পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা] ও আশঙ্কারহিত আছে, সকল সময়ে তখনও কি তেমনই থাকিবে ? তাহার পর রুশিয়ার আরও দুই দিকে অভিসন্ধি আছে । ইউরোপের উত্তরাংশে রুশিয়। ফিনল্যাণ্ড গ্রাস করিয়াছে । তাহার পরই সুইডেন ও নরওয়ে । তাহার সুইডেন লইবার ইচ্ছ। খুব স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছিল ; তৰ্জ্জন্ত কয়েক মাস পূৰ্ব্বে সুইডেনের রাজা নিজের সৈন্যদল বুদ্ধির আয়োজন করিয়াছেন । এখন রুশিয়া জার্মেনার ও অষ্ট্রিয়ার সহিত যুদ্ধে ব্যাপৃত থাকায় সুইডেনের বিরুদ্ধে মতলবট চাপ আছে । জার্মেণী হারিলে ও রুশিয়। জিতিলে রুশিয়া এরূপ শক্তিশালী হইবে যে তাহার পক্ষে সুইডেন নরওয়ে দখল ক? কঠিন হইবে না। কিন্তু সুইডেন নরওয়ে রুশিয়ার দখলে আসিলে তাহার সামুদ্রিক শক্তি এত বাড়িবে এবং তাহার কার্য্যক্ষেত্র ইংলণ্ডের এত নিকটবতী হইবে, যে, উহ। ইংলণ্ডের মঙ্গলের পক্ষে বাঞ্ছনীয় না হইতে পারে । রুশিয়ার অপর অভিসন্ধি এশিয়ায়। ইহা দুই অংশে বিভক্ত । প্রথম, মাঞ্চুরিয়া ও মঙ্গোলিয়া হাত করিয়া জাপানকে কাবু ও চানকে ক্রীড়াপুত্তল কর । মাঞ্চুরিয়৷ হাতে আসিলে রুশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে বন্দর পাইবে, এবং এশিয়ায় অনেক রণতরী রাখিতে পরিবে । চীনকে ক্রীড়া-পুত্তল করিতে পারিলে সে ভারতবর্ষ ও ব্রহ্মের উত্তর-পূৰ্ব্ব সীমান্তে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে ভয় দেখাইতে পরিবে । তিব্বতের দ্বারাও ৩য় দেখাইতে পরিবে । দেখাইবে কিনা কেহই বলিতে পারে না । এশিয়ায় রুশিয়ার অভিসন্ধির দ্বিতীয় অংশ পারস্য অধিকার করা । ইতিমধ্যেই পারস্যের উত্তর অংশ কার্য্যতঃ রুশিয়ার হস্তগত হইয়াছে। জামে নীকে পরাজিত করিয়া রুশিয়। যদি আরও শক্তিশালী হয়, তাহ হইলে সে প্রকাশ্য ভাবে পারস্য দখল করিবে বলিয়া বোধ হয় । পারস্তের সমস্ত লইবার চেষ্টাও করিতে পারে । যদিও তাহাতে ইংলগুের খুবই বাধা দিবার কথা । যাহা হউক, পারস্যের উত্তর অংশ অধিকার করিলেও রুশিয়ার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ক্ষতি করিবার ক্ষমতা বাড়িবে। বিবিধ প্রসঙ্গ—তুরস্কের নিবুদ্ধিতা * .২৩৭ | এই দিক দিয়া দেখিতে গেলে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মঙ্গলের জন্য ভারতবর্ষকে খুব শক্তিশালী করা প্রয়োজন । ভারতবর্ষের সকল প্রদেশ হইতে সৈন্স ও ভলান্টীয়ার গ্রহণ করিলে এবং ভারতের সকল জাতি ও ধৰ্ম্ম সম্প্রদায়ের লোককে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় অধিকার দিলে, ভারতবর্ষ শক্তিশালী হইবে । কেবল উত্তর-পশ্চিম, উত্তর, ও উত্তর-পূৰ্ব্ব সীমায় দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিলে, এবং কতকগুলি বেতনভোগী দেশীয় ও ইউরোপীয় সৈন্য রাখিলে ভারতবর্ষ যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালা হইবে না। রুশিয়ার সম্বন্ধে আশঙ্কা যুদ্ধের আরস্ত হইতেই আমাদের মনে উদিত হইয়াছিল । ইংরেজদের মনেও যে নাই, তাহ নয়। রিভিউ অব রিভিউজের নূতন সংখ্যায় সম্পাদক লিখিতেছেন – “This though welcome at the present time, has raised misgivings revelation of Russian strength, in the minds of some as to what will happen when this war is over. Alay not Russia want to impose on Europe the World Dominion that was Germany's ideal f" ইংরেজ সম্পাদক অবশু বলিতেছেন যে, ‘রুশিয়ার বিশ্বস্ততা সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার এখন সময় নয় এবং সন্দেহ কfরবার কোন কারণও নাই ।” ইহা ঠিকৃ কথা । কিন্তু সাবধান থাকা কোন সময়েই অনাবশুক নহে । • তুরস্কের নিবুদ্ধিতা । তুরস্ক জার্মেনীর পক্ষে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়া অত্যন্ত iনবুদ্ধিতার কাজ করিয়াছে। তাহার ফল এই হইবে, যে তাহার সাম্রাজ্য যাইবে । রুশিয়া যে ইউরোপীয় তুরস্ক লইবে, কিম্বা রুশিয়ার কত্ত্বত্বাধীন বন্ধান রাজ্যগুলি লইবে, তাহাতে সন্দেহ নাই । এশিয়ায় তুরস্কের যে সাম্রাজ্য আছে, তাহাও ভাগাভাগি হহয়! যাইবে । নিবুদ্ধিতা ত হইয়াছেই ; অধিকন্তু বর্তমান যুদ্ধে ত কেহছ তুং স্কের ক্ষতি করিতেছিল না ; সুতরাং তাহার যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবার কোন কারণও ছিল না। জার্মেনীর জিতিবার কোন সস্তাবনা দেখা যাইতেছে ন। কিন্তু যদি জার্মেনীর জয় হয়, তাহাতেও তুরস্কের