয়ের শিখরের )। র iশরে দেশ । তাহার উপর ত্রিশূলাকার অৰ্দ্ধচন্দ্র । বেদার তলদেশ হইতে শিখরের উদ্ধ ভাগ পৰ্য্যন্ত সমস্তট। দেখিলে একটা হিন্দুমন্দির বলিয়া মনে হয় । এই বেদীর উপর বসিয়। ইমাম বা প্রধান পুরেহিত ধৰ্ম্মবক্তৃত। পাঠ করেন । তিনি তখন পশ্চিমদিকে মুখ করিয়া থাকেন—প্রোতৃমণ্ডলা পূৰ্ব্বমুখ হইয়। বসে। বক্তৃতান্তে তিনি নামিয় আসেন এবং কিবলায় যtহয়। অঙ্গানা লোকের গায় পূবদিকে মুখ করিয়া নামাজ আরম্ভ করেন । তাহার পর সকলে নামাঙ্গ পাঠ করিতে থাকে । এই মসজিদের fভতব দয়। উপরিভাগে উঠা যায় । প্রবাসী-অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড সেখানে চারিদিকে বারাদার মত স্থান আছে। পূর্কে যখন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা ছিল না তথন ভূতোর উপরে উঠিয়া বাতি জালিয়া দিত । আজ রাত্রে একবার সহর দেখিতে গেলাম। প্রত্যেক রাস্তfয় অসংখ্য কাফে’ বা কাফি, মদ, তামাক ইত্যাদির দোকান ও হোটেল । এত হোটেল ও থানাঘর ভারতবর্ষের কোন নগরেই নাই। বোম্বায়ের চাকাফির দোকানও ংখ্যায় এত বেশী নয়। কাইরোর মধ্যে এই-সকল দোকান ও হোটেল একট। প্রধান দেখিবার জিনিষ । গ্রীক, ইতালীয়, মিশরীয়, আরব, ইহুদি, ইত্যাদি জগতের সকল জাতি আসিয়। এই নগরে জুটিয়াছে । যেখানে সেখানে মদ্যপান, কফিপাণ, মাংস ভোজন ইত্যাদির আয়োজন । শত শত লোক ২৪ ঘণ্ট। এই-সকল হোটেলে ধাওয়া-আসা করিতেছে। রাত্রিকালেই এই-সমুদয়ের পশার। এই সময়ে কাইরে-নগর দেfথলে মিশরীয় জাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে হতাশ হইতে হয় । চহারা অত্যন্ত বিলাসfপ্রয়, চরিত্রহীন, ও বায়শীল । ইহাদের মধ্যে গাম্ভীৰ্য্য, দৃঢ়তা, ভবিষ্যদৃদৃষ্টি আদৌ আছে কি না সন্দেহ । রাস্তার অৰ্দ্ধেক ভাগ জড়িয়। হোটেলের চেয়ার টেবিল সাজান হইয়াছে । খোলা আকাশের নীচে বসিয়া বিলাসী মুসলমান খুষ্ঠান সকলে আমোদ প্রমোদে মগ্ন। দুই তিনটা মাত্র রাস্তার কাফে ও হোটেলগুলি দেখিয়াই মনে হইল বোধ হয় ৩০০০ লোক রাত্রিকালে এই উদ্যম ও উচ্ছ,স্থল জীবন যাপন করিতেছে । একটা আরব নৃত্যগীতের গৃহে প্রবেশ কfরয়া দেখিলাম -- সেখানে প্রকাণ্ড ভাবে চরিত্রহীনতার ও অসংযমের চূড়ান্ত আয়োজন চলিতেছে । কাহারও কোন চক্ষুলজ্জা নাই। নাচ গান হাসি ঠাট্টায় কিছু মাত্র বাধা নাই । নীতিভ্রষ্ট দর্শক ও শ্রোতৃমণ্ডলী এই অসংযমে যোগদান করিতে দ্বিধ বোধ করে না । মোটের উপর এই গুহট রাত্রিকালে জঘন্স পিশাচ-জীবনের তাগুবলীলায় পরিপূর্ণ থাকে। অথচ সহবের মধ্যস্থলে জনগণের সম্মুখে এই উৎকট ক্রিয়ার অভিনয় হয় ! আরবী গীত শুনিয়া আমাদের যাত্ৰাদলের কথা মনে পড়িল । সেই চোগাচাপকানপর জড়িমহাশয়গণের