পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাড়—ধাঙ্ক গাছ নামক কীটবিশেষ পুরিয়া-ঔষধাদির মোড়ক যেমন সি দুরের পূরিয়া ফাদি—ফ"দ পাতিয়া হাতী ধরে যাহারা ফিচা—পাখী বা মাছের পুচ্ছ e বিত্তি—বৃহতী বিড়ি—পানের খিলি বিনা—বাদ্যযন্ত্রবিশেষ, বোধ হয় বীণ। শব্দের অপভ্রংশ বেতরিবং—সুশিক্ষিত | বিবিধ প্রসঙ্গ— শ্ৰীপুর্ণেন্দুমোহন সেহানবীস । মন্তব্য। প্রবাসীর সম্পাদক মহাশয় সেহানবিস মহাশয়ের বক্তব। আমায় পড়িতে দিয়াছিলেন। বাঙ্গাল শব্দের প্রতি সেহানবিস মহাশয়ের অনুরাগ আছে । নচেৎ সে বিষয়ে লিখিতেন না । কিন্তু ৰাঙ্গালাষ্ট্রভাষা বাঙ্গালীর ভাষাই ত আছে । এই ভাধার কয়েকট। ভাখা আছে এবং ভাখ ভাষার একরূপতার বিরোধী । অতএব ভাষার শ্ৰীবুদ্ধি আকাঙ্ক্ষা করিলে ভাখার লোপও আকাঙ্ক্ষা করিতে হইবে , এ বিষয় আমি বাঙ্গাল। ভাষা নামক গ্রন্থের প্রথম ভাগের প্রথম অধ্যায়ে যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়াছি । শব্দকোষ সমাপ্ত হইলে এ বিষয়ের সবিস্তর আলোচনা করিবার সুযোগ হইবে । ইতি । স্ট্রীযোগেশচন্দ্র রায় । "z বিবিধ প্রসঙ্গ যুদ্ধের উপকারিতা । যুদ্ধের মধ্যে মন্দ যাহ। ভীষণ বীভৎস পৈশাচিক যাহা, তাহ! সহজেই মনে আসে । সে-সকল কথ। অমর পূৰ্ব্বে লিথিয়াছি । কিন্তু ইহার সপক্ষে বলিবার ষে কিছু নাই তাহা নয় । যে জাতি আক্রান্ত হইয়া বা আক্রান্ত হইবার সস্তাবনা দেখিয়া যুদ্ধে প্রবৃত্ত হয়, তাহাদিগকে জীবনের আর সমুদয় ব্যাপার তুলিয়া গিয়া তুচ্ছ করিয়া মুহূৰ্ত্তমধ্যে ঠিকৃ করিয়া লইতে হয় যে তাহার। প্রাণটাকেই বড় মনে করিবে, কেবল বাচিয়া থাকাটাকেই বড় মনে করিবে, না, মানুষের মত বাচিয়া থাকিবার চেষ্টা করিবে । এরূপ স্থলে যুদ্ধ মানুষকে স্মরণ করা হয়৷ দেয় যে প্রাণ এলং প্রাণের চেয়েও বড় কিছু একটা, এই উভয়ের মধ্যে শ্ৰেয় যাহা তাহ বাছিয়া লষ্টতে হইবে । বেলুজিয়মকে জামেনী বলিল, “তোমরা আমাদিগকে তোমাদের দেশের মধ্য দিয়া ফ্রান্স আক্রমণ করিবার জন্য সৈন্য লইয়া যাইতে দাও ; যুদ্ধের শেবে তোমাদের দেশ ছাড়িয়া যাইষ, তোমাদের স্বাধীনতায় হাত দিব না । কিন্তু যদি যাইতে 象 ף כי میماع حت اح به ح- مه ۹ ماه به ع উপকারিত • ২৩১ りイトへ * マ **へ_* * ダ丁* へ JSAAAA S SJSASS SSSJ SSS JSSS SSAAAAS S AAAA S ۶۳ مسیه ম। দাও, তাহ হইলে তোমাদের দেশ অধিকার করিব।” বেলজিয়ম দেখিল যে একবার জামে নদিগকে দেশের মধ্যে লক্ষ লক্ষ সৈন্য লইয়। আসিতে দিলে, ফ্রান্সের প্রতি অঙ্কুচিত ব্যবহার কর। ত হয়ই, অধিকন্তু জামে নীও দেশ দখল করিয়া বসিয়া থাকিবে । অতএব জামেনীর আক্র মণ হইতে আত্মরক্ষ করাই ভাল। যুদ্ধে আপাততঃ বেলজিয়ম হারিয়াছে বটে, কিন্তু মকুষ্যত্ব বিসজ্জন দেয় নাই । যদি যুদ্ধের শেষে বেলজিয়মকে পরাধীন থাকিতেও হয়, তাহ হইলেও একথা বেলজীয়র। পুরুষানুক্রমে বলিতে পরিবে যে তাহার কাপুরুষ নয় । এই স্মৃতি ভবিষ্যতে আবার তাহাদিগকে মহৎ করিবে । যুদ্ধে এক একটা জাতি যে মনুষ্যত্ব ও মহত্ত্বের দৃষ্টান্ত দেখায়, তাহার মানেই এই যে সেই সেই জাতির অন্তর্গত একএকটি করিয়া মাষ্ট্ৰয সুখ স্বাৰ্থ বলি দেয়। বেলজিয়মের প্রধান কবি ও নাট্যকার মাত্যার্লাঙ্কের বয়স এখন ৫২ বৎসর । এখন তাহার আর সৈন্যদলে ভৰ্ত্তি হইবার উপায় নাই । সেইজন্য তিনি, যে-সব কৃষক যুদ্ধ করিতে ধাওয়ায় শস্যসংগ্ৰহ হইবার ব্যাঘাত ঘটিয়াছিল, তাহদেরই জায়গায় স্ত্রীলোক ও বুদ্ধদের সঙ্গে মাঠে শস্ত কৰ্ত্তন ও অন্যান্স চাষের কাজ করিতেছেন । খুব উৎসাহের সহিত করিতেছেন। সার হেনবি রস্কে। বিলাতের একজন প্রধান রাসায়নিক । তাহার বয়স ৮ - র উপর , তিনি যুদ্ধ করিতে যাইতে পারেন না । এইজঙ্গ বলিয়াছেন যে যদি কোন রাসায়নিক-জিনিষেধ কারখানার কোন যুবা কৰ্ম্মচারীর যায়গায় আমাকে পাটাইয় তাহকে যুদ্ধে পাঠান চলে, তো, আমি তাহার কাজ করিতে প্রস্তুত আছি। ইহঁণর। সব জগদ্বিখ্যাত মানুষ । কিন্তু জনসমাজে আ প্রসিদ্ধ হাজার হাজার লোক যুদ্ধে ব্যাপৃত প্রত্যে ক দেশেই অদ্ভুত স্বাৰ্থত্যাগ ও সাহসের দৃষ্টান্ত দেখাইতেছে । তাহার। সবাই যে অর্থের জন্ত সৈনিক হইতেছে, তাহ নয় । অবষ্ঠ বেতন লইলেই যে সাহসের মূল্য কমিয়া যায়, তাহাও নয়। এই কলিকা ত সহরের সেণ্টপলুস ক্যাথীড়ালি মিশন কলেজের একজন ইংরেজ অধ্যাপক এথানকার কাজ ছাড়িয়া দিয়া যুদ্ধে গিয়াছেন । কত ধনী ব্যক্তি আহত সৈনিকদের চিকিৎসার