পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ob পালোয়ানোfচত, তাহাদিগকেও শাস্ত শিষ্ট বোপ হইল । আর মিশরের ভিতর দোকানে হোটেলে হাটে পঞ্চাবে যত লোক দেখিয়ffছ তাইশদের কাগকে ও প্রচণ্ড প্রকfতব ভাবিতে পারি নাই । তাদের সর্ব অঙ্গে, চেপে, মূপ শতে বেশ শাস্থিপ্রিয় ত বিরাজ করিতেছে । এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখা হইয় গেলে আজ আবার দুর্গে প্রবেশ করিলাম । তাহার পশ্চিম কোণ হইতে সমগ্র কাইরে-নগরের দৃশ্ব দেখা যায়। সেখানে দাড়াইয়। উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত নগরীর অট্টালিকা, প্রাসাদ, মসজিদ, মিনার, গম্বুজ ইত্যাদি দেখিতে পাইলাম। এই নগরের পশ্চিমে নাইল নদের উত্তস্কুল জলরাশি—তাহার পশ্চাতে অপরকুলে আবার নগর পল্লী ও প্রাস্তর । সমস্ত কাইরে সহর এক সঙ্গে দেখিলে মনে হুইবে ভারতবর্ষের কোন স্থানে এমন বৃহৎ ও সৌন্দর্যাবিশিষ্ট নগর বোধ হয় নাই। নানাপ্রকার সৌধ-গ্রীক ষ্টাইল, রোমান ষ্টাইল, তুরকী ষ্টাইল, আধুনিক ইউরোপীয় ষ্টা ষ্টল--সকল ষ্টাইলই সাধারণ মিশরীয় মুসলমানরীতিতে নিৰ্ম্মিত হস্ম্যমালার উপর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে। তথাপি একবার দেখিলেই মুসলমান-নগর বলিয়া বুঝিতে ভুল হয় না । সহরের কোথায়ও খোলার ঘর বা চালার ঘর নাই । সবই ই ষ্টক- বা প্রস্তরনিৰ্ম্মিত । কাইপ্লে-নগবের সোধসমূহ দেখিলে মিশরীয়দিগের অতুল ঐশ্বর্যের পরিচয় পাওয়া যায়। বৰ্ত্তমানকালে বড় বড় করবার, কৃষি, ব্যবসায়, ব্যাঙ্ক, সবই বিদেশীয়গণের হাতে । মিশরীয়দিগের স্বদেশী কৃষি শিল্প বা বা বসাযের কোন অনুষ্ঠান নাচ বলিলেও অত্যুক্তি হুইবে না । কাংশে নগর ইউরোপের বাজারে পরিণত হইয়াছে । যে সম্পদ দেখিতেছি তাহা মিশরীয়দের পূর্বপুরুষগণের সঞ্চিত ধনের সাক্ষা । আধুনিকগণের বেশভূষা, পোষাক পরিচ্ছদ, কায়দা কাকুন, চলাফেব!, সবই বিলাসি গব এবং সুখভোগেচ্ছরি পরিচায়ক । নগরের বাহ শোভা-দোকান বাজার, উদ্যান, হোটেল, ‘কাফে, জনগণেব যা গয়াত, ভিক্টোরিয়া গাড়ী ও ট্রাম গাড়ীর ক্ষ্মেণক সংখ্য সকলই এক সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । মিশরের ধনধান্য এই দেশবাসীকে সুখী বিলাসী করিয়া তুলিয়াছে। আজ অ{জ কলি প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ সংগ্ৰহ কfব ে3ছে । [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ইঙ্গদের কোন ব্যবসায়ই স্বহস্তগত নয়। জাৰ্ম্মান, ফরাসা, গ্রীক, ইতালীয়, ইংরেজ, ওলন্দাজ, আৰ্ম্মিনিয়ান, ইহুদি – জগতের সকল জাতি মিশরের বুকে বসিয়া অর্থ চারিদিককার শোভা সৌন্দর্য্য এই বিদেশীয় বণিকদিগেরই কৃতিত্বের এবং ঐশ্বর্য্যের ফল । ভবিষ্যতে মিশরবাসার অবস্থা কিরূপ হইবে ভাবিয়া স্থির করা কঠিন। মিশরীয়দিগের ঘুম কবে ভাঙ্গিবে কে বলিবে ? দুর্গের পশ্চিমকোণ হইতে পূৰ্ব্বদিকে তাকাইয়। দেখি বালুকাময় প্রস্তরপূর্ণ শৈলমালা দণ্ডায়মান । তাহার পাদদেশেই এই দুর্গ। পাহাড়ের উপর সমতলক্ষেত্র বা টেবলল্যাণ্ড । তাহাতেও একটা দুর্গ। পাহাড়ের পৃষ্ঠদেশে কিঞ্চিৎ দুরে একট। মসজিদ । ইহা অতি পুরাতন । এই পৰ্ব্বতে বাইবেলবিখ্যাত মকাওম শৈল । এখানে মোয়ার জাহাজ জলপ্লাবনের সময়ে ঠেকিয়াfছল । মিশরের বহু স্থানের সঙ্গে প্রাচীন খ্ৰীষ্টানধৰ্ম্ম, সমাজ ও ইতিহাসের অনেক কথা বিজড়িত। মিশর খ্ৰীষ্ট্রানদিগের তীর্থক্ষেত্র । পশ্চিমকোণে দাড়াইয়। আবার পশ্চিমদিকে দৃষ্টিপাত কfরলাম। যতদুর দেখা যায় দেখিতে লাগিলাম । নাইল নদের উভয়কুলে নগর পল্পী উদ্যান প্রান্তর । মিশরের এই ভূমি ধনধানপুষ্পেভরা, সুজলা সুফল। শস্তগুখিলা । মধ্যভাগে নদী, দুইধারে জনপদ ও লোকাবাস-পুৰ্ব্বে আরব দেশীয় মোক তাস পৰ্ব্বত ও মরুভূমি, পশ্চিমে আফ্রিকার লীবীয় পৰ্ব্বতশ্রেণী ও মরুভূমি । এই দুই পৰ্ব্ব ওমাল পূণ ও পশ্চিম প্রাচীরের ন্যায় মিশরের উৰ্ব্বপ্নভূমিকে রক্ষা করিতেছে। এই ভূমির উপরই যুগে যুগে মানবসভ্যতার বিকাশ সাধিত হইয়াছে। পশ্চিম দিকে দেখিলাম—সম্মুখেই কাইরো নগরের অতি সন্নিকটে তিনটি পিরামিড বা ত্রিকোণপ্তস্ত । এই জনপদের নাম গীজ । কিয়দুরে, দক্ষিণে, নাইলের পশ্চিমে আরও কতকগুলি পিরামিড দেখিতে পাইলাম । এই স্থানে উৰ্ব্বরক্ষেত্রের শস্তসম্পদও দেথা গেল । ঐ জনপদের নাম সক্কার । এইখানেই প্রাচীন মেমৃফিসনগর । গ্রীক ও মিশরীয় ইতিহাসে এই স্থান অতি